রবীন্দ্রসঙ্গীত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রবীন্দ্রসঙ্গীত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২

আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি, 
তুমি অবসরমত বাসিয়ো।
নিশিদিন হেথায় বসে আছি,
তোমার যখন মনে পড়ে আসিয়ো ॥
আমি সারানিশি তোমা-লাগিয়া
রব বিরহশয়নে জাগিয়া--
তুমি নিমেষের তরে প্রভাতে
এসে মুখপানে চেয়ে হাসিয়ো ॥
তুমি চিরদিন মধুপবনে
চির- বিকশিত বনভবনে
যেয়ো মনোমত পথ ধরিয়া
তুমি নিজ সুখস্রোতে ভাসিয়ো।
যদি তার মাঝে পড়ি আসিয়া
তবে আমিও চলিব ভাসিয়া,
যদি দূরে পড়ি তাহে ক্ষতি কী--
মোর স্মৃতি মন হতে নাশিয়ো ॥

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1296

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1889

ami nishi din tomay

বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৭

আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি

রবীন্দ্র সংগীত
 
আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি
তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী !
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে !
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে।।
ডান হাতে তোর খড়্গ জ্বলে, বাঁ হাত করে শঙ্কাহরণ,
দুই নয়নে স্নেহের হাসি, ললাটনেত্র আগুনবরণ।
ওগো মা, তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে।।
তোমার মুক্তকেশের পুঞ্জ মেঘে লুকায় অশনি
তোমার আঁচল ঝলে আকাশতলে রৌদ্রবসনী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে।।
যখন অনাদরে চাই নি মুখে ভেবেছিলেম দুঃখিনী মা
আছে ভাঙা ঘরে একলা পড়ে, দুখের বুঝি নাইকো সীমা।
কোথা সে তোর দরিদ্র বেশ, কোথা সে তোর মলিন হাসি–
আকাশে আজ ছড়িয়ে গেল ওই চরণের দীপ্তিরাশি !
ওগো মা, তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে ।।
আজি দুখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী–
তোমার অভয় বাজে হৃদয়মাঝে হৃদয়হরণী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে !
তোমার দুয়ার আজি খুলে সোনার মন্দিরে।।

সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭

আমার নিশীথরাতের বাদলধারা



আমার নিশীথরাতের বাদলধারা,

এসো হে গোপনে

আমার স্বপনলোকে দিশাহারা।।

ওগো অন্ধকারের অন্তরধন,

দাও ঢেকে মোর পরান মন–

আমি চাই নে তপন, চাই নে তারা।।

যখন সবাই মগন ঘুমের ঘোরে নিয়ো গো, নিয়ো গো,

আমার ঘুম নিয়ো গো হরণ করে।

একলা ঘরে চুপ চুপে এসো কেবল সুরের রূপে–

দিয়ো গো, দিয়ো গো,

আমার চোখের জলের দিয়ো সাড়া।।
amar nishito rater badol dhara

বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়

সুরকারঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গীতিকারঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না-
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।
কান্নাহাসির বাঁধন তারা সইল না-
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।।
আমার প্রাণের গানের ভাষা
শিখবে তারা ছিল আশা-
উড়ে গেল, সকল কথা কইল না-
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।।
স্বপন দেখি, যেন তারা কার আশে
ফেরে আমার ভাঙা খাঁচার চার পাশে-
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।।
এত বেদন হয় কি ফাঁকি।
ওরা কি সব ছায়ার পাখি।
আকাশ-পারে কিছুই কি গো বইল না-
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।।

বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ

গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ
আমার মন ভুলায় রে।
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে
লুটিয়ে যায় ধুলায় রে।।ও যে আমায় ঘরের বাহির করে,
পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে
মরি হায় হায় রে।
ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে;
যায় রে কোন্ চুলায় রে।
ও যে কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে,
কোনখানে কী দায় ঠেকাবে–
কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে ভেবেই না কুলায় রে।।

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।
একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো রে॥
যদি কেউ কথা না কয়, ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি সবাই থাকে মুখ ফিরায়ে সবাই করে ভয়—
তবে পরান খুলে
ও তুই মুখ ফুটে তোর মনের কথা একলা বলো রে॥
যদি সবাই ফিরে যায় , ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি গহন পথে যাবার কালে কেউ ফিরে না চায়—
তবে পথের কাঁটা
ও তুই রক্তমাখা চরণতলে একলা দলো রে॥
যদি আলো না ধরে, ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি ঝড়-বাদলে আঁধার রাতে দুয়ার দেয় ঘরে—
তবে বজ্রানলে
আপন বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা জ্বলো রে॥
jodi tor daak shune keu na ashe
Click To Hear This Song

মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬

আমার হিয়ার মাঝে

আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে
দেখতে আমি পাইনি তোমায়
দেখতে আমি পাইনি
বাহির পানে চোখ মেলেছি
বাহির পানে
আমার হৃদয় পানে
চাইনি আমি
আমার সকল ভালোবাসায়
সকল আঘাত, সকল আশায়
তুমি ছিলে আমার কাছে
তুমি ছিলে
আমি তোমার কাছে যাইনি
তুমি মোর আনন্দ হয়ে
ছিলে আমার খেলায়
আনন্দে তাই ভুলে ছিলেম
কেটেছে দিন হেলায়
গোপন রহি গভীর প্রানে
আমার দুঃখ সুখের গানে
সুর দিয়েছ তুমি , আমি তোমার গান তো গাই নি।।

আমার খেলা যখন ছিল

রবীন্দ্র সংগীত

আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে
তখন কে তুমি তা কে জানত
তখন ছিল না ভয়, ছিল না লাজ মনে
জীবন বহি যেত অশান্ত
খেলা যখন ছিল তোমার সনে
তুমি ভোরের বেলা ডাক দিয়েছ কত
যেনো আমার আপন সখার মত।
হেঁসে তোমার সাথে
ফিরেছিলেম ছুটে সেদিন
কত না মন বনান্ত
খেলা যখন ছিল তোমার সনে
ওগো সেদিন তুমি গাইতে যেসব গান
কোন ও অর্থ তাহার কে জানত
শুধু সঙ্গে তারই গাইত আমার প্রান
সদা নাচত হৃদয় অশান্ত।
হঠাৎ খেলার শেষে আজ কি দেখি ছবি
স্তব্দ আকাশ নিরব শশী রবি।
তোমার চরন পানে নয়ন করি নত
ঘুমুন তাড়িয়ে আছে একান্ত
খেলা যখন ছিল তোমার সনে
তখন কে তুমি তা কে জানত
তখন ছিল না ভয়, ছিল না লাজ মনে
জীবন বহি যেত অশান্ত
খেলা যখন ছিল তোমার সনে ।

বধু কোন আলো

বধু কোন আলো লাগলো চোখে ।।
বুঝি দীপ্তি রূপে ছিলে সুর্যলোকে
ছিল মন তোমারই প্রতীক্ষা করি
যুগে যুগে দিন রাত্রি ধরি
ছিল মর্ম বেদনা ঘন অন্ধকারে
জনম জনম গেল বিরহ শোকে
বধু কোন আলো লাগলো চোখে ।।
অস্ফুট মঞ্জরি কুঞ্জ বনে
সংগীত শুন্য বিষন্ন মনে ।।
সংগী রিক্ত চীর দুঃখ রাতি
পোহাব কি নির্জনে শয়ন পাতে
সুন্দর হে সুন্দর হে
বর মাল্যকখানি তব আন বহে
তুমি আন বহে
অবগুন্ঠনে ছায়া ঘুচায়ে দিয়ে
হের লজ্জিত স্মিত মুখ শুভ আলোকে
বধু কোন আলো লাগলো চোখে ।।

রবীন্দ্র সংগীত

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

ওলো সই, ওলো সই

ওলো সই, ওলো সই,

আমার ইচ্ছা করে তোদের মতন মনের কথা কই।
ছড়িয়ে দিয়ে পা দুখানি কোণে বসে কানাকানি,

কভু হেসে কভু কেঁদে চেয়ে বসে রই।
ওলো সই, ওলো সই,

তোদের আছে মনের কথা, আমার আছে কই।
আমি কী বলিব, কার কথা, কোন্‌ সুখ, কোন্‌ ব্যথা–

নাই কথা, তবু সাধ কত কথা কই।।
ওলো সই, ওলো সই,

তোদের এত কী বলিবার আছে ভেবে অবাক হই।
আমি একা বসি সন্ধ্যা হলে আপনি ভাসি নয়নজলে

কারণ কেহ শুধাইলে নীরব হয়ে রই।।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সখী, ভাবনা কাহারে বলে



সখী, ভাবনা কাহারে বলে ।

সখী, যাতনা কাহারে বলে ।

তোমরা যে বলো দিবস-রজনী ‘ভালোবাসা’ ‘ভালোবাসা’—

সখী, ভালোবাসা কারে কয় !

সে কি কেবলই যাতনাময় ।

সে কি কেবলই চোখের জল ? সে কি কেবলই দুখের শ্বাস ?

লোকে তবে করে কী সুখেরই তরে এমন দুখের আশ ।

আমার চোখে তো সকলই শোভন,

সকলই নবীন, সকলই বিমল,

সুনীল আকাশ, শ্যামল কানন,

বিশদ জোছনা, কুসুম কোমল— সকলই আমার মতো ।

তারা কেবলই হাসে, কেবলই গায়,

হাসিয়া খেলিয়া মরিতে চায়—

না জানে বেদন, না জানে রোদন, না জানে সাধের যাতনা যত ।

ফুল সে হাসিতে হাসিতে ঝরে, জোছনা হাসিয়া মিলায়ে যায়,

হাসিতে হাসিতে আলোকসাগরে আকাশের তারা তেয়াগে কায় ।

আমার মতন সুখী কে আছে ।

আয় সখী, আয় আমার কাছে—

সুখী হৃদয়ের সুখের গান

শুনিয়া তোদের জুড়াবে প্রাণ ।

প্রতিদিন যদি কাঁদিবি কেবল একদিন নয় হাসিবি তোরা—

একদিন নয় বিষাদ ভুলিয়া সকলে মিলিয়া গাহিব মোরা ॥

sokhi vabna kahare bole




বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

ওঠো ওঠো রে– বিফলে প্রভাত বহে যায় যে


ওঠো ওঠো রে– বিফলে প্রভাত বহে যায় যে।

মেলো আঁখি, জাগো জাগো, থেকো না রে অচেতন।।
সকলেই তাঁর কাজে ধাইল জগতমাঝে,

জাগিল প্রভাতবায়ু, ভানু ধাইল আকাশপথে।।
একে একে নাম ধরে ডাকিছেন বুঝি প্রভু–

একে একে ফুলগুলি তাই ফুটিয়া উঠিছে বনে।
শুন সে আহ্বানবাণী, চাহো সেই মুখপানে–

তাঁহার আশিস লয়ে

চলো রে যাই সবে তাঁর কাজে।।

ও আমার দেশের মাটি


ও আমার দেশের মাটি,

তোমার ‘পরে ঠেকাই মাথা।
তোমাতে বিশ্বময়ীর,

তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা।
তুমি মিশেছ মোর দেহের সনে

তুমি মিলেছ মোর প্রাণে মনে,

তোমার ওই শ্যামলবরন কোমল মূর্তি মর্মে গাঁথা।।
ওগো মা, তোমার কোলে জনম আমার,

মরণ তোমার বুকে।
তোমার ‘পরে খেলা আমার দুঃখে সুখে।
তুমি অন্ন মুখে তুলে দিলে,

তুমি শীতল জলে জুড়াইলে,

তুমি যে সকল-সহা সকল-বহা মাতার মাতা।।
ও মা, অনেক তোমার খেয়েছি গো, অনেক নিয়েছি মা–

তবু জানি নে-যে কী বা তোমায় দিয়েছি মা!
আমার জনম গেল বৃথা কাজে,

আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে–

তুমি বৃথা আমায় শক্তি দিলে শক্তিদাতা।।

রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে



মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে সেদিন ভরা সাঁঝে
যেতে যেতে দুয়ার হতে কি ভেবে ফিরালে মুখখানি
কী কথা ছিলো যে মনে
তুমি সে কি হেসে গেলে আখিঁকোণে
আমি বসে ভাবি নিয়ে কম্পিত হৃদয়খানি,
তুমি আছো দূর ভূবনে
আকাশে উড়িছে বকপাখি
বেদনা আমার তারি সাথি
বারেকো তোমায় শুধাবারে চাই বিদায় কালে কি বলো নাই
সে কি রয়ে গেলো গো সিক্ত যুথীর গন্ধবেদনে

বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

ভালোবাসি ভালোবাসি ( Bhalobashi Bhalobashi )

ভালোবাসি ভালোবাসি
এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায়
বাজায় বাঁশি
ভালোবাসি ভালোবাসি

আকাশে কার বুকের মাঝে ব্যথা বাজে
দিগন্তে কার কালো আঁখি
আঁখির জলে যায় ভাসি
ভালোবাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি

সেই সূরে সাগর কূলে বাঁধন খুলে
অতল রোদন উঠে দুলে
সেই সূরে সাগর কূলে বাঁধন খুলে
অতল রোদন উঠে দুলে

সেই সুরে বাজে মনে অকারনে
ভুলে যাওয়া গানের বাণী
ভোলা দিনের কাঁদন
কাঁদন হাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি!!

এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায়
বাজায় বাঁশি
ভালোবাসি ভালোবাসি

পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে

রবীন্দ্র সংগীত 

পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে
পাগল আমার মন জেগে ওঠে॥
চেনাশোনার কোন বাইরে যেখানে পথ নাই নাই রে
সেখানে অকারণে যায় ছুটে॥

ঘরের মুখে আর কি রে কোনো দিন সে যাবে ফিরে।
যাবে না, যাবে না–
দেয়াল যত সব গেল টুটে॥

বৃষ্টি-নেশা-ভরা সন্ধ্যাবেলা কোন বলরামের আমি চেলা,
আমার স্বপ্ন ঘিরে নাচে মাতাল জুটে–
যত মাতাল জুটে।

যা না চাইবার তাই আজি চাই গো,
যা না পাইবার তাই কোথা পাই গো।

পাব না, পাব না,
মরি অসম্ভবের পায়ে মাথা কুটে॥

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

আমার পরান যাহা চায়


আমার পরান যাহা চায়
তুমি তাই, তুমি তাই গো !
তোমা ছাড়া আর এ জগতে
মোর কেহ নাই কিছু নাই গো !

তুমি সুখ যদি নাহি পাও
যাও সুখের সন্ধানে যাও
আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে,
আর কিছু নাহি চাই গো ।

আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন,
তোমাতে করিব বাস,
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ মাস ।

যদি আর কারে ভালোবাস,
যদি আর ফিরে নাহি আস,
তবে তুমি যাহা চাও, তাই যেন পাও,
আমি যত দুখ পাই গো ।

বড় আশা করে এসেছি গো



বড় আশা করে এসেছি গো
কাছে ডেকে লও
ফিরাইও না জননী।
দিনহীনে কেহ চাহে না
তুমি তারে রাখিবে জানি গো।।

আর আমি যে কিছু চাহিনে
চরণও তলে বসে থাকিব,
আর আমি যে কিছু চাহিনে
জননী বলে শুধু ডাকিব ।
তুমি না রাখিলে গৃহ আর পাইব কোথায়
কেঁদে কেঁদে কোথা বেড়াব
ঐ যে হেরী
তমশ ঘন ঘরা
গহন রজনী ।

পুরানো সেই দিনের কথা

পুরানো সেই দিনের কথা
ভুলবি কি রে হায়। 
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা,
সে কি ভোলা যায়।
আয় আর-একটিবার আয় রে সখা,
প্রাণের মাঝে আয়।
মোরা সুখের দুখের কথা কব,
প্রাণ জুড়াবে তায়।

মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি,
দুলেছি দোলায়–
বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি
বকুলের তলায়।
হায় মাঝে হল ছাড়াছাড়ি,
গেলেম কে কোথায়–
আবার দেখা যদি হল, সখা,
প্রাণের মাঝে আয়।।

রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে


সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে
ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা।

সেই স্মৃতিটুকু কভু ক্ষণে ক্ষণে
যেন জাগে মনে, ভুলো না।।

সেদিন বাতাসে ছিল তুমি জানো
আমারই মনের প্রলাপ জড়ানো
আকাশে আকাশে আছিল ছড়ানো
তোমার হাসির তুলনা।।

যেতে যেতে পথে পূর্ণিমারাতে
চাঁদ উঠেছিল গগনে।

দেখা হয়েছিল তোমাতে আমাতে
কী জানি কী মহা লগনে।

এখন আমার বেলা নাহি আর
বহিব একাকী বিরহের ভার
বাঁধিনু যে রাখী পরানে তোমার
সে রাখী খুলো না, খুলো না।।