বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৬

এটা কি ২৪৪১১৩৯

চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা
সম্বন্ধটা এই বার তুমি ভেস্তে দিতে পারো
মা-কে বলে দাও বিয়ে তুমি করছো না।

চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি
আর মাত্র কয়েকটা মাস ব্যাস
স্টার্টিংয়েই ওরা ১১০০ দেবে তিন মাস পরে কনফার্ম
চুপ করে কেন বেলা কিছু বলছো না
এটা কি ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না ডেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে পাবলিক টেলিফোনের
জরুরি খুব জরুরি দরকার।
স্বপ্ন এবার হয়ে যাবে বেলা সত্যি
এতোদিন ধরে এতো অপেক্ষা
রাস্তার কতো সস্তা হোটেলে
বদ্ধ ক্যাবিনে বন্দী দুজনে
রুদ্ধশ্বাস কতো প্রতীক্ষা।

আর কিছু দিন তারপর বেলা মুক্তি
কসবার ঐ নীল দেয়ালের ঘর
সাদা-কালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে
তোমার আমার লাল-নীল সংসার।
এটা কি ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না ডেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে পাবলিক টেলিফোনের
জরুরি খুব জরুরি দরকার।

চুপ করে কেন একি বেলা তুমি কাঁদছো
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি সত্যি
কান্নাকাটির হল্লাহাটির সময় গেছে পেরিয়ে
হ্যালো তুমি শুনতে পাচ্ছো কি।
এটা কি ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না ডেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে এই পাবলিক টেলিফোনের
জরুরি খুব জরুরি দরকার।

হ্যালো ২৪৪১১৩৯…
হ্যালো ধুর ছাই হ্যালো ২৪৪১১৩৯ …।

অঞ্জন দত্ত

রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৬

মজার দেশ

যোগীন্দ্রনাথ সরকার


এক যে আছে মজার দেশ, সব রকমে ভালো,

রাত্তিরেতে বেজায় রোদ, দিনে চাঁদের আলো।

আকাশ সেথা সবুজবরণ গাছের পাতা নীল;

ডাঙ্গায় চরে রুই কাতলা জলের মাঝে চিল!

সেই দেশেতে বেড়াল পালায়, নেংটি-ইঁদুর দেখে;

ছেলেরা খায় 'ক্যাস্টর-অয়েল'- রসগোল্লা রেখে!

মণ্ডা-মিঠাই তেতো সেথা, ওষুধ লাগে ভালো;

অন্ধকারটা সাদা দেখায়, সাদা জিনিস কালো!

ছেলেরা সব খেলা ফেলে বই নে বসে পড়ে;

মুখে লাগাম দিয়ে ঘোড়া লোকের পিঠে চড়ে !

ঘুড়ির হাতে বাঁশের লাটাই, উড়তে থাকে ছেলে;

বড়শি দিয়ে মানুষ গাঁথে, মাছেরা ছিপ ফেলে !


জিলিপি সে তেড়ে এসে, কামড় দিতে চায়;

কচুরি আর রসগোল্লা ছেলে ধরে খায়!

পায়ে ছাতি দিয়ে লোকে হাতে হেঁটে চলে!

ডাঙ্গায় ভাসে নৌকা-জাহাজ, গাড়ি ছোটে জলে!

মজার দেশের মজার কথা বলবো কত আর;

চোখ খুললে যায় না দেখা মুদলে পরিষ্কার।

হাসি

রোকনুজ্জামান খান

হাসতে নাকি জানেনা কেউ
কে বলেছে ভাই?
এই শোন না কত হাসির
খবর বলে যাই।

খোকন হাসে ফোঁকলা দাঁতে
চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে

কাজল বিলে শাপলা হাসে
হাসে সবুজ ঘাস।
খলসে মাছের হাসি দেখে
হাসে পাতিহাঁস।

টিয়ে হাসে, রাঙ্গা ঠোঁটে,
ফিঙ্গের মুখেও হাসি ফোটে

দোয়েল কোয়েল ময়না শ্যামা
হাসতে সবাই চায়
বোয়াল মাছের দেখলে হাসি
পিলে চমকে যায়।

এত হাসি দেখেও যারা
গোমড়া মুখে চায়,
তাদের দেখে পেঁচার মুখেও
কেবল হাসি পায়।

বাংলা সাহিত্যের কিছু আলোচিত উদ্ধৃতি ও রচয়িতা

 ১। "প্রণমিয়া পাটনী কহিল জোর হাতে
আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"
----- অন্নদামঙ্গল কাব্য(ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর)
২। ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’-----
ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর
৩। ‘অভাগা যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়’-----
মুকুন্দরাম।
৪। 'এক সে পদ্ম তার চৌষট্টি পাখনা,---------
চর্যাপদ
৫। ‘সই, কেমনে ধরিব হিয়া আমার বধুয়া আন বাড়ি যায়
আমার আঙিনা দিয়া।’----- চন্ডিদাস।
৬। ‘রূপলাগি অখিঁ ঝুরে মন ভোর প্রতি অঙ্গ
লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।’ -------চন্ডিদাস।
৭। 'বামন চিনি পৈতা প্রমাণ বামনী চিনি কিসে রে।'
---লালন
৮।‘‘সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর , পাঠশালা – পলায়ন —
ভাবিলাম হায় আর কি কোথায় ফিরে পাব সে জীবন !”
------- (দুই বিঘা )রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮। 'মেয়ের সম্মান মেয়েদের কাছেই সব চেয়ে কম।
তারা জানেও না যে, এইজন্যে মেয়েদের
ভাগ্যে ঘরে ঘরে অপমানিত হওয়া এত সহজ।
তারা আপনার আলো আপনি নিবিয়ে বসে আছে।
তারপরে কেবলই মরছে ভয়ে,...ভাবনায়,...অযোগ্য
লোকের হাতে...খাচ্ছে মার, আর
মনে করছে সেইটে নীরবে সহ্য করাতেই স্ত্রীজন্মের
সর্বোচ্চ চরিতার্থ।'
........যোগাযোগ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৯।'বিশ্বপিতা স্ত্রী ও পুরুষের কেবল আকারগত
কিঞ্চিত ভেদ সংস্থাপন করিয়াছেন মাত্র। মানসিক
শক্তি বিষয়ে ন্যূনাধিক্য স্থাপন করেন নাই। অতএব
বালকেরা যেরূপ শিখিতে পারে বালিকারা সেরূপ কেন
না পারিবেক।----------মদনমোহন তর্কালঙ্কার
১০। 'সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন/হউক দূর
অকল্যাণ সফল অশোভন।'---------শেখ ফজলল
করিম।
১০।‘কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর;
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।-----
শেখ ফজলল করিম
১১।‘যে জন দিবসে মনের হরষে জালায় মোমের বাতি’
------(সদ্ভাব শতক)- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
১২।‘সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ
বাঙালী করে মানুষ করনি।’------ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৩।‘‘আপনাদের সবার জন্য এই উদার আমন্ত্রন
ছবির মতো এই দেশে একবার বেড়িয়ে যান।”------
আবু হেনা মোস্তাফা কামাল।
১৪। "নমোনমো নম সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি !
গঙ্গার তীর স্নিগ্ধ সমীর , জীবন জুড়ালে তুমি ।
–(দুই বিঘা )রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৫। ‘আমার দেশের পথের ধুলা খাটি সোনার
চাইতে খাঁটি’
----- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
১৬।‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর
রূপ দেখিতে চাই না আর’------ জীবনানন্দ দাশ
১৭। ‘‘জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই
দেশে।”
--- সুফিয়া কামাল
১৮। ‘‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই
বাংলায় হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের
বেশে।”----- জীবনানন্দ দাশ।
১৯। ‘হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ
কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছাসে,”--- - সুকান্ত
ভট্টাচার্য।
২০।‘মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা।’
------অতুল প্রসাদ সেন।
২১।‘‘বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-নলে / কিন্তু এ
স্নেহের তৃঞ্চা মিটে কার জলে?”------ মধুসূদন
দত্ত।
২২। ‘‘হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে,
(অবোধ আমি) অবহেলা করি, পর ধন লোভে মত্ত
করিনু ভ্রমন”--- মধুসূদন দত্ত।
২৩।"তুমি যাবে ভাই? যাবে মোর সাথে,/ আমাদের ছোট
গাঁয় ?
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়/ উদাসী বনের বায় ?" ----
জসীমউদ্দীন

২৪। "মানুষ
মরে গেলে পচে যায় ,বেঁচে থাকলে বদলায়..."
--------রক্তাক্ত প্রান্তর,মুনির চৌধুরী
২৫। "আমারে নিবা মাঝি লগে???..." পদ্মা নদীর
মাঝি"
-মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
২৬।"অতিকায় হস্তি লোপ পাইয়াছে কিন্তু
তেলাপোকা টিকিয়া আছে"-বিলাসি(শরৎচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায় )
২৭। সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/সারাদিন
আমি যেন ভাল হয়ে চলি------ মদনমোহন
তর্কালঙ্কার
২৮।‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল।”- মদনমোহন
তর্কালঙ্কার
২৯।সাহিত্য জাতির দর্পন স্বরূপ------প্রমথ
চৌধুরী
৩০।সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত------প্রমথ
চৌধুরী

দুখের তুলনা


কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার 

একদা ছিল না ‘জুতো’ চরণ-যুগলে
দহিল হৃদয় মম সেই ক্ষোভানলে।
ধীরে ধীরে চুপি চুপি দুঃখাকুল মনে,
গেলাম ভজনালয়ে ভজন কারণে !
দেখি তথা এক জন, পদ নাহি তার,
অমনি ‘জুতো’র খেদ ঘুচিল আমার,
পরের অভাব মনে করিলে চিন্তন
নিজের অভাব ক্ষোভ রহে কতক্ষণ ?

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬

দুনিয়া

- আয়নাবাজি - চিরকুট

যা দেখছ তা তানা
সব দেখা জানা না
এক দুনিয়া ফানা ফানা
আরেক দুনিয়া যাওয়া মানা

জগতে জনমে যাহারে মিলায় না
তাহারে খুঁজিতে মন ধরে শুধু বায়না
না বুঝি দুনিয়া না বুঝি তোমায়
আমার কি দোষ খালি পাপ জমাই

তোমার মাঝে অন্য কেউ বাজে
আয়নায় আয়নায় ভিন্ন কেউ সাজে
তারে তুমি দেখিতে চাও না
লুকোচুরিতে নিজেরে পাও না
না বুঝি দুনিয়া না বুঝি তোমায়
আমার কি দোষ খালি পাপ জমাই।

গানটি দেখুন ভালো লাগবে

মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬

চলে গেছ তাতে কি


চলে গেছ তাতে কি?
ভালোবেসে মরেছি
তুমি আছো হৃদয়ের আয়নায়
লোকে আমারে শুধায়...
ভালোবাসা কারে কয়? বলনা...

কিছু বৃষ্টির বিনিময়
হলে ভালোবাসা হয়
লোকে তারে ভালোবাসা কয়
আমি বলি ছলনা
এই সবই যন্ত্রনা
এগুলা ভালোবাসা নয়
লোকে আমারে শুধায়...
ভালোবাসা কারে কয়? বলনা...


i wanna say i love u
my love is only for u
i love u untill i am alive
hey girl plz don't refuse me
accept my love seriously
request my.....


দিল কি ইস কোনে পার
রাহো মে তুম আগার
ইস দিল মে কেয়া হে সোচোনা...
আদমি হামসে ইয়ে পুছে
পেয়ার কিস্কো কেহতা হে...বলোনা

এতক্ষন যা শুনছিলেন
সবছিলো আবেগের কথা
এখন বলছি বাস্তবতা
বেশি টাকার বিনিময়
ভালো ফাস্টফুডে খাওয়া হয়
মেয়েরা তাকে ভালোবাসা কয়
টাকা পয়সা ফুরালে
মেয়ারা যে যায় চলে
ছেলেদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
লোকে আমারে শুধায়...
মানুষ কেন ধোকা খায়? বলনা...

বিয়া হইসে তাতে কি?
হলুদে তো এসেছি
বসেছিলে মন্ডপের কোনায়...
চলে গেছো তাতে কি?
নতুন একটা পেয়েছি
তোমার চেয়ে অনেক সুন্দরি।
লোকে আমারে শুধায়...
মানুষ কেন ছেকা খায়? বলনা...

মরে গেছো তাতে কি?
জানাজায় তো এসেছি
শুয়ে রবে কবরের কোনায়
লোকে আমারে শুধায়...
মানুষ কেন মারা যায়? বলনা...


জীবন আছে যতদিন
খেয়ে যাও গাজা ততদিন
পরে রবে ভাবের মুর্ছনায়
লোকে আমারে শুধায়...
মানুষ কেন গাজা খায়? বলনা...


এই কন্ঠ যতদিন
গেয়ে যাব গান ততদিন
পরে রব সুরের মুর্ছনায়
লোকে আমারে শুধায়...
মানুষ কেন গান গায়? বলনা

চলে গেছো তাতে কি?
ভালোবেসে মরেছি
তুমি আছো হৃদয়ের আয়নায়

চলে গেছ তাতে কি, নতুন একটা পেয়েছি
তোমার চেয়ে অনেক সুন্দরী…

তোমার চোখের আঙ্গিনায়

শিল্পী: স্টীলার
তোমারও চোখের আঙ্গিনায়,
এখনও কি তেমনি করে জোছনা ছড়ায় আলো
এখনও কি তারার পানে ,চেয়ে থাক আনমনে
তুমি কি আমায় আগের মত বাসো ভালো?

এখনও কি আকাশে মেঘ দেখে,
জানালা খুলে তেমনি থাক বসে
এখনও কি প্রথম প্রেমের মতো,
পরশ বুলায় বৃষ্টি ধারা এসে।
তোমার দীঘল চুলে এখনও কি ছবি আঁকে মেঘের জত কালো,
তুমি কি আমায় আগের মত বাসো ভাল।

এখনও কি পুরনো চিঠি পড়ে,
নয়ন ভেজাও নিরব অভিমানে
এখনও কি বিকেলের রোদ এসে
গল্প বলে তোমার কানে কানে।
সন্ধ্যা নেমে এলে এখনও কি তেমনি করে সাঁঝের প্রদীপ জ্বালো,
তুমি কি আমায় আগের মত বাসো ভালো।



Tomar Chokher Anginay

Tumi ki amay ager moto basho valo