Nochiketa লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Nochiketa লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

এই নষ্ট শহরে



এই নষ্ট শহরে
নাম না জানা যেকোন মাস্তান,
সকল খিস্তি খেউর রাজা উজির মেরে
মাস্তানি সব সেরে,
বিকেল বেলা তোমার বাড়ির লাগোয়া পথ ধরে
যাচ্ছে যখন ফিরে,
ভুলে নাহয় দিয়েই ছিল শিস
হাত ছিল নিশপিশ
ছুঁড়ে নাহয় দিয়েই ছিল চিঠি!

স্বীকার করে বলি
এসব কাণ্ড খারাপ ছেলে করে,
আর স্বীকার করে বলি
এসব কাণ্ড খারাপ ছেলে করে।

তবু মেয়ে
প্রেম তবু তার মিথ্যে ছিল না
মিথ্যে ছিল না।

এই নষ্ট শহরে
নাম না জানা যেকোন মাস্তান।

এই প্রেমের উপস্থাপন
জানি তেমন ভদ্র শোভন নয়,
তার চিঠির ব্যাকরণ
ভর্তি ভুলে বলার মত নয়,
শুধু তোমার নামটি ছাড়া
শুদ্ধ কিছুই লিখতে জানে না।

আর স্বীকার করে বলি
সে কিছুতেই যোগ্য তোমার নয়,
আর স্বীকার করে বলি
সে কিছুতেই যোগ্য তোমার নয়।

তবু মেয়ে
প্রেম তবু তার মিথ্যে ছিল না
মিথ্যে ছিলো না।

এই নষ্ট শহরে
নাম না জানা যেকোন মাস্তান।

সে যে বছর যুদ্ধে গিয়েছিল
ভেবেছিল পাবে তোমার প্রেম,
ইস্পাতে বারুদে সে তার প্রান
তোমার পায়ে সঁপে দিয়েছিল।

আজ স্বীকার করে বল
তুমি তাকে মিথ্যে বলেছিলে,
ও মিথ্যেবাদী মেয়ে
তুমি তাকে মিথ্যে বলেছিলে।

আজ স্বীকার করে বল
তুমি তাকে মিথ্যে বলেছিলে,
ও মিথ্যেবাদী মেয়ে
তুমি তাকে মিথ্যে বলেছিলে।

কেন মিথ্যে বলেছিলে
কেন মিথ্যে বলেছিলে??


এই নষ্ট শহরে
নাম না জানা যেকোন মাস্তান।
এই নষ্ট শহরে
নাম না জানা যেকোন মাস্তান।

মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮

হেই তুমি কি আমায় ভালোবাসো?

নচিকেতা


হেই তুমি কি আমায় ভালোবাসো?
যদি না বাসো, তবে পরোয়া করি না।।
আমি সুর্য্যের থেকে ভালোবাসা নিয়ে
রাঙাবো হৃদয় তার রং দিয়ে
পোষাকী প্রেমের প্রয়োজন বোধ করি না। আমি তোমার জন্য
সস্তা প্রেমের নাটুকে নায়ক পারবোনা হতে
পারবো না।
আমি তোমার জন্য কোনো কুমারের
ধার করা গান গেয়ে গায়ক পারবোনা হতে
পারবো না। যখন আমার ঘরেতে আঁধার
নেই একফোঁটা কেরোসিন।।
পাওনাদারের অভিশাপ শুনে জেরবার হয় বুড়োবাপ
আমিতো তখন পারবোনা খেতে চাইনিজ বারে
চাওমিন, হে। হেই
তুমি কি আমায় ঘৃনা করো?
যদি ঘৃনা করো, তবে পরোয়া করি না।।
আহা বয়ে গ্যাছে সেই ভালোবাসা ধরে
বহুকে হারানো স্বপ্নকে ছেড়ে
সবাইতো আর নিজেকে বেঁচতে পারেনা! হেই, তুমি কি আমায় ভালোবাসো? আমি তোমার দু’পায়ে আমার চেতনা-
স্বাধীনতা সঁপে দিতে পারবো না দিতে
পারবো না।
আমি তোমার জন্যে,
আমি তোমার জন্য সবকিছু ছেড়ে
তোমার আঁচলে মুখ ঢাকা দিতে পারবো না। আমার চলার পথের বাঁকেতে পড়ে জীবনের দাম।।
যেসব মানুষ সেই দাম খোঁজে
সবকিছু জেনে সবকিছু বুঝে
মুছে দাও যদি আঁচলেতে সেইসব মানুষের ঘাম
হেই, তবেই আমায় পেতে পারো। যদি তাই পারো, তবে পরোয়া করি না।।
জেনো তোমার জন্য ধুলোমাখা পথ
অপলকে চেয়ে জীবনের রথা –
সবকিছু ছেড়ে তুমি কি আসতে পারোনা?

hei tumi ki amay valobasho

বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

কোন এক মেয়ে

- নচিকেতা

তুমি দেখেছো কি অগুনতি মানুষের ভিড়ে হেঁটে যাওয়া কোন এক মেয়ে?
অফিসের ব্যাস্ততা সারা হলে
ক্লান্তি জরানো পায়ে পথ চলে,
একঘেয়ে জীবনকে কিনে চলে দাম দিয়ে।
ঘরে ফিরে দায়ভার; ফের ঘুম, ফের জাগা ব্যাস্ততা
জীবনকে কেড়ে নায় কখন যে।
কোন এক মেয়ে।
তুমি দেখেছো কি অগুনতি মানুষের ভিড়ে হেঁটে যাওয়া এমন এক মেয়ে?

এরপর, এখনো রয়েছো তুমি মগ্ন।
তোমার সুভারচিত দুঃখ বিলাসে
এখনও চলেছো বিরহের গান গেয়ে।
কোন এক মেয়ে।

দুশ্চিন্তার বলিরেখা ঘামে ভেজা কপালেতে আঁকা
কখনো ফিরতে বাড়ি যদি রাত হয়ে যায়
প্রতিবেশি নাগরিক ভ্রুকুটি শানায়।
জীবন সেজেছে আজ রূপসজ্জার সাজে,
চিতাতেই পূর্ণ আরোগ্য।
অফিসের অফিসার বক্র চাহনি তার ,
খেটে খাওয়া মেয়েরা তো ভোগ্য।
আঁধার ভবিষ্যৎ, জীবনের একই গত,
তবুও সে পথ চলে পিছু না পেয়ে।
কোন এক মেয়ে।

এরপর, এখনো বলবে তুমি ভীষণ একা?
নীল সোফাসেটে বসে টেলিফোন মুখে
কথোপকথনে রত সে একঘেয়ে
কোন এক মেয়ে।

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

তুমি আসবে বলেই

কথা,সুর,কন্ঠ--নচিকেতা

তুমি আসবে বলেই
আকাশ মেঘলা
বৃষ্টি এখনো হয় নি
তুমি আসবে বলেই
কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো ঝড়ে যায়নি।
তুমি আসবে বলেই
অন্ধ কানাই বসে আছে গান গায়নি
তুমি আসবে বলেই
চৌরাস্তার পুলিশটা ঘুষ খায়নি।
তুমি আসবে বলেই
জাকির হোসাইন ভুল করে ফেলে তালে
তুমি আসবে বলেই
মুখ্যমন্ত্রী চুমু খেলো স্ত্রীর গালে।
তুমি আসবে বলেই
সোনালী স্বপ্ন ভীড় করে আসে চোখে
তুমি আসবে বলেই
আগামী বলছে দেখতে আসবো তোকে।
তুমি আসবে বলেই......
তুমি আসবে বলেই
আমার দ্বিধারা উত্তর খুজে পায়নি
তুমি আসবে বলেই
দেশটা এখনো গুজরাট হয়ে যায়নি।
তুমি আসবে বলেই
সন্ত্রাসবাদ গুটিয়ে নিয়েছে থাবা
তুমি আসবে বলেই
জ্যোতিষ ছেড়েছে কতনা ভণ্ড বাবা।
তুমি আসবে বলেই
পাড়ার মেয়েরা মুখ করে আছে ভার
তুমি আসবে বলেই
ঈষাণ কোণেতে জমেছে অন্ধকার।
তুমি আসবে বলেই
তুমি আসবে বলেই
বখাটে ছেলেটা শীষ দিতে দিতে দেয়নি
তুমি আসবে বলেই
আমার কলম এখনো বিক্রি হয় নি।
তুমি আসবে বলেই
তুমি আসবে বলেই

সোমবার, ১ আগস্ট, ২০১৬

রাজশ্রী



             - নচিকেতা

রাজশ্রী, তোমার জন্য
মুদ্রাস্ফীতি অস্ট্রেলিয়ায়,
রাজশ্রী, তোমার জন্য
দুর্ঘটনা সোমালিয়ায়।
বাড়লো সিগারেটের দাম, তছরুপের
দায়ে সুখরাম ! আহা !!
রাজশ্রী তোমার জন্য ওঠে সূর্য, চাঁদ
ডুবে যায়।
রকে বসা কত যুবক দীর্ঘশ্বাস
ফেলে যায়
রাজশ্রী তোমার কথা ক্লিনটন
ভাবে অ্যামেরিকায়
সুপার মেগাস্টার আমিতাভ গীটার
হাতে নিতে চায়,
নিয়ম করে স্নানের
ঘরে জীবনমুখী গান গায়!
দেশটা যায় রসাতলে,
বেত্রবতী বানের জলে,
আর প্রধানমন্ত্রী চুরির দায়ে !
(আর পারিনা !)
তোমার কথায় সুচিত্রা সেন
ফিল্মে আবার আসতে চায়,
ছাড়া পেয়ে চার্লস শোভরাজ
পৌরসভার ভোটে দাঁড়ায়।
তোমার কথায় নদী আপন
বেগে পাগলপারা
টাটা এবং বিরলা সাহেব হতে চান
সর্বহারা !
সি.বি.আইয়ের মাথারা সব তোমার
ছবি বুকে গোঁজে
হরি নামের মত বলে তোমার
নামে দু'চোখ বোঁজে
টি.এন. শেষণ গান গায়-
রাজশ্রী, রাজশ্রী, তোমার জন্য !
 
(এই সভ্যতায় একজন কার্টুনিস্টের
যদি নিছক হাস্যরস সৃষ্টির
স্বাধীনতা থাকে; তবে, একজন
গায়কেরও নিশ্চয় থাকা উচিত।
মানে নচিকেতারও থাকা উচিত,
তাইনা ? আর আপনারা সব্বাই
তো রাজশ্রীর জন্য পাগল হয়ে গেছেন।
আর পাগলে কী না বলে !)

বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

ও ডাক্তার ( নচিকেতা )

শিল্পীঃ নচিকেতা  

ও ডাক্তার ও ডাক্তার।

তুমি কত শত পাস করে

এসেছ বিলেত ঘুরে

মানুষের যন্ত্রনা ভোলাতে।।

তোমার MBBS না না

FRCS বোধ হয়

A to Z ডিগ্রী ঝোলাতে।।

ডাক্তার মানে সে তো, মানুষ নয়

আমাদের চোখে সে তো ভগবান;

কসাই আর ডাক্তার

একি তো নয়-

কিন্তু দুটোই আজ,প্রোফেশন

কসাই জবাই করে

প্রকাশ্য দিবালোকে;

তোমার আছে-

ক্লিনিক আর চেম্বার।।

ডাক্তার চাইবেন, রক্ত রিপোর্ট

ক্লিনিকের সন্ধানও

তিনিই দেবেন

একশত টাকা যদি

ক্লিনিকের বিল হয়,

অর্ধেক দালালী তিনিই নিবেন।

রোগীরা তো রোগী নয়

খদ্দের এখন;

খদ্দের পাঠালে কমিশন

ক্লিনিক আর ডাক্তার

কি টুপি পড়াচ্ছে

বুঝছেনা গর্দভ জনগন

কসাই জবাই করে

প্রকাশ্য দিবালোকে

ওদের আছে-

ক্লিনিক আর চেম্বার।।

নিজেদের ডাক্তার,বল কেন?

তার চেয়ে বলনাকো ব্লাকমেলার

রোগীর আত্মীয়দের-

ঘটিবাটি চাটি করে;

করো সুযোগের সদ্ব্যবহার।

সরকারী হাসপাতালের পরিবেশ,

আসলেই তোমরা করেছ শেষ।

হাসপাতাল না থাকলেই জনগন,

নার্সিংহোমে যাবে অবশেষ

সেখানে জবাই হবে,

উপরি কামাই হবে!

মানুষের সেবার কি দরকার।।

বাঁচানোর ক্ষমতাতো,তোমার হাতে

তুমি যদি মার,তবে কোথা যাই?

অসহায় মানুষের,তুমিইতো সবকিছু

করজোড়ে নিবেদন,করছি তাই

তোমার গৃহিনী যে গয়না পড়েন,

দেখেছ কি তাতো কত রক্ত?

তোমার ছেলের চোঁখে দেখেছ কি?

কতো ঘৃনা জমা অব্যক্ত !

তোমরা অসুখ হবে

তোমারি দেখানো পথে।।



O doctor, Nochiketa

শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫

নিলাঞ্জনা - নচিকেতা



লাল ফিতে সাদা মোজা রোজ স্কুলের ইউনিফর্ম,
ন’টার সাইরেন সংকেত সিলেবাসে মনোযোগ কম।
পড়া ফেলে এক ছুট, ছুট্টে রাস্তার মোড়ে।
দেখে সাইরেন মিস করা দোকানীরা দেয় ঘড়িতে দম।।
এরপর একরাশ কালো কালো ধোঁয়া,
স্কুল বাসে করে তার দ্রুত চলে যাওয়া


এরপর বিষন্ন দিন, বাজে না মনোবীণ।
অবসাদে ঘিরে থাকা সে দীর্ঘ দিন।
হাজার কবিতা, বেকার সবই তার।
তার কথা কেউ বলে না।
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা।।


সন্ধ্যা ঘনাতো যখন, পাড়ায় পাড়ায় রক।।
থাকতো ভরে কিছু বখাটে ছোড়ায়।।
হিন্দি গানের কলি, সদ্য শেখা গালাগালি,
একঘেয়ে হয়ে যেত সময় সময়।।
তখন উদাস মন,ভুলে মনরঞ্জন,
দাম দিয়ে যন্ত্রনা কিনতে চায়।।
তখন নীলাঞ্জনা, প্রেমিকের কল্পনা,
ও মনের গভীরতা জানতে চায়।।
যখন খোলা চুলে, হয়তো মনের ভুলে।
তাকাতো সে অবহেলে দু’চোখ মেলে।।
হাজার কবিতা বেকার সবই তার।
তার কথা কেউ বলে না।
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা।।



অংকের খাতা ভরা থাকতো আঁকায়,
তার ছবি তার নাম পাতায় পাতায়।।
হাজার অনুষ্ঠান,প্রভাত ফেরীর গান।
মন দিন গুনে এই দিনে আশায়।।
রাত জেগে নাটকের মহড়ায় চঞ্চল,
মন শুধু সে ক্ষনের প্রতিক্ষায়।।
রাত্রির আঙ্গিনায়, যদি খোলা জানালায়,
একবার, একবার যদি সে দাড়ায়।
বোঝেনি অবুঝ মন নীলাঞ্জনা তখন,
নিজেতে ছিলো মগণ এ প্রানপন।।
হাজার কবিতা, বেকার সবই তার।
তার কথা কেউ বলে না।
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা।।