অঞ্জন দত্ত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অঞ্জন দত্ত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭

দু’টো মানুষ

অঞ্জন দত্ত

দু’টো মানুষ
এসাথে কত পথ চলা
হাতে হাত রেখে কথা বলা
কেন সব করে অবহেলা
কেন শেষ-মেষে এসে বিদায়
ফুলদানি
আছড়ে ভেঙ্গে চুড়মার
ফুল জল সব একাকার
নেমে আসে অন্ধকার
জানালার বাইরে নেমে আসে রাত
দু’টো বালিশ
কত স্বপ্ন ভালোবাসা বোঝাই
দেখে যায় এই কুৎসিত লড়াই
আশা আকাংখা সব পুড়ে ছাই
কেউ মুখ ফুটে কিছু বলে না
টেবিল ল্যাম্পের আধো অন্ধকারে
ভাঙ্গাচোড়া মন দুটো গুমড়ে গুমড়ে মরে
দুজনেই বসে থাকে হাত ধরবে বলে
কেউ মুখ ফুটে কিছুই বলে না
ভগবান তাই নেমে আসে না
আসে সকাল
চোখ মুছে চিঠি লেখা
ব্রিফকেস হাতে ট্যাক্সি ডাকা
ফিরে না তাকিয়ে দেখা
ইশ…
এইভাবে কেউ চলে যায়

duto manush

ম্যারী এ্যান


শিল্পীঃ অঞ্জন দত্ত
অ্যালবামঃ পুরোনো গীটার


কালো সাহেবের মেয়ে ইশকুল পালিয়ে
ধরতে তোমার দুটো হাত
কত মার খেয়েছি মুখ বুজে সয়েছি
অন্যায় কত অপবাদ
বয়স তখন ছিলো পনেরো তাই ছিলো
স্বপ্ন দেখার ব্যারাম
মাথার ভেতর ছিলো এলভিস প্রিসলি
খাতার ভেতর তোমার নাম
ম্যারী এ্যান
ম্যারী ম্যারী এ্যান
ম্যারী এ্যান ম্যারী
করে সব এলোমেলো এলভিস চলে গেলো
কেটে গেলো বছর অনেক
তোমারো মামা কাকা একে একে পাড়ি দিলো
সব্বাই মিলে বিলেত
রয়ে গেলে তোমরা আকড়ে রিপন স্ট্রিট
দু’টো ঘর সিড়ির তলায়
নোনা দেয়াল থেকে যীশূ ছলছল চোখে
হাত তুলে আশ্বাস দেয় এখনো
ম্যারী এ্যান
ম্যারী ম্যারী এ্যান
ম্যারী এ্যান ম্যারী
রিকশায় চড়ে তুমি দুলে দুলে চলে যাও
আমার পাড়া দিয়ে প্রায়ই
পাক ধরে গেছে চুলে গাল দুটো গেছে ঝুলে
নিয়মিত অবহেলায়
কোন এক অফিসেতে শর্ট হ্যান্ড নিতে নিতে
নখগুলো গেছে ক্ষয়ে
ছোট্ট বেলার প্রেম আমার কালো মেম
কোথায় গেলে হারিয়ে
ম্যারী এ্যান
ম্যারী ম্যারী এ্যান
ম্যারী এ্যান ম্যারী
তোমার বাবা ছিলো ইঞ্জিন ড্রাইভার
আমার বনেদি ব্যবসা
বংশের ইজ্জত রাখতে হলে বউ হতে হবে ফর্সা
বাঙালীর ছেলে তাই গলায় গামছা দিয়ে
ফেললাম করে বিয়ে
ছোট্ট বেলার প্রেম আমার কালো মেম
কোথায় গেলে হারিয়ে
ম্যারী এ্যান
ম্যারী ম্যারী এ্যান
ম্যারী এ্যান ম্যারী

যাচ্ছে জমে কত আড্ডাতর্ক




অঞ্জন দত্ত


যাচ্ছে জমে কত আড্ডাতর্ক

যাচ্ছে ভেঙে কত কত সম্পর্ক

বিগড়ে যাচ্ছে কত দম দেয়া যন্ত্র

এত সব যাচ্ছে কোথায়? '...

যাচ্ছে খুলে আবার ইশকুলগুলো

যাচ্ছে পড়ে মাথার সব চুলগুলো

যাচ্ছে হয়ে বারবার একই ভুলগুলো

এতসব যাচ্ছে কোথায়?

যাচ্ছে সরে মেঘ চাঁদটাকে ছাড়িয়ে

যাচ্ছে সবাই রোজ জঞ্জাল মাড়িয়ে

যাচ্ছে নেশার ঘোরে জিভটা জড়িয়ে

এতসব যাচ্ছে কোথায়?

---------------------------------অসম্পূর্ণ

বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৬

এটা কি ২৪৪১১৩৯

চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা
সম্বন্ধটা এই বার তুমি ভেস্তে দিতে পারো
মা-কে বলে দাও বিয়ে তুমি করছো না।

চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি
আর মাত্র কয়েকটা মাস ব্যাস
স্টার্টিংয়েই ওরা ১১০০ দেবে তিন মাস পরে কনফার্ম
চুপ করে কেন বেলা কিছু বলছো না
এটা কি ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না ডেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে পাবলিক টেলিফোনের
জরুরি খুব জরুরি দরকার।
স্বপ্ন এবার হয়ে যাবে বেলা সত্যি
এতোদিন ধরে এতো অপেক্ষা
রাস্তার কতো সস্তা হোটেলে
বদ্ধ ক্যাবিনে বন্দী দুজনে
রুদ্ধশ্বাস কতো প্রতীক্ষা।

আর কিছু দিন তারপর বেলা মুক্তি
কসবার ঐ নীল দেয়ালের ঘর
সাদা-কালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে
তোমার আমার লাল-নীল সংসার।
এটা কি ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না ডেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে পাবলিক টেলিফোনের
জরুরি খুব জরুরি দরকার।

চুপ করে কেন একি বেলা তুমি কাঁদছো
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি সত্যি
কান্নাকাটির হল্লাহাটির সময় গেছে পেরিয়ে
হ্যালো তুমি শুনতে পাচ্ছো কি।
এটা কি ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না ডেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে এই পাবলিক টেলিফোনের
জরুরি খুব জরুরি দরকার।

হ্যালো ২৪৪১১৩৯…
হ্যালো ধুর ছাই হ্যালো ২৪৪১১৩৯ …।

অঞ্জন দত্ত

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি একেছি

অঞ্জন দত্ত

আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি একেছি
আমি রোদে পুড়ে,ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি
আমার আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামেনি
---------------------?
আমি বৃষ্টি দেখেছি
চারটে দেয়াল মানেই নয়তো ঘর
নিজের ঘরেও অনেক মানুষ পর
কখন কিসের টানে মানুষ
পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে
ঝাপসা চোখে দেখা এই শহর
আমি অনেক ভেঙ্গেচুরেও আবার শুরু করেছি
আবার পাওয়ার আশায় ঘুরে মরেছি
আমি অনেক হেরে গিয়েও হারটা স্বীকার করিনি
---------------------?
আমি বৃষ্টি দেখেছি
হারিয়ে গেছে তরতাজা সময়
হারিয়ে যেতে করেনি আমার ভয়
কখন কিসের টানে মানুষ
পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে
ঝাপসা চোখে দেখা এই শহর
আমি অনেক স্রোতে বয়ে গিয়ে অনেক ঠকেছি
আমি আগুন থেকে ঠেকে শিখে অনেক পুড়েছি
আমি অনেক কষ্টে অনেক কিছুই দিতে শিখেছি
শুধু নিতে শিখিনি...!

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

তুমি না থাকলে সকালটা এতো মিষ্টি হতো না




তুমি না থাকলে সকালটা এতো মিষ্টি হতো না
তুমি না থাকলে মেঘ করে যেত বৃষ্টি হতো না
তুমি না থাকলে মন কষাকষি, করে হাসাহাসি নাক ঘষাঘষি
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা।

তুমি না থাকলে চাঁদটার গায়ে পড়ে যেত মরচে
তুমি না থাকলে কিপটে লোকটা হতো না যে খরচে
তুমি না থাকলে স্বপ্নের রং হয়ে যেত খয়েরী
বনবন করে দুনিয়াটা এই পারতো না ঘুরতে
তুমি না থাকলে রবীন্দ্রনাথ কালির দোয়াত মাথায় ঠুকে হতো কুপোকাত
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা।

তুমি না থাকলে সুমন কেলেঙ্কারী করতো কত
গীটার ফেলে গুয়েতেমালায় নামটা শেখাতে হতো
পাশের বাড়ির মেয়েটা পাশের পাড়ার ছেলের সাথে
তুমি না থাকলে এইভাবে কি বাড়িটা ছেড়ে পালাতো
তুমি না থাকলে তাজমহলটা বানানোই হতো না
লাঠালাঠি এই কাটাকাটি কিছু থামানোই যেত না
তুমি না থাকলে মোনালিসা কবে হয়ে যেত গম্ভীর
তুমি না থাকলে তোমার চিঠি জমানোই হতো না
তুমি না থাকলে রোমিও কবে
হোমিওপ্যাথির দোকান খুলে জমিয়ে দিতো
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা

————
অঞ্জন দত্ত

কাঞ্চনজংঘা




 অঞ্জন দত্ত

অঞ্জন দত্ত

একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশী রোজগার
ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়

পারলো না কিছুতেই তোমার কলকাতা আমাকে ভুলিয়ে দিতে
পাহাড়ি রাস্তার ধারে বস্তির আমার কাঞ্চনকে

কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজংঘা কাঞ্চন মন
তো পাইলে সোনা অনু লইয়ো
মউল্লা হাঙচুকাঞ্চন

সোনার খোঁজে কেউ কতদুর দেশে যায় আমি কলকাতায়
সোনার স্বপ্ন খুঁজে ফিরি একা একা তোমাদের ধর্মতলায়
রাত্রির নেমে এলে তিনশো বছরের সিমেন্টের জঙ্গলে
ফিরে চলে যাই সেই পাহাড়ি বস্তির কাঞ্চনের কোলে

জং ধরা রঙ চটা পার্কের বেঞ্চিটা আমার বিছানা
কখন যে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো আমাকে তোমাদের থানা
তিন মাস জেল খেটে এখন আমি সেই থানার দারোয়ান
পারবো না ফিরে পেতে হয়তো কোনদিন আমার সেই কাঞ্চন

কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজংঘা কাঞ্চন মন
তো পাইলে সোনা অনু লইয়ো
মউল্লা হাঙচুকাঞ্চন

বেড়াতে যদি তুমি যাও কোনদিন আমার ক্যালিংপঙ
জেনে রেখো শংকর হোটেলের ভাড়া টুরিস্ট লজের থেকে কম
রাত্রির নেমে এলে আসবে তোমার ঘরে চুল্লিটা জ্বালিয়ে দিতে
আর কেউ নয় সে যে আমার ফেলে আসা নীলচে পাহাড়ি মেয়ে

বলো না তাকে আমি দারোয়ান শুধু বলো করছি ভালোই রোজগার
ঐ বস্তির ড্রাইভার চিগমির সাথে যেন বেঁধে না ফেলে সংসার
আর কিছু টাকা আমি জমাতে পারলে যাবো যাবো ফিরে
পাহাড়ি রাস্তার ধারের বস্তির আমার নিজের ঘরে

আর যদি দেখ তার কপালে সিঁদুর বলো না কিছু তাকে আর
শুধু এই সত্তর টাকা তুমি যদি পারো গুজে দিও হাতে তার
ট্রেনের টিকিটের ভাড়াটা সে দিয়েছিলো কানের মাকড়ী বেঁচে
ভালোবাসার সেই দাম তুমি দিয়ে দিও আমার কাঞ্চনকে

কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজংঘা কাঞ্চন মন
তুমি যাকে বলো সোনা
আমি তাকে বলি কাঞ্চন

কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজংঘা কাঞ্চন মন
তো পাইলে সোনা অনু লইয়ো
মউল্লা হাঙচুকাঞ্চন