প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার,
সুরকার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই।
১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে
চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।
বুলবুল অসংখ্য গানে সুর করেছেন, যার অধিকাংশ গানই তার নিজের রচিত।
বুলবুল অসংখ্য গানে সুর করেছেন, যার অধিকাংশ গানই তার নিজের রচিত।
তার লেখা উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান
হলো:
‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘মাঝি
নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ
তারুণ্য লাবণ্য’, ‘ও আমার আট কোটি ফুল দেখ গো মালি’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানি
মাসি হতে দেব না’, ‘একতারা লাগে না আমার দোতারাও লাগে না’, ‘আমার সারাদেহ খেয়ো গো
মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আমি তোমারি
প্রেমও ভিখারি’, ‘ও আমার মন কান্দে’ এবং ‘ও আমার প্রাণ কান্দে’।
এই তালিকায় আরও রয়েছে: ‘আইলো দারুণ
ফাগুনরে’, ‘আমার একদিকে পৃথিবী একদিকে ভালোবাসা’, ‘আমি তোমার দুটি চোখে দুটি তারা
হয়ে থাকবো’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বৌ সাজিয়ে’, ‘পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমারই
ছোঁয়াতে যেন পেয়েছি’, ‘তোমায় দেখলে মনে হয় হাজার বছর আগেও বুঝি ছিল পরিচয়’,
‘কত মানুষ ভবের বাজারে’, ‘তুই ছাড়া কে আছে আমার জগৎ সংসারে’, ‘বাজারে যাচাই করে
দেখিনি তো দাম’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘স্বামী আর স্ত্রী বানায় যে জন মিস্ত্রি’,
‘আমার জানের জান আমার আব্বাজান’, ‘ঈশ্বর আল্লাহ বিধাতা জানে’, ‘এই বুকে বইছে
যমুনা’, ‘সাগরের মতই গভীর আকাশের মতই অসীম’, ‘প্রেম কখনো মধুর, কখনো সে বেদনা
বিধুর’, ‘আমার সুখেরও কলসি ভাইঙ্গা গেসে লাগবে না আর জোড়া’, ‘পৃথিবীর জন্ম যেদিন
থেকে’ ও ‘তোমার আমার প্রেম সেদিন থেকে’।
অন্য গানগুলো হলো- ‘পড়ে না চোখের
পলক’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘কী আমার পরিচয়’,
‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’, ‘তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’, ‘তোমার আমার
প্রেম এক জনমের নয়’, ‘তুমি হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ’, ‘জীবনে বসন্ত এসেছে
ফুলে ফুলে ভরে গেছে মন’, ‘ঘুমিয়ে থাকো গো স্বজনী’, ‘আমার হৃদয় একটা আয়না’, ‘ফুল
নেব না অশ্রু নেব’, ‘বিধি তুমি বলে দাও আমি কার’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা হৃদয়ে
সুখের দোলা’, ‘তুমি আমার এমনই একজন’ এবং ‘যারে এক জনমে ভালবেসে ভরবে না এ মন।’
এই তালিকায় আরও রয়েছে- ‘উত্তরে
ভয়ঙ্কর জঙ্গল দক্ষিণে না যাওয়াই মঙ্গল’, ‘কোন ডালে পাখিরে তুই বাঁধবি আবার
বাসা’, ‘একাত্তুরের মা জননী কোথায় তোমার মুক্তিসেনার দল,’ ‘বিদ্যালয় মোদের
বিদ্যালয় এখানে সভ্যতারই ফুল ফোটানো হয়’, ‘আমায় অনেক বড় ডিগ্রি দিসে’, ‘এই জগৎ
সংসারে তুমি এমনই একজন’, ‘জীবন ফুরিয়ে যাবে ভালবাসা ফুরাবে না জীবনে’, ‘পৃথিবীতো
দু দিনেরই বাসা দুদিনেই ভাঙে খেলাঘর’, ‘অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন’, ‘ওগো
সাথী আমার তুমি কেন চলে যাও’, ‘তুমি সুতোয় বেঁধেছ শাপলার ফুল নাকি তোমার মন’,
‘একদিন দুইদিন তিনদিন পর’, ‘তোমারি ঘর হবে আমারি ঘর’, ‘চতুর্দোলায় ঘুমিয়ে আমি
ঘুমন্ত এক শিশু’, ‘চোখের ভেতর কল বসাইছে’, ‘আমার জীবন নায়ে বন্ধু তুমি প্রাণের
মাঝি’, ‘তুমি স্বপ্ন তুমি সাধনা’, ‘নদী চায় চলতে তারা যায় জ্বলতে’, ‘আকাশটা নীল
মেঘগুলো সাদা সাদা’, ‘আমার তুমি ছাড়া কেউ নেই আর’, ‘শেষ ঠিকানায় পৌঁছে দিয়ে
আবার কেন পিছু ডাকো’, ‘চিঠি লিখেছে বউ আমার’, ‘মাগো আর নয় চুপি চুপি আসা’
ইত্যাদি।