Rabindra Sangeet লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Rabindra Sangeet লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২

আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি, 
তুমি অবসরমত বাসিয়ো।
নিশিদিন হেথায় বসে আছি,
তোমার যখন মনে পড়ে আসিয়ো ॥
আমি সারানিশি তোমা-লাগিয়া
রব বিরহশয়নে জাগিয়া--
তুমি নিমেষের তরে প্রভাতে
এসে মুখপানে চেয়ে হাসিয়ো ॥
তুমি চিরদিন মধুপবনে
চির- বিকশিত বনভবনে
যেয়ো মনোমত পথ ধরিয়া
তুমি নিজ সুখস্রোতে ভাসিয়ো।
যদি তার মাঝে পড়ি আসিয়া
তবে আমিও চলিব ভাসিয়া,
যদি দূরে পড়ি তাহে ক্ষতি কী--
মোর স্মৃতি মন হতে নাশিয়ো ॥

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1296

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1889

ami nishi din tomay

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

ওলো সই, ওলো সই

ওলো সই, ওলো সই,

আমার ইচ্ছা করে তোদের মতন মনের কথা কই।
ছড়িয়ে দিয়ে পা দুখানি কোণে বসে কানাকানি,

কভু হেসে কভু কেঁদে চেয়ে বসে রই।
ওলো সই, ওলো সই,

তোদের আছে মনের কথা, আমার আছে কই।
আমি কী বলিব, কার কথা, কোন্‌ সুখ, কোন্‌ ব্যথা–

নাই কথা, তবু সাধ কত কথা কই।।
ওলো সই, ওলো সই,

তোদের এত কী বলিবার আছে ভেবে অবাক হই।
আমি একা বসি সন্ধ্যা হলে আপনি ভাসি নয়নজলে

কারণ কেহ শুধাইলে নীরব হয়ে রই।।

বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে

রবীন্দ্র সংগীত 

পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে
পাগল আমার মন জেগে ওঠে॥
চেনাশোনার কোন বাইরে যেখানে পথ নাই নাই রে
সেখানে অকারণে যায় ছুটে॥

ঘরের মুখে আর কি রে কোনো দিন সে যাবে ফিরে।
যাবে না, যাবে না–
দেয়াল যত সব গেল টুটে॥

বৃষ্টি-নেশা-ভরা সন্ধ্যাবেলা কোন বলরামের আমি চেলা,
আমার স্বপ্ন ঘিরে নাচে মাতাল জুটে–
যত মাতাল জুটে।

যা না চাইবার তাই আজি চাই গো,
যা না পাইবার তাই কোথা পাই গো।

পাব না, পাব না,
মরি অসম্ভবের পায়ে মাথা কুটে॥

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫

যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন

যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে,
চুকিয়ে দেব বেচা কেনা,
মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা,
বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে–
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
যখন জমবে ধুলা তানপুরাটার তারগুলায়,
কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়, আহা,
ফুলের বাগান ঘন ঘাসের পরবে সজ্জা বনবাসের,
শ্যাওলা এসে ঘিরবে দিঘির ধারগুলায়–
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
তখন এমনি করেই বাজবে বাঁশি এই নাটে,
কাটবে দিন কাটবে,
কাটবে গো দিন আজও যেমন দিন কাটে, আহা,
ঘাটে ঘাটে খেয়ার তরী এমনি সে দিন উঠবে ভরি–
চরবে গোরু খেলবে রাখাল ওই মাঠে।
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি।
সকল খেলায় করবে খেলা এই আমি– আহা,
নতুন নামে ডাকবে মোরে, বাঁধবে নতুন বাহু-ডোরে,
আসব যাব চিরদিনের সেই আমি।
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে॥

তুমি কোন্ কাননের ফুল

তুমি কোন্ কাননের ফুল,
কোন্ গগনের তারা।
তোমায় কোথায় দেখেছি
যেন কোন্ স্বপনের পারা ॥
তুমি কোন্ কাননের ফুল,
কোন্ গগনের তারা।

কবে তুমি গেয়েছিলে,
আঁখির পানে চেয়েছিলে ভুলে গিয়েছি।
শুধু মনের মধ্যে জেগে আছে ওই নয়নের তারা ॥
তুমি কোন্ কাননের ফুল,
কোন্ গগনের তারা।

তুমি কথা কোয়ো না,
তুমি চেয়ে চলে যাও।
এই চাঁদের আলোতে তুমি হেসে গ'লে যাও।
আমি ঘুমের ঘোরে চাঁদের পানে
চেয়ে থাকি মধুর প্রাণে,
তোমার আঁখির মতন দুটি তারা ,
ঢালুক কিরণধারা ॥

তুমি কোন্ কাননের ফুল,
কোন্ গগনের তারা।

একটুকু ছোঁয়া লাগে


একটুকু ছোঁয়া লাগে
একটুকু কথা শুনি
তাই দিয়ে মনে মনে
রচি মম ফাল্গুনি ।।

একটুকু ছোঁয়া লাগে একটুকু কথা শুনি।

কিছু পলাশের নেশা
কিছু বা চাঁপায় মেশা।।
তাই দিয়ে সুরে সুরে
রঙে রসে জাল বুনি।।
রচি মম ফাল্গুনি।

একটুকু ছোঁয়া লাগে
একটুকু কথা শুনি।

যেটুকু কাছেতে আসে ক্ষণিকের ফাঁকে ফাঁকে
চকিত মনের কোণে স্বপনের ছবি আঁকে ।।
যেটুকু যায়রে দূরে
ভাবনা কাঁপায় সুরে।।
তাই নিয়ে যায় বেলা
নূপুরের তাল গুনি ।।
রচি মম ফাল্গুনি।



একটুকু ছোঁয়া লাগে
একটুকু কথা শুনি
তাই দিয়ে মনে মনে
রচি মম ফাল্গুনি ।।

আমার পরান যাহা চায়

আমার পরান যাহা চায় তুমি তাই, তুমি তাই গো।
তোমা ছাড়া আর এ জগতে মোর কেহ নাই কিছু নাই গো॥
তুমি সুখ যদি নাহি পাও, যাও সুখের সন্ধানে যাও--
আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে, আর কিছু নাহি চাই গো॥
আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন, তোমাতে করিব বাস,
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ মাস।
যদি আর-কারে ভালোবাস, যদি আর ফিরে নাহি আস,
তবে, তুমি যাহা চাও, তাই যেন পাও, আমি যত দুখ পাই গো॥

amaro porano jaha chay

শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

কতবার ভেবেছিনু

রবীন্দ্রসঙ্গীত

কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া
তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া।
চরণে ধরিয়া তব কহিব প্রকাশি
গোপনে তোমারে, সখা, কত ভালোবাসি।
ভেবেছিনু কোথা তুমি স্বর্গের দেবতা,
কেমনে তোমারে কব প্রণয়ের কথা।
ভেবেছিনু মনে মনে দূরে দূরে থাকি
চিরজন্ম সঙ্গোপনে পূজিব একাকি--
কেহ জানিবে না মোর গভীর প্রণয়,
কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুবারিচয়।
আপনি আজিকে যবে শুধাইছ আসি,
কেমনে প্রকাশি কব কত ভালোবাসি।

kotobaro vebe sinu apona 

বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে


সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে,  
শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, 
শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে,
সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,   
না মানে সান্ত্বনা।। সুখ-আশে দিশে দিশে 
বেড়ায় কাতরে–
মরীচিকা ধরিতে চায় 
এ মরুপ্রান্তরে।।
ফুরায় বেলা, ফুরায় খেলা, 
সন্ধ্যা হয়ে আসে–
কাঁদে তখন আকুল-মন, 
কাঁপে তরাসে।।
কী হবে গতি, বিশ্বপতি, 
শান্তি কোথা আছে–
তোমারে দাও, আশা পূরাও, 
তুমি এসো কাছে।।

sokatore oi

কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা

কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে।
মেলে দিলেম গানের সুরের এই ডানা মনে মনে।
তেপান্তরের পাথার পেরোই রূপ-কথার,
পথ ভুলে যাই দূর পারে সেই চুপ্‌-কথার–
পারুলবনের চম্পারে মোর হয় জানা মনে মনে।।
সূর্য যখন অস্তে পড়ে ঢুলি মেঘে মেঘে আকাশ-কুসুম তুলি।
সাত সাগরের ফেনায় ফেনায় মিশে
আমি যাই ভেসে দূর দিশে–
পরীর দেশের বন্ধ দুয়ার দিই হানা মনে মনে।

kothao amar hariye jawar nei mana

আমার সোনার হরিণ চাই

তোরা যে যা বলিস ভাই,আমার সোনার হরিণ চাই ।
মনোহরণ চপলচরণ সোনার হরিণ চাই ॥
 সে-যে চমকে বেড়ায় দৃষ্টি এড়ায়, যায় না তারে বাঁধা ।
সে-যে নাগাল পেলে পালায় ঠেলে, লাগায় চোখে ধাঁদা ।
 আমি ছুটব পিছে মিছে মিছে পাই বা নাহি পাই—
আামি আপন-মনে মাঠে বনে উধাও হয়ে ধাই ॥
তোরা পাবার জিনিস হাটে কিনিস, রাখিস ঘরে ভরে—
যারে যায় না পাওয়া তারি হাওয়া লাগল কেন মোরে ।
আমার যা ছিল তা গেল ঘুচে যা নেই তার ঝোঁকে—
আমার ফুরোয় পুঁজি, ভাবিস, বুঝি মরি তারি শোকে ?
আমি আছি সুখে হাস্যমুখে, দুঃখ আমার নাই ।
আমি আপন-মনে মাঠে বনে উধাও হয়ে ধাই ॥

amar sonar horin chai