নজরুল গীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
নজরুল গীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৭

ওমা তোর ভুবনে জ্বলে এত আলো

কাজী নজরুল ইসলাম

ওমা তোর ভুবনে জ্বলে এত আলো
আমি কেন অন্ধ মাগো দেখি শুধু কালো॥
মা সর্বলোকে শক্তি ফিরিস নাচি
ওমা আমি কেন পঙ্গু হয়ে আছি
ওমা ছেলে কেন মন্দ হল জননী যার ভালো॥
তুই নিত্য মহা প্রসাদ বিলাস কৃপার দুয়ার খুলি
চির শুন্য রইল কেন আমার ভিক্ষা ঝুলি।
বিন্দু বারি পেলাম না মা সিন্ধুজলে রয়ে
মা ও তোর চোখের কাছে পড়ে আছি চোখের বালি হয়ে
মোর জীবন্মৃত এই দেহে মা চিতার আগুন জ্বালো॥

রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

রুম্ ঝুম্ ঝুম্ ঝুম্ রুম্ ঝুম্ ঝুম্

কাজী নজরুল ইসলাম


রুম্ ঝুম্ ঝুম্ ঝুম্ রুম্ ঝুম্ ঝুম্
খেজুর পাতার নূপুর বাজায়ে কে যায়।
ওড়না তাহার ঘূর্ণি হাওয়ায় দোলে
কুসুম ছড়ায় পথের বালুকায়।।
তার ভুরুর ধনুক বেঁকে ওঠে তনুর তলোয়ার,
সে যেতে যেতে ছড়ায় পথে পাথর-কুচির হার।
তার ডালিম ফুলের ডালি গোলাপ-গালের লালি
ঈদের-চাঁদ ও চায়।।
আরবি ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে, বাদ্‌শাজাদা বুঝি
সাহারাতে ফেরে সেই মরীচিকা খুঁজি
কত তরুণ মুসাফির পথ হারালো, হায়!
কত বনের হরিণ মরে তারি-রূপ তৃষায়।।

rum jhum 

মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০১৬

তৌহীদের মুর্শিদ আমার

তৌহীদের মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম ,
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম ।
ঐ নাম জপিলেই বুঝতে পারি খোদা কালাম ,
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম ।।
ঐ নামেরই রশি ধ’রে যাই আল্লাহ্‌র পথে ,
ঐ নামেরই ভেলায় চ’ড়ে ভাসি নূরের স্রোতে ,
ঐ নামেরই বাতি জ্বেলে’দেখি লোহ আরশ-ধামে
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম ।।
ঐ নামের দামন ধ’রে আছি , আমার কিসের ভয়
ঐ নামের গুণে পাব আমি খোদার পরিচয় ;
তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশতী তাঞ্জাম
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম ।।

এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল

এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল মিঠা নদীর পানি
খোদা তোমার মেহেরবানী।
শস্য শ্যামল ফসল ভরা মাটির ডালিখানি
খোদা তোমার মেহেরবানী।।
তুমি কতই দিলে রতন
ভাই বেরাদার পুত্র স্বজন।
ক্ষুধা পেলে অন্ন জোগাও।
মানি চাইনা মানি।।
খোদা! তোমার হুকুম তরক করি আমি প্রতি পায়
তবু আলো দিয়ে বাতাস দিয়ে বাঁচাও এ বান্দায়।
শ্রেষ্ঠ নবী দিলে মোরে
তরিয়ে নিতে রোজ- হাশরে।
পথ না ভুলি তাই তো দিলে
পাক কোরানের বাণী।।



সুরকারঃ কাজী নজরুল ইসলাম
গীতিকারঃ কাজী নজরুল ইসলাম

আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালুহু

আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালুহু
শেষ করা তো যায়না গেয়ে তোমার গুনগান
তুমি কাদের গফফার, তুমি জলিল জব্বার
অনন্ত অসীম তুমি রহিম রহমান।।
তুমি মাটির আদমকে প্রথম সৃষ্টি করিয়া
ঘোষনা করিয়া দিলে শ্রেষ্ঠ বলিয়া
তাই নুরের ফেরেশ্তা করে আদমকে সেজদা
সবার চেয়ে দিলে মাটির মানুষকে সন্মান।।
যখন ইউনুছ নবীরে খাইল মাছেতে গিলিয়া
ফেরেশতা পাঠাইলে তুমি এছমে আজম দিয়া
দমে দমেতে হরদম সে যে পেল পরিত্রান।।
শিশু মুছা নবীকে যখন দুশমনেরই ডরে
সিন্ধুকে ভরিয়া দিলে ভাসায়ে সাগরে
প্রানে ছিল যাহার ভয়, সেথায় পেল সে আশ্রয়
সেই দুশমনেরই হাতে তাঁহার বাঁচাইলে প্রান।।


শিল্পীঃ আব্দুল আলীম
ভক্তিমূলক গান

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

এই রাঙামাটির পথে লো

এই রাঙামাটির পথে লো
মাদল বাজে বাজে বাঁশের বাঁশি

ও বাঁশি বাজে বুকের মাঝে লো
মন লাগে না কাজে লো
রইতে নারি ঘরে আমার
প্রাণ হলো উদাসী লো

মাদলীয়ার তালে তালে
অঙ্গ ওঠে দুলে লো
দোল লাগে শাল পিয়াল বনে
নতুন খোপার ফুলে লো
মহুয়া বনে লুটিয়ে পরে
মাতাল চাঁদের হাসি লো

চোখে ভালো লাগে যাকে
তারে দেখবো পথের বাঁকে
তার চাচড় কেশে পড়িয়ে দেবো
ঝুমকো জবার ফুল লো
তার গলার মালার কুসুম কেড়ে
পড়বো কানের দুল
তার নাচের তালের ইশারাতে
বলবো ভালোবাসি লো

কতদিন দেখিনি তোমায় | kotodin dekhini tomay

কতদিন দেখিনি তোমায়
তবু মনে পড়ে তব মুখখানি
স্মৃতির মুকুরে মম আজ
তবু ছায়া পড়ে রানী
কতদিন দেখিনি তোমায়
কত দিন তুমি নাই কাছে,
তবু হৃদয়ের তৃষা জেগে আছে
প্রিয় যবে দূরে চলে যায়
সে যে আরও প্রিয় হয় জানি
কতদিন দেখিনি তোমায়
তবু মনে পড়ে তব মুখখানি
হয়ত তোমার দেশে আজ
এসেছে মাধবী রাতি
তুমি জোছনায় জাগিছো নিশি
সাথে লয়ে নতুন সাথী
হেথা মোর দীপ নেভা রাতে
নিদ নাহি দুটি আঁখি পাতে
প্রেম সে যে মরিচীকা হায়
এ জীবনে এই শুধু মানি
কতদিন দেখিনি তোমায়
তবু মনে পড়ে তব মুখখানি
স্মৃতির মুকুরে মম আজ
তবু ছায়া পড়ে রানী
কতদিন দেখিনি তোমায

শুক্‌নো পাতার নুপুর পায়ে

শুক্‌নো পাতার নুপুর পায়ে
নাচিছে ঘূর্ণী বায়।
জল-তরঙ্গে ঝিল্‌মিল্‌ ঝিল্‌মিল্‌
ঢেউ তুলে সে যায়।।

দীঘির বুকে শতদল দলি’,
ঝরায়ে বকুল চাঁপার কলি,
চঞ্চল ঝর্‌ণার জল ছলছলি,
মাঠের পথে সে ধায়।।
জল-তরঙ্গে ঝিল্‌মিল্‌ ঝিল্‌মিল্‌
ঢেউ তুলে সে যায়।।

শুক্‌নো পাতার নুপুর পায়ে
নাচিছে ঘূর্ণী বায়।
জল-তরঙ্গে ঝিল্‌মিল্‌ ঝিল্‌মিল্‌
ঢেউ তুলে সে যায়।।

বনফুল-আভরণ খুলিয়া ফেলিয়া,
আলুথালু এলোকেশ গগনে মেলিয়া ।।
পাগলিনী নেচে যায় হেলিয়া দুলিয়া
ধূলি-ধূসর কায়।।
জল-তরঙ্গে ঝিল্‌মিল্‌ ঝিল্‌মিল্‌
ঢেউ তুলে সে যায়।।

ইরানী বালিকা যেন মরু-চারিণী
পল্লীর প্রান্তর-বন মনোহারিণী ।।
ছুটে আসে সহসা গৈরিক-বরণী
বালুকার উড়নী গায়।।

প্রজাপতি প্রজাপতি

প্রজাপতি প্রজাপতি
প্রজাপতি প্রজাপতি
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা
টুকটুকে লাল নীল ঝিলিমিলি আঁকাবাঁকা।।

তুমি টুলটুলে বন-ফুলে মধু খাও
মোর বন্ধু হয়ে সেই মধু দাও,
ওই পাখা দাও সোনালী-রূপালী পরাগ মাখা।।
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা

মোর মন যেতে চায় না পাঠশালাতে
প্রজাপতি, তুমি নিয়ে যাও সাথী করে তোমার সাথে।
তুমি হাইয়ায় নেচে নেচে যাও
আর তোমার মত মোরে আনন্দ দাও,
এই জামা ভাল লাগে না দাও জামা ছবি-আঁকা।।
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা
প্রজাপতি প্রজাপতি
প্রজাপতি প্রজাপতি
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা
টুকটুকে লাল নীল ঝিলিমিলি আঁকাবাঁকা।।

এই শিকল পরা ছল

এই শিকল পরা ছল
মোদের এই শিকল পরা ছল
এই শিকল পরেই
শিকল তোদের করবো রে বিকল।।

তোদের বন্ধ কারায় আসা
মোদের বন্দী হতে নয়
ওরে ক্ষয় করতে আসা
মোদের সবার বাঁধন ভয়
এই বাঁধন পরেই বাঁধন ভয়কে
করব মোরা জয়
এই শিকল বাঁধা পা নয়
এ শিকল ভাঙ্গা কল।।

তোমরা বন্ধ ঘরের বন্ধনীতে করছ বিশ্ব গ্রাস
আর ত্রাশ দেখিয়ে করবে ভাবছ বিধির শক্তি গ্রাস ।।
সেই ভয় দেখানো ভু্তের মোরা করবো সর্বনাশ
এবার আনবো না হয় বিজয় মন্ত্র
বল হীরের দল
এই শিকল পরা ছল
মোদের এই শিকল পরা ছল

তোমরা ভয় দেখিয়ে করছ শাসন
জয় দেখিয়ে নয়
সেই ভয়ের টুটি ধরবো চেপে
করবো তারই লয় ।।
মোরা আসলি মরে
মরার দেশে আনবো পরাভয়
মোরা ফাসি পরেই আনবো হাসি
মৃত্যু জয়ের গল
এই শিকল পরা ছল
মোদের এই শিকল পরা ছল

ওরে ক্রন্দন নয় বন্ধন
এই শিকল ঝন ঝনা
এ যে মুক্তি পথের অগ্রদূতের
চরণ বন্দনা।
এই লাঞ্ছিতেরাই অত্যাচারকে
হানছে লাঞ্ছনা
ওদের অস্থি দিয়েই জ্বলবে দেশে
আবার বজ্রানল।
এই শিকল পরা ছল
মোদের এই শিকল পরা ছল

মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম

মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম
মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল,
মোরা বিধাতার মত নির্ভয়
মোরা প্রকৃতির মত স্বচ্ছল।।

মোরা আকাশের মত বাঁধাহীন
মোরা মরু সঞ্চার বেদুঈন,
বন্ধনহীন জন্ম স্বাধীন
চিত্তমুক্ত শতদল।।

মোরা সিন্ধু জোঁয়ার কলকল
মোরা পাগলা জোঁয়ার ঝরঝর।
কল-কল-কল, ছল-ছল-ছল।।

দিল খোলা খোলা প্রান্তর,
মোরা শক্তি অটল মহীধর।
হাসি গান শ্যাম উচ্ছল
বৃষ্টির জল বনফল খাই-
শয্যা শ্যামল বনতল।।

মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম
মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল,
মোরা বিধাতার মত নির্ভয়
মোরা প্রকৃতির মত স্বচ্ছল।।

মোরা আর জনমে হংস-মিথুন ছিলাম

মোরা আর জনমে হংস-মিথুন ছিলাম
ছিলাম নদীর চরে
যুগলরূপে এসেছি গো আবার মাটির ঘরে।।

তমাল তরু চাঁপা-লতার মত
জড়িয়ে কত জনম হ’ল গত
সেই বাঁধনের চিহ্ন আজো জাগে
জাগে হিয়ার থরে থরে।।

বাহুর ডোরে বেঁধে আজো ঘুমের ঘোরে যেন
ঝড়ের বন-লতার মত লুটিয়ে কাঁদ কেন
বনের কপোত কপোতাক্ষীর তীরে
পাখায় পাখায় বাঁধা ছিলাম নীড়ে
চিরতরে হ’ল ছাড়াছাড়ি
নিঠুর ব্যাধের শরে।।

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে

কাজী নজরুল ইসলাম

আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে–
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।

আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে –
বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার – ভাঙা কল্লোলে।
আসল হাসি, আসল কাঁদন
মুক্তি এলো, আসল বাঁধন,
মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে।
ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে –
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আসল উদাস, শ্বসল হুতাশ
সৃষ্টি-ছাড়া বুক-ফাটা শ্বাস,
ফুললো সাগর দুললো আকাশ ছুটলো বাতাস,
গগন ফেটে চক্র ছোটে, পিণাক-পাণির শূল আসে!
ঐ ধূমকেতু আর উল্কাতে
চায় সৃষ্টিটাকে উল্টাতে,

আজ তাই দেখি আর বক্ষে আমার লক্ষ বাগের ফুল হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ হাসল আগুন, শ্বসল ফাগুন,
মদন মারে খুন-মাখা তূণ
পলাশ অশোক শিমুল ঘায়েল
ফাগ লাগে ঐ দিক-বাসে
গো দিগ বালিকার পীতবাসে;

আজ রঙ্গন এলো রক্তপ্রাণের অঙ্গনে মোর চারপাশে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!
আজ কপট কোপের তূণ ধরি,
ঐ আসল যত সুন্দরী,
কারুর পায়ে বুক ডলা খুন, কেউ বা আগুন,
কেউ মানিনী চোখের জলে বুক ভাসে!
তাদের প্রাণের ‘বুক-ফাটে-তাও-মুখ-ফোটে-না’ বাণীর বীণা মোর পাশে
ঐ তাদের কথা শোনাই তাদের
আমার চোখে জল আসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!

আজ আসল ঊষা, সন্ধ্যা, দুপুর,
আসল নিকট, আসল সুদূর
আসল বাধা-বন্ধ-হারা ছন্দ-মাতন
পাগলা-গাজন-উচ্ছ্বাসে!
ঐ আসল আশিন শিউলি শিথিল
হাসল শিশির দুবঘাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আজ জাগল সাগর, হাসল মরু
কাঁপল ভূধর, কানন তরু
বিশ্ব-ডুবান আসল তুফান, উছলে উজান
ভৈরবীদের গান ভাসে,
মোর ডাইনে শিশু সদ্যোজাত জরায়-মরা বামপাশে।

মন ছুটছে গো আজ বল্গাহারা অশ্ব যেন পাগলা সে।
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!!

রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

কারার ঐ লৌহকপাট-



নজরুল গীতি

কারার ঐ লৌহকপাট,
ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট,
রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী
ওরে ও তরুণ ঈশান,
বাজা তোর প্রলয় বিষাণ
ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি

গাজনের বাজনা বাজা,
কে মালিক, কে সে রাজা,
কে দেয় সাজা মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে?
হা হা হা পায় যে হাসি, ভগবান পরবে ফাঁসি,
সর্বনাশী শিখায় এ হীন তথ্য কে রে!

ওরে ও পাগলা ভোলা,
দে রে দে প্রলয় দোলা,
গারদগুলা জোরসে ধরে হেচ্‌কা টানে
মার হাঁক হায়দারী হাঁক, কাধে নে দুন্দুভি ঢাক
ডাক ওরে ডাক, মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে

নাচে ওই কালবোশাখী,
কাটাবী কাল বসে কি
দেরে দেখি ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি
লাথি মার ভাঙ্গরে তালা,
যত সব বন্দী শালায়-আগুন-জ্বালা, আগুন-জ্বালা,
ফেল উপাড়ি।।

বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে

অনুপ জালোটা

খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে

বিরাট শিশু আনমনে।

প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা

নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
শূণ্যে মহা আকাশে

তুমি মগ্ন লীলা বিলাসে

ভাঙ্গিছ গড়িছ নীতি ক্ষণে ক্ষণে

নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
তারকা রবি শশী খেলনা তব হে উদাসী

পড়িয়া আছে রাঙা পায়ের কাছেরাশি রাশি।
নিত্য তুমি হে উদার

সুখে-দুখে অবিকার।

হাসিছ খেলিছ তুমি আপন সনে

নিরজনে প্রভু নিরজনে।।

রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৫

তেপান্তরের মাঠে বধু হে

তেপান্তরের মাঠে বধু হে
একা বসে থাকি
তুমি যে পথ দিয়ে গেছ চলি
তারি ধুলা মাখি হে
একা বসে থাকি
যেমন পা ফেলেছো গিরিপথে
রাঙা পথের ধুলাতে
তেমনি করে আমার বুকে
চরণ যদি বুলাতে
আমি খানিক জ্বালা ভুলতাম
ঐ মানিক বুকে রাখি হে
একা বসে থাকি
আমার খাওয়া-পরায় নাই রুচি আর
ঘুম আসেনা চোখে
ঘুম আসেনা চোখে
আমি বাউরি হয়ে বেড়াই পথে
দেখে হাসে পাড়ার লোকে
হাসে পাড়ার লোকে
আমি তালপুকুরে যেতে নারি
এ কি তোমার মায়া হে
ঐ কালো জলে দেখি
তোমার কালো রুপের ছায়া হে
আমায় কলঙ্কিনি নাম রটিয়ে
তুমি দিলে ফাঁকি হে
একা বসে থাকি
তেপান্তরের মাঠে বধু হে
একা বসে থাকি
একা বসে থাকি
একা বসে থাকি
----------------নজরুল গীতি

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে



ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ।
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন্‌ আসমানী তাগিদ।।

তোর সোনা-দানা বালাখানা সব রাহেলিল্লাহ্‌।
দে জাকাত মুর্দ্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ্‌।।

আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদ গাহে।
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।।

আজ ভুলে যা তোর দোস্ত ও দুশমন হাত মিলাও হাতে।
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরীদ।।

যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা নিত্য উপবাসী।
সেই গরীব ইয়াতিম মিস্কিনে দে যা কিছু মুফিদ।।
o mon romzaner oi 

Kazi Nazrul Islam