বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

সোহাগপুর গ্রামে একটা মায়া দীঘি ছিল

সোহাগপুর গ্রামে একটা মায়া দীঘি ছিল
সেই দীঘিতে হায় আচানক পুস্প ফুটেছিল
নিশি রাইতে দীঘির জলে উড়াল বায়ু বয়
বন্ধুয়ারে সেথায় নিতে আমার মনে লয়
গো বন্ধু আমার মনে লয়।।
ঘন কালো দীঘির জলে নামে চাঁন্দের ছায়া
রাইত নীশিথে মন পীড়িতে কাইন্দা মরে মায়া।
কাইন্দো না কাইন্দো মন কাইন্দা ফায়দা নাই
বন্ধুয়ারে সাথে নিবা তাহার উপায় নাই
চাঁন্দের ছায়া হায় কী মায়া মনে কষ্ট হয়
মরণকালে বন্ধুর সাথে হবে পরিচয়
গো বন্ধু হয়ে পরিচয়।।
মনের দুঃখ মনে রাখ বনের দুঃখ বনে
মরণকালে হবে দেখা বন্ধুয়ার সনে।
কাইন্দো না কাইন্দো মন কাইন্দা ফায়দা নাই
বন্ধুয়ারে সাথে নিবা তাহার উপায় নাই
মায়া দীঘির কালো জলে উড়াল বায়ু বয়
মরণকালে বন্ধুর সাথে হবে পরিচয়
গো বন্ধু হয়ে পরিচয়।।



শিল্পীঃ সেলিম চৌধুরী
অ্যালবামঃ দুই দুয়ারী
সুরকারঃ মাকসুদ জামিল মিন্টু
গীতিকারঃ হুমায়ূন আহমেদ

চাঁদের সাথে আমি দেব না

চাঁদের সাথে আমি দেব না তোমার তুলনা
নদীর সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা
তুমি চাঁদ হতে যদি দূরেই চলে যেতে
তুমি নদী হতে যদি দূরেই চলে যেতে
এ কথা যেন ভুল না, তুমি যে তোমারই তুলনা।।
ফুলের সাথে আমি দেব না তোমার তুলনা
অলির সাথে আমি দেব না তোমার তুলনা
তুমি ফুল হতে যদি ঝরেই পড়ে যেতে
তুমি অলি হতে যদি দূরেই উড়ে যেতে
এ কথা যেন ভুল না, তুমি যে তোমারই তুলনা।।
কবির সাথে আমি দেব না তোমার তুলনা
ছবির সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা
তুমি কবি হতে যদি সবার হয়ে যেতে
তুমি ছবি হতে যদি তবে মুছে যেতে
এ কথা যেন ভুল না, তুমি যে তোমারই তুলনা।।
 


শিল্পীঃ রুনা লায়লা ও এন্ড্রু কিশোর
অ্যালবামঃ আশীর্বাদ
সুরকারঃ আলম খান
গীতিকারঃ সৈয়দ শামসুল হক

আমার জীবনের এত খুশি এত হাসি



হেমন্ত মুখোপাধ্যায়


আমার জীবনের এত খুশি এত হাসি
আজ কোথায় গেল
ফুলের বুকে অলির হাসি
আজ কোথায় গেল ।।

হায় স্বপ্নভরা সেই গান
আজ কেন হল অবসান ।।
সেই দুটি কথা
ভালোবাসি
কোথায় গেল আজ কোথায় গেল
আমার জীবনের এত খুশি এত হাসি
আজ কোথায় গেল

এই না পাওয়ার ব্যথা ভরা তিথিতে
মন আমার ভরা আছে স্মৃতিতে
হায় বাসর ভরা সেই ফুল
হলো কাঁটার আঘাতে যেন ভুল ।।
আমার জীবনের এত খুশি এত হাসি
আজ কোথায় গেল
সেই মিলন মালার বকুলরাশি
কোথায় গেল আজ কোথায় গেল

আর কোনদিন তোমায় আমি

আর কোনদিন তোমায় আমি
প্রিয় নামে ডাকবো না।।
আর কখনো তোমায় আমি
আপন করে ভাববো না
প্রিয় নামে ডাকবো না।।
ভাববো না আর কথা তোমার
মাটির প্রদীপ জ্বলিয়ে আবার
প্রেমের চিঠি এই জীবনে।
আর কখনো লিখবো না
প্রিয় নামে ডাকবো না।।
ভাববো তুমি স্বপন ছিলে
ঘুমের ঘোরে এসেছিলে
স্বপ্ন সফল হায় না জানি।
স্বপ্ন আমি দেখবো না
প্রিয় নামে ডাকবো না।।
শেষ দেখা আজ মনে রেখো
মোর সমাধি তরী দেখো
চরণ ফেলে যেও না চলে।
আর আমি যে কাঁদবো না
প্রিয় নামে ডাকবো না।।



শিল্পীঃ এন্ড্রু কিশোর
গীতিকারঃ আব্দুল হাই আল হাদী

একটুস খানি দেখ

একটুস খানি দেখ একখান কথা রাখ
ভালবাইসা একবার তুমি বউ কইয়া ডাক।।
আঞ্চল পাইতা আসন দিয়া কমু যে কত কথা
আমি তোমার আসমানের চাঁন্দ বিরিক্ষের যেমন লতা
ও মোর রসিয়া ও………
ফুলের যেমন গন্ধ থেকে নদীর যেমন পানি
চখার যেমন চখী ওগো তেমনি তোমার আমি
সইধ্যা সকাল চিরটা কাল আমার হইয়া থাকো।।
তোমার হাতে তুমি কবে নোলক পাড়াইয়া দিবা
হাসা-ই কও তোমার জীবন সাথিনী কইরা নিবা
ও মোর দরদী ও………
সাগরেতে মুক্তা যেমন পাখির যেমন বাসা
তুমি আমার পরানের ধন তুমি আমার আশা
মায়ার বাধন ছিড়ার পথে ঊড়াল দিও নাকো।।



শিল্পীঃ সাবিনা ইয়াসমিন
অ্যালবামঃ বধু বিদায়
সুরকারঃ দেবু ভট্টাচার্য্য
গীতিকারঃ ডঃ মনিরুজ্জামান

কথা বলো না বলো ওগো বন্ধু

কথা বলো না বলো ওগো বন্ধু
ছায়া হয়ে তবু পাশে রইবো ও ও ও।।
আমি অভাগিনী শুধু যে তোমারই
যতই ব্যাথা দিবে সইবো।।
ছায়া হয়ে তবু পাশে রইবো
আমি কাদি শুনে হাসে বিশ্ব
কাছে তুমি প্রিয় তবু আমি নিঃস্ব।
কত বেদনা, কত বেদনা সয়েছে হৃদয়
কেমনে তোমায় আমি কইবো
ছায়া হয়ে তবু পাশে রইবো
কেন আমি অসহায়া জানি না
নিয়তির এ লেখা না না আমি মানি না।
মন বলে গো, মন বলে গো জীবনে কভু
তোমারই শুধু আমি হইবো।।
 


শিল্পীঃ ফেরদৌসী রহমান
অ্যালবামঃ মধুমিলন
সুরকারঃ বশীর আহমেদ
গীতিকারঃ শহীদুল ইসলাম

তোমার ভাজ খুলো আনন্দ দেখাও


শিল্পীঃ সঞ্জীব চৌধুরী
অ্যালবামঃ ব্যাচেলর

তোমার ভাজ খুলো আনন্দ দেখাও
করি প্রেমের তরজমা ।।
যে বাক্য অন্তরে ধরি
নাই দাড়ি তার নাই কমা
ভাজ খুলো আনন্দ দেখাও
তোমার ভাজ খুলো আনন্দ দেখাও
তীর্থে তীর্থে বেড়াই ঘুরি
পন্থে পন্থে বেড়াই ঘুরি।।
মনকে বেকা তেড়া করি। ।
মনের মেঘতো সরে না
তোমার ভাজ খুলো আনন্দ দেখাও
করি প্রেমের তরজমা ।
দাড় টেনেছি দাড়ির সঙ্গে
তীর ভেঙেছি তারই রঙে ।।
কী বিভঙ্গ নারীর অঙ্গে ।।
পুষ্পে মধু ধরে না
তোমার ভাজ খুলো আনন্দ দেখাও
করি প্রেমের তরজমা ।
বর্ষা দেখাও, গ্রীষ্ম দেখাও
শীত বসন্ত শরত দেখাও ।।
স্বরব্যঞ্জণ বর্ণ শেখাও ।।
উম ছাড়া শীত মরে না
তোমার ভাজ খুলো আনন্দ দেখাও
করি প্রেমের তরজমা ।।
যে বাক্য অন্তরে ধরি
নাই দাড়ি তার নাই কমা
ভাজ খুলো আনন্দ দেখাও
তোমার ভাজ খুলো আনন্দ দেখাও

কেউ প্রেম করে


শিল্পীঃ এস আই টুটুল
অ্যালবামঃ ব্যাচেলর



কেউ প্রেম করে, কেউ প্রেমে পড়ে
আমার হয়েছে কোনটা, জানে না এই মনটা।

কেউ ভুল করে, কেউ ভুলে পড়ে
আমার হয়েছে কোনটা, জানে না এই মনটা।

আগে তো হয়নি এমন, মন করে কেমন কেমন
ইচ্ছেরা যে উড়াল মারে, কোথায় বারে বারে।

কেউ ভুল করে, কেউ ভুলে পড়ে
আমার হয়েছে কোনটা, জানে না এই মনটা।

স্বপ্ন দেখি একা আমি, হায়রে আজব পাগলামি
আমার হয়ে গেল কী যে, উলট পালট আমি নিজে।

কেউ ভুল করে, কেউ ভুলে পড়ে
আমার হয়েছে কোনটা, জানে না এই মনটা।

ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও



গারে সানি সা রে রে
গারে সানি পা
নিসা নিসা রে পা গা রে
গারে সানি পানি সারে
পাগা রেসা নিসা রেগা
সারে সারে রেগা রেগা
গামা গামা পানি সারে
ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও(২)
এ গান আমার ও এ গান আমার(২)
ছুঁয়ে যাবে এ সুর হৃদয়ে তোমার(২)
এ গান আমার ও এ গান আমার(২)
ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও(২)
এ গান আমার ও এ গান আমার(২)
জানি না কোথায় আছো
তুমি কত দূরে
আমার এ মনের কথা,
যায় ভেসে সুরে ও ও (২)
যদি পার সামনে এসো,
কাছে এসে ভালবাসো(২)
বুঝ নাকি ভালবাসা করে হাহাকার
ছুঁয়ে যাবে এ সুর হৃদয়ে তোমার
এ গান আমার ও এ গান আমার(২)
ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও(২)
এ গান আমার ও এ গান আমার(২)
কেন এই লুকোচুরি
কি কারণে জানি না
কাছে যেতে চাই তবু কেন,
যেতে পারি না ও ও(২)
বলনাকো কার ভুলেতে,
দেখা তুমি চাও না দিতে(২)
বলো কবে দু’টি মন হবে একাকার
ছুঁয়ে যাবে এ সুর হৃদয়ে তোমার
এ গান আমার ও এ গান আমার(২)
ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও(২)
এ গান আমার ও এ গান আমার(২)
ছুঁয়ে যাবে এই সুর হৃদয়ে তোমার(২)
এ গান আমার ও এ গান আমার(২)
ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও(২)
এ গান আমার ও এ গান আমার(২)

শিল্পীঃ মনু
ছায়াছবি: সাথী
সুরকারঃ এস পি ভেঙ্কটশ
গীতিকারঃ গৌতম সুস্মিত

হৃদয়হীনা

শিল্পীঃ শাফিন আহমেদ
সুরকারঃ মানাম আহমেদ
গীতিকারঃ মাহমুদ খুরশীদ
ব্যান্ডঃ মাইলস
অ্যালবামঃ প্রত্যাশা
সালঃ ১৯৯৩




কেঁদে যায় এই মন কেঁদে যায়

কেটে যায় এ জীবন কেটে যায়

ও হৃদয়হীনা

কখনো কি তোমার মনে পড়ে না

আমাকে

কত স্মৃতি মাখা দিনগুলো

কেন কুয়াশায় শুধু ঢেকে যায়

নিঃসঙ্গ এখন একাকি

দিন কেটে যায় বিরহ ব্যাথায়

ও হৃদয়হীনা

কখনো কি তোমার মনে পড়ে না

আমাকে

নিঃশব্দ নীলিমাতে যে

খুজেছি তোমায় একা নিরালায়

জানি আসবে না ফিরে যে

তবুও আশায় বসে থাকি হায়

ও হৃদয়হীনা

কখনো কি তোমার মনে পড়ে না

আমাকে

কারে আর মন দিবি তুই

দন্তন্ন না মুধন্ন কোনটা আসল মন
কান্দে না ঐ দুই চক্ষু কান্দে দুই নয়ন
কারে আর মন দিবি তুই।
আর কারে মন দিবি তুই।
কেউ আসল জানেনা কার মনের ঠিকানা
কি বাচাইলি কি বা পাইলি
কিসে আছে সুখ
চিনলিনা আয়নার মাঝে
নিজেই নিজের মুখ
কেউ আসল জানেনা
কারো সুখের ঠিকানা
কেউ আসল জানেনা
কারো মনের ঠিকানা
মন মাজারে আছাড় খাইলি
হারাইলি রে কুল
সারাজীবন অংক কষলি
হয়নি তো তার ভুল
কেউ আসল জানেনা
কার ভুলের ঠিকানা
কেউ আসল জানেনা
কারো মনের ঠিকানা

আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে

আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে কেন সৈকতে পড়ে আছি

কোন অশ্রু ভেজা স্বপনে মনে তাজমহল গড়েছি।।
আজ নেই যে গানের কোন ছন্দ

হল রাগিনীর দ্বার চিরবন্ধ।

স্বরবের আলেয়ারে আলো ভেবে

অন্ধকারে খুজে মরেছি, সৈকতে পড়ে আছি।।
আজ নেই যে আগের সেই দৃষ্টি

এলো দুচোখে ব্যাথার ঝড় বৃষ্টি।
জীবনের চাওয়াটাকে মুছে ফেলে

শূণ্যটাকে আমি ধরেছি, সৈকতে পড়ে আছি।।

পাখি খাঁচা ভেঙে উড়ে গেলে হবে অচেনা।

পাখি খাঁচা ভেঙে উড়ে গেলে হবে অচেনা।

এই মাটির মায়া মিছে কায়া, কিছুই রবে না।।
*** সমন জারী রবে না বাহাদুরী
এসেছিস বাদশা হয়ে ফিরে যাবি দিন ভিখারী।

হিসাবের ষোল আনা বোঝাতে হবে মনা।

মহাজন নইলে তোরে খালাস দিবে না।।
বেচেও আছি মরে কী হবে নালিশ করে

মানুষকে কাঁদায় মানুষ এ বিধান কোন বিচারে।
দুনিয়ার বালা খানা হবে রে ফানাফানা।

সাথে ঐ কাফন ছাড়া কিছুই যাবে না।।

ওলো সই, ওলো সই

ওলো সই, ওলো সই,

আমার ইচ্ছা করে তোদের মতন মনের কথা কই।
ছড়িয়ে দিয়ে পা দুখানি কোণে বসে কানাকানি,

কভু হেসে কভু কেঁদে চেয়ে বসে রই।
ওলো সই, ওলো সই,

তোদের আছে মনের কথা, আমার আছে কই।
আমি কী বলিব, কার কথা, কোন্‌ সুখ, কোন্‌ ব্যথা–

নাই কথা, তবু সাধ কত কথা কই।।
ওলো সই, ওলো সই,

তোদের এত কী বলিবার আছে ভেবে অবাক হই।
আমি একা বসি সন্ধ্যা হলে আপনি ভাসি নয়নজলে

কারণ কেহ শুধাইলে নীরব হয়ে রই।।

কি করে ভাবলে তুমি


কি করে বললে তুমি
তোমাকে হঠাত করে ভুলে যেতে,
কি করে ভাবলে তুমি
আমাদের এতদিনের সবি ছিল পাগলামি।

তোমাকে ভেসেছিলাম ভালো
সেই ভাবনায় থাকত পড়ে মন
তোমাকে বোঝার সময় গেছে কখন
বুঝিনি আগে।

আজ হেয়ালী সর্বনাশের,
স্বপ্নলিপি ছিড়ে গেছে
আজ যদি সব বল মিছে
তোমার কথা মানবোবা আমি
তোমাকে ভেসেছিলাম ভালো
সেই ভাবনায়, থাকত পড়ে মন
তোমাকে বোঝার সময় গেছে কখন
বুঝিনি আগে।

কি করে বললে তুমি
তোমাকে হঠাত করে ভুলে যেতে,
কি করে ভাবলে তুমি
আমাদের এতদিনের সবি ছিল পাগলামি।

চলো বদলে যাই

সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে
সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম
কেমন করে এতো অচেনা হলে তুমি
কিভাবে এতো বদলে গেছি এই আমি
ও বুকেরই সব কষ্ট দুহাতে সরিয়ে
চলো বদলে যাই

তুমি কেন বোঝ না
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়
আমার সবটুকু ভালোবাসা তোমায় ঘিরে
আমার অপরাধ ছিল যতো টুকু তোমার কাছে
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়

কতরাত আমি কেঁদেছি
বুকের গভীরে কষ্ট নিয়ে
শূণ্যতায় ডুবে গেছি আমি
আমাকে তুমি ফিরিয়ে নাও

তুমি কেন বোঝ না
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়
আমার সবটুকু ভালোবাসা তোমায় ঘিরে
আমার অপরাধ ছিল যতো টুকু তোমার কাছে
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়

কতবার ভেবেছি ভুলে যাবো
তারও বেশী মনে পড়ে যায়
ফেলে আসা সেই সব দিনগুলি
ভুলে যেতে আমি পারিনা

তুমি কেন বোঝ না
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়
আমার সবটুকু ভালোবাসা তোমায় ঘিরে
আমার অপরাধ ছিল যতো টুকু তোমার কাছে
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়

সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে
সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম
কেমন করে এতো অচেনা হলে তুমি
কিভাবে এতো বদলে গেছি এই আমি
ও বুকেরই সব কষ্ট দুহাতে সরিয়ে
চলো বদলে যাই

ফেরারী এই মনটা আমার

ফেরারী এই মনটা আমার
মানে না কোনো বাঁধা
তোমাকে পাবারই আশায়
ফিরে আসে বারেবার ।।

কখনো ভাবিনি আমি
ব্যথা দিয়ে তুমি চলে যাবে
কি জানি কি ভুল ছিল আমার
আমাকে কেন গেলে কাঁদিয়ে
তাই আমি ফিরে আসি বারেবার

ফেরারী এই মনটা আমার
মানে না কোনো বাঁধা
তোমাকে পাবারই আশায়
ফিরে আসে বারেবার ।।

যে পথে হারিয়েছি তোমায়
সেই পথে খুঁজে আমি যাব
অভিমান করে থেকো না
অপবাদ দিয়ে যেও না
তাই আমি ফিরে আসি বারেবার

ফেরারী এই মনটা আমার
মানে না কোনো বাঁধা
তোমাকে পাবারই আশায়
ফিরে আসে বারেবার ।।

আমি বারোমাস তোমায় ভালোবাসি

আমি বারোমাস তোমায় ভালোবাসি
তুমি সুযোগ পাইলে বন্ধু বাসিও
আমি বারোমাস তোমার আশায় আছি
তুমি অবসর পাইলে আসিও

আষাঢ় শ্রাবণে ঘন বরষার সাথে
দিনগুলো কাটে না বিরহ ব্যথাতে ।।
আসছে মাসে না হয় পত্র দি…।
তুমি অবসর পাইলে আসিও
আমি বারোমাস তোমায় ভালোবাসি
তুমি সুযোগ পাইলে বন্ধু বাসিও

ভাদ্র আশ্বিনে কয় জনে জনে
কতকাল একা থাকো মন উচাটনে ।।
অগ্রহায়ণে তুমি আদর জানিও
তুমি অবসর পাইলে আসিও

পৌষ মাঘ কাটে না বুঝি এই শীতে
একটু কি পারো নাই কোনো খোঁজ নিতে ।।
বৈশাখী ঝড় মনে শুধু জানিও ।।
তুমি অবসর পাইলে আসিও

আমি বারোমাস তোমায় ভালোবাসি
তুমি সুযোগ পাইলে বন্ধু বাসিও
আমি বারোমাস তোমার আশায় আছি
তুমি অবসর পাইলে আসিও

আমার রঙ্গিন কত গুলো দিন

আমার রঙ্গিন কত গুলো দিন
রয়েছে তোমার
কাছে ফিরিয়ে দাও।
না হয় আমার
হ্নদয়ে যে ব্যাথা বুকের
মাঝে জমে আছে ফিরিয়ে নাও ।
রুপকথা সম যে
সৃতি রয়েছে হাজার,
আঘাত করে কেন যায় শুধু
বারে বার ।
বড় কষ্টে জমানো ধুষর সে প্রেম
মেঘে ঢেকে গেছে তুমি নিয়ে যাও।
এরপর, যাও
চলে যাও যেখানে তুমি চাও!

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

ringID

ringID তে SIGN UP করুন 

আর নিশ্চিত MOBILE BALANCE জিতুন 

(অফারটি ১৬ই মার্চ - ২৬শে মার্চ পর্যন্ত প্রযোজ্য)

সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০১৬

গাইবোনা আর কোনো গান

ফুয়াদ Featuring সুমন ও আনিলা


দিয়েছিলে যা নিয়ে নিতে পারো
লেখা কবিতা গাওয়া গান যত
খুঁজে দেখো না , পাবেনা কেউ আমার মত
মুছে দিওনা সুধু হৃদয়ও ক্ষত


গাইবোনা আর কোনো গান তোমায় ছাড়া
লিখবনা আমি আর তুমি হীনা কবিতা


নিজেকে আমি বুজিনি কখনো
ছিলেনা যখন , আসনি তখনও
এলে শেখালে অজানা যা ছিল
আমার মাজেই আজ আমি আলোকিত

(গাইবোনা আর কোনো গান তোমায় ছাড়া
লিখবনা আমি আর তুমি হীনা কবিতা)

তুমি বললে আকাশ হব

কুমার বিশ্বজিত ও সামিনা চৌধুরী -


তুমি বললে আকাশ হব, হাওয়ায় হব তুলো
তুমি বললে তুলে দেব মনের প্রেম গুলো
তুমি বললে দুঃখ হব, হব সুখের লগ্ন
তোমার মাঝে অনন্তকাল থাকতে চাই যে মগ্ন
তুমি আমার নতুন সর্বনাশ
তবু কল্পনাতে তোমার সাথেই আমার বসবাস

তুমি বললে সূর্য্য হয়ে রোজ সকালে আসব
তুমি বললে চাঁদের আলোয় নিঝুম রাতে হাসব
তুমি বললে নীল সাগরে হব ঢেউয়ের ভেলা
সাগর প্রেমে আসব ছুটে, ভাসবো সারাবেলা

তুমি বললে তোমার বুকের কষ্টগুলো নেব
তুমি বললে আকাশ প্রমান ভালবাসা দেব
তুমি বললে বৃষ্টি হয়ে তোমায় সিক্ত করব
আবার জন্ম হলেই আমার তোমার প্রেমেই পড়ব
তুমি বললে আকাশ চোঁব,
তুমি বললে দুঃখ হব
তুমি বললে . . ... .

বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০১৬

আমি তো মরে যাবো

  • শিল্পীঃ মেহেদী
  • অ্যালবামঃ দাগ থেকে যায়
আমি তো মরে যাবো
চলে যাবো রেখে যাবো সবই
আছস নি কেউ সঙ্গের সাথী
সঙ্গে নি কেউ যাবি
আমি মরে যাবো।।।
মরার সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যাবে কান্নাকাটির ভিড়
সবাই মোরে মাটি দিতে হইবে অস্থির।।
আমায় দেবে মাটি
আমায় দেবে মাটি ভুল ত্রুটি চেয়ে নেবে ক্ষমা
কেউবা এসে হিসাব করবে কোন ব্যাংকে কি জমা?
আমি মরে যাবো।
আমি তো মরে যাবো
চলে যাবো রেখে যাবো সবই
আছস নি কেউ সঙ্গের সাথী
সঙ্গে নি কেউ যাবি
আমি মরে যাবো।
মরে যাবো রেখে যাবো দুনিয়ার সম্পদ
সেই সম্পত্তি ডেকে আনবে আপদ আর বিপদ।।
সম্পদ ভাগের জন্য
সম্পদ ভাগের জন্য মন মালিন্য হবে সুত্রপাত
একজনকে করবে আরেকজন আঘাত অপবাদ
আমি মরে যাবো।
আমি তো মরে যাবো
চলে যাবো রেখে যাবো সবই
আছস নি কেউ সঙ্গের সাথী
সঙ্গে নি কেউ যাবি
আমি মরে যাবো।
গানের ছন্দে মন আনন্দে মাথা ঝোলাও তালে
বুঝলি না কি অন্ধ মানুষ গায়কে কি বলে।।
সবার হাতে ধরি
সবার হাতে ধরি পায়ে পড়ি বেঁধে নাও সামান
কিতাবে কয় ওপারের ডাক ভয়ঙ্কর নিদান
আমি মরে যাবো।
আমি তো মরে যাবো
চলে যাবো রেখে যাবো সবই
আছস নি কেউ সঙ্গের সাথী
সঙ্গে নি কেউ যাবি
আমি মরে যাবো।।।

প্রেম তুমি প্রেম তুমি

  • শিল্পীঃ আর্ক
  • অ্যালবামঃ জন্মভুমি


প্রেম তুমি প্রেম তুমি
তুমি সুর্যাদয়ে যেন বনকোকিল
সুরেলা কোন মধুবীণা
আর অস্তগামী হলে জোছনাতে
রুপালী চাঁদে ঝি ঝি ডাকা
পড়ন্ত দুপুর ফুলে ফুলে সুবাসিনী মায়াবিনী
অশান্ত বিকেলে ক্লান্তিতে দখিনা হাওয়া
তুমি যেন রংধনু সাত রঙ্গে রং
লুকোচুরি সোনালী ফসলের
নয়ন জুড়ি যেন
কাল বৈশাখী প্রলয় শেষে
নতুন দিনের আলোয় সাজানো বনভুমি
প্রকৃতি অকৃত্তিম সুন্দর আলো আধারে
তেমনি হে প্রেম তুমি সুন্দর দুটি অন্তরে
প্রেম সত্য প্রেম শ্বাশ্বত প্রেম অবিনশ্বর
এমনও প্রেমের মাঝেই রহিত ঈশ্বর
তুমি যেন রংধনু সাত রঙ্গে রং
লুকোচুরি সোনালী ফসলের
নয়ন জুড়ি যেন
কাল বৈশাখী প্রলয় শেষে
নতুন দিনের আলোয় সাজানো বনভুমি

নয়না বোঝে না

নয়না বোঝে না প্রেম কারে কয়
আমার মন না লইয়া যারে তারে লয়
চাঁদ জাগে তারা জাগে সবাই সুখী হয়
আমার সুখ নয়না সেতো আমার নয়।
তোম রা আমায় বলো
কিভাবে মেনে নেব
সে যদি অন্ন কারো হয়
এমন ভালবেসে কেউ বলবে না
নয়না ছাড়া জীবন আমার চলবেনা।
তোমরা আমায় বলো
কিভাবে মেনে নেব
সে যদি অন্ন কারো হয়

সুখ আসে

  • শিল্পীঃ ডিফারেন্ট টাচ
  • অ্যালবামঃ শ্রাবনের মেঘ
 
সুখ আসে সুখ যায় চলে যায়

তবু রয় কিছু কথা মন চায় ভালোবাসা

এই তো জীবন।

চাঁদ যদি আকাশে রয় থেমে রয়

রাত তারে কভু কি জানাবে বিদায়।

জোছনা ছড়াবে সে অমন

তবু রয় কিছু কথা

প্রাণের আকুলতা

এই তো জীবন।

ঝরণা সে চলেছে দূর মোহনায়

হারাবে সে কি জানি কোন অজানায়

সাগর করেছে আহবান

তাই পাথরের বুক চিরে

ছুটে চলে পিছু না ফিরে

এই তো জীবন।।

সুখ আসে সুখ জায় চলে যায়

তবু রয় কিছু কথা মন চায় ভালোবাসা

এই তো জীবন।

চাঁদ যদি আকাশে রয় থেমে রয়

রাত তারে কভু কি জানাবে বিদায়।

জোছনা ছড়াবে সে অমন

তবু রয় কিছু কথা

প্রাণের আকুলতা

এই তো জীবন।

ঝরণা সে চলেছে দূর মোহনায়

হারাবে সে কি জানি কোন অজানায়

সাগর করেছে আহবান

তাই পাথরের বুক চিরে

ছুটে চলে পিছু না ফিরে

এই তো জীবন।।

এতো চাই

  •  আর্ক
  • অ্যালবামঃ জন্মভুমি


এতো চাই তবুও কেনো পাইনা
অতটা চাইওনি যতটা পাওয়ার নয়
আমি আজ বেদনাহত
অতটা পাইওনি যতটা চাওয়ার নয়
যদি তা চাইতাম ফিরে যেতাম
সেই অতীত জীবনের ভুমিকায়
দুর বহুদুরে সুরে সুরে
কোনো অতৃপ্ত তৃপ্তির বাসনায়
নতুন করে শুধ্ রে নিতাম
চাওয়াপাওয়ার হিসেবটুকু

ছোট্ট যারা শিশু শ্রমিক
ছোট্ট দুটি হাত
অমানমিক শ্রম বিনিময়
অল্প কটা ভাত
রক্ত পানির ন্যায্য পাওনা
কেন সয় না,সয়না
এতো চাই তবুও কেনো পাইনা
অতটা চাইওনি যতটা পাওয়ার নয়

সৃষ্ট কর্মে পুরষ্কারে
জুড়াবে তো নয়
স্রষ্টার আশীর্বাদে
সৃষ্টি যেনো হয়
ক্ষুদ্র আমার ক্ষুদ্র চাওয়া
ক্ষুদ্র সীমানা,সীমানা

বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১৬

তোমারই পরশ

- আরেফিন রুমি 

আমি যত বেশী ভালবাসি তোমায়
তার চেয়ে বেশী ভালবাসতে চাই৷
আমি যত বেশী আছে আসি তোমার
তার চেয়ে আরো কাছে আসতে চাই৷

ভালবেসে আমাকে, নাও জড়িয়ে,
তোমার প্রেমের ছোঁয়াতে দাও রাঙ্গিয়ে৷
ভালবেসে আমাকে, নাও জড়িয়ে,
তোমার প্রেমের ছোঁয়াতে দাও রাঙ্গিয়ে৷

সকালের সোনা রোঁদ প্রতিদিন, আমার ঘুম ভাঙ্গায়,
চোখ মেলে এ হৃদয় তোমারই পরশ চায়৷
সকালের সোনা রোঁদ প্রতিদিন, আমার ঘুম ভাঙ্গায়,
চোখ মেলে এ হৃদয় তোমারই পরশ চায়৷

ভালবেসে আমাকে, নাও জড়িয়ে,
তোমার প্রেমের ছোঁয়াতে দাও রাঙ্গিয়ে৷
ভালবেসে আমাকে, নাও জড়িয়ে,
তোমার প্রেমের ছোঁয়াতে দাও রাঙ্গিয়ে৷

হিমেল হাওয়াতে এ মন, জুড়ালে গো হায়
তবুও এই মন, জুড়ে নাতো-
যদি কাছে না পাই তোমায়৷
হিমেল হাওয়াতে এ মন, জুড়ালে গো হায়
তবুও এই মন, জুড়ে নাতো-
যদি কাছে না পাই তোমায়৷

ভালবেসে আমাকে, নাও জড়িয়ে,
তোমার প্রেমের ছোঁয়াতে দাও রাঙ্গিয়ে৷
ভালবেসে আমাকে, নাও জড়িয়ে,
তোমার প্রেমের ছোঁয়াতে দাও রাঙ্গিয়ে৷

মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০১৬

Happy Woman's Day

Stop Violence Against Women

ও যার আপন খবর

ও যার আপন খবর আপনার হয় না,
একবার আপনারে চিনতে পারলে রে
যাবে অচেনারে চেনা।।
ও সাঁই নিকট থেকে দূরে দেখায়
যেমন কেশের আড়ে পাহাড় লুকায় দেখ না।
আমি ঘুরে এলাম সারা জগত রে
তবু মনের গোল তো যায় না।।
ও সে আমৃত সাগরের সুধা-
সুধা খাইলে জীবের ক্ষুধা-তৃষ্ণা রয় না।
ফকির লালন মরল জল-পিপাসায় রে
কাছে থাকতে নদী মেঘনা।।

আমার গানের মালা


আমার গানের মালা
আমি করব কারে দান।
মালার ফুলে জড়িয়ে আছে
করুণ অভিমান।
মালা করব কারে দান।।
চোখে মলিন কাজল রেখা
কন্ঠে কাঁদে কুহু কেকা।
কপোলে যার অশ্রু রেখা
একা যাহার প্রাণ।।
শাঁখায় ছিল কাঁটার বেদন
মালায় শুচির জ্বালা।
কন্ঠে দিতে সাহস না পাই
অভিশাপের মালা।
বিরহে যার প্রেমারতি
আঁধার লোকের অরুণধুতি।
নাম না জানা সেই তপোতী
তার তরে এই গান।।

নারী

– কাজী নজরুল ইসলাম

সাম্যের গান গাই-
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।

বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি,
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
নরককুন্ড বলিয়া কে তোমা’ করে নারী হেয়-জ্ঞান?
তারে বলো, আদি পাপ নারী নহে, সে যে নর-শয়তান।
অথবা পাপ যে-শয়তান যে-নর নহে নারী নহে,
ক্লীব সে, তাই সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে।
এ-বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল, ফলিয়াছে যত ফল,
নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল।
তাজমহলের পাথর দেখেছ, দেখিয়াছে যত ফল,
অন্তরে তার মোমতাজ নারী, বাহিরেতে শা-জাহান।
জ্ঞানের লক্ষ্মী, গানের লক্ষ্মী, শস্য লক্ষ্মী নারী,
সুষমা-লক্ষ্মী নারীই ফিরিছে রূপে রূপে সঞ্চারি’।
পুরুষ এনেছে যামিনী-শানি-, সমীরণ, বারিবাহ!
দিবসে দিয়াছে শক্তি সাহস, নিশীতে হ’য়েছে বধূ,
পুরুষ এসেছে মরুতৃষা ল’য়ে, নারী যোগায়েছে মধু।
শস্যক্ষেত্র উর্বর হ’ল, পুরুষ চালাল হল,
নারী সেই মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল।
নর বাহে হল, নারী বহে জল, সেই জল-মাটি মিশে
ফসল হইয়া ফলিয়া উঠিল সোনালী ধানের শীষে।
স্বর্ণ-রৌপ্যভার,
নারীর অঙ্গ-পরশ লভিয়া হ’য়েছে অলঙ্কার।
নারীর বিরহে, নারীর মিলনে, নর পেল কবি-প্রাণ,
যত কথা তার হইল কবিতা, শব্দ হইল গান।
নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা, সুধায় ক্ষুধায় মিলে,
জন্ম লভিছে মহামানবের মহাশিশু তিলে তিলে!
জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান,
মাতা ভগ্নী ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।
কোন রণে কত খুন দিল নর লেখা আছে ইতিহাসে,
কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।
কত মাতা দিল হৃদয় উপড়ি’ কত বোন দিল সেবা,
বীরের স্মৃতি-স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?
কোনো কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারী,
প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী।
রাজা করিতেছে রাজ্য-শাসন, রাজারে শাসিছে রাণী,
রাণীর দরদে ধুইয়া গিয়াছে রাজ্যের যত গ্লানি।
পুরুষ হৃদয়-হীন,
মানুষ করিতে নারী দিল তারে আধেক হৃদয় ঋণ।
ধরায় যাঁদের যশ ধরে না’ক অমর মহামানব,
বরষে বরষে যাঁদের স্মরণে করি মোরা উৎসব,
খেয়ালের বশে তাঁদের জন্ম দিয়াছে বিলাসী পিতা,-
লব-কুশে বনে ত্যজিয়াছে রাম, পালন ক’রেছে সীতা।
নারী সে শিখা’ল শিশু-পুরুষেরে স্নেহ প্রেম দয়া মায়া,
দীপ্ত নয়নে পরা’ল কাজল বেদনার ঘন ছায়া।
অদ্ভুতরূপে পুরুষ পুরুষ করিল সে ঋণ শোধ,
বুকে ক’রে তারে চুমিল যে, তারে করিল সে অবরোধ!
তিনি নর-অবতার-
পিতার আদেশে জননীরে যিনি কাটেন হানি’ কুঠার।
পার্শ্ব ফিরিয়া শুয়েছেন আজ অর্ধনারীশ্বর-
নারী চাপা ছিল এতদিন, আজ চাপা পড়িয়াছে নর।
সে যুগ হয়েছে বাসি,
যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না ক’, নারীরা আছিল দাসী!
বেদনার যুগ, মানুষের যুগ, সাম্যের যুগ আজি,
কেহ রহিবে না বন্দী কাহারও , উঠিছে ডঙ্কা বাজি’।
নর যদি রাখে নারীরে বন্দী, তবে এর পর যুগে
আপনারি রচা ঐ কারাগারে পুরুষ মরিবে ভুগে!
যুগের ধর্ম এই-
পীড়ন করিলে সে পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই।
শোনো মর্ত্যের জীব!
অন্যেরে যত করিবে পীড়ন, নিজে হবে তত ক্লীব!
স্বর্ণ-রৌপ্য অলঙ্কারের যক্ষপুরীতে নারী
করিল তোমায় বন্দিনী, বল, কোন্‌ সে অত্যাচারী?
আপনারে আজ প্রকাশের তব নাই সেই ব্যাকুলতা,
আজ তুমি ভীরু আড়ালে থাকিয়া নেপথ্যে কও কথা!
চোখে চোখে আজ চাহিতে পার না; হাতে রুলি, পায় মল,
মাথার ঘোমটা ছিঁড়ে ফেল নারী, ভেঙে ফেল ও-শিকল!
যে ঘোমটা তোমা’ করিয়াছে ভীরু, ওড়াও সে আবরণ,
দূর ক’রে দাও দাসীর চিহ্ন, যেথা যত আভরণ!
ধরার দুলালী মেয়ে,
ফির না তো আর গিরিদরীবনে পাখী-সনে গান গেয়ে।
কখন আসিল ‘প্নুটো’ যমরাজা নিশীথ-পাখায় উড়ে,
ধরিয়া তোমায় পুরিল তাহার আঁধার বিবর-পুরে!
সেই সে আদিম বন্ধন তব, সেই হ’তে আছ মরি’
মরণের পুরে; নামিল ধরায় সেইদিন বিভাবরী।
ভেঙে যমপুরী নাগিনীর মতো আয় মা পাতাল ফুঁড়ি’!
আঁধারে তোমায় পথ দেখাবে মা তোমারি ভগ্ন চুড়ি!
পুরুষ-যমের ক্ষুধার কুকুর মুক্ত ও পদাঘাতে
লুটায়ে পড়িবে ও চরণ-তলে দলিত যমের সাথে!
এতদিন শুধু বিলালে অমৃত, আজ প্রয়োজন যবে,
যে-হাতে পিয়ালে অমৃত, সে-হাতে কূট বিষ দিতে হবে।
সেদিন সুদূর নয়-
যেদিন ধরণী পুরুষের সাথে গাহিবে নারীরও জয়!

রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১৬

জিতবে এবার জিতবে ক্রিকেট

জিতবে এবার জিতবে ক্রিকেট

জিতবে এবার জিতবে ক্রিকেট
জিতবে এবার জিতবে ক্রিকেট
আরো জোরে সবার আগে
চতুর্পাশে ক্রিকেট তাপে
চার ছক্কা মাঠ পেরিয়ে
খেলছে দ্যাখো দামাল ছেলে।
পেরিয়ে বাঁধা, ঘূর্ণি ধাঁধাঁ, কিংবা গতির তুমুল কোনো ঝড়
কোরাসঃ
মার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে উড়িয়ে উড়িয়ে
মার ঘুরিয়ে উড়িয়ে
জিতবে এবার জিতবে ক্রিকেট..
জিতবে ক্রিকেট
বাতাস কেটে, তুমুল বেগে, হাজার উল্লাসে জয়ের নিশান গড়।।
আকাশে আজ তোরই কথা
নীল মেঘ চায় তোর বন্ধুতা
রোদ্দুর তোর সাহস ঘামে
জড়িয়ে দেখ বিজয় আনে..
তোকে দেখে তরুণ যুবা, হাজার অযুত দৃপ্ত শপথ
তোকে দেখে সবুজ পাতা, বৃষ্টি ভেজা এই যে পথ।।
গ্যালারি দ্যাখো রুদ্ধশ্বাসে, অপেক্ষা আজ বিজয়ীর
শেষ ওভার, বল আসছে ছুটে, বিজয় ছিনিয়ে আনবে বীর...
উল্লাসে তাই পড়ছে ফেটে, হাজার কোটি ক্রিকেট ফ্যান
ক্রিকেট জ্বরে পুড়ছে বিশ্ব, ক্রিকেট ক্রিকেট গাই জয়গান
কোরাসঃ
মার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে উড়িয়ে উড়িয়ে
মার ঘুরিয়ে উড়িয়ে
জিতবে এবার জিতবে ক্রিকেট...

Best Wishes for Bangladesh Cricket Team


Best Wishes for Bangladesh Cricket Team