সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮

বালিকা

প্রিতম

 
বালিকা তোমার প্রেমের পদ্ম
দিওনা এমন জনকে,
যে ফুলে ফুলে উড়ে মধু পান
করে অবশেষে ভাঙ্গে মনকে,
একটা হৃদয় বারবার নয়,একবারই প্রেমে
পড়ে
সে হৃদয়ের সুখ লুট হয় নিঠুর মন ঝড়ে।
হও হুশিয়ার,মনের দুয়ার নজর রাখো খুব,
চোখের ফাঁকিতে,ঠোঁটের হাসিতে
হয়ো না উত্সুেক।
বালিকা. . . . . . .উড়ে যাবে সব সুখ।
বালিকা তোমার প্রেমের পদ্ম
দিওনা এমন জনকে,
যে ফুলে ফুলে উড়ে মধু পান
করে অবশেষে ভাঙ্গে মনকে,
একটা হৃদয় বারবার নয়,একবারই প্রেমে
পড়ে
সে হৃদয়ের সুখ লুট হয় নিঠুর মন ঝড়ে।
তোমার দিকে বাড়াবে সবাই
ভালোবাসার হাত,
কারণ তোমার কাছে আছে প্রেমের
প্রপাত।
তোমার জন্য হাবা ছেলেও যেতে
চাবে যুদ্ধে,
আসলে কিন্তু মা বকলেই তোমায়
ভুলবে।
তোমার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করবে
পাড়াতো ভাই,
প্রেম হয়ে গেলে কিছুদিন পর দেখবে
ভাই আর নাই।
কতই শুনবে তোমার জন্য পারবে
দিতেও প্রাণ,
কেউবা আবার তোমায় নিয়ে
লিখবে কবিতা গান।
সব আয়োজন আসলে ওই তোমার
প্রেমের জন্য,
তুমি ভেবে দেখো করবে কার
জীবনটা ধন্য।
নইলে . . . . .উড়ে যাবে সব সুখ।
তোমার জন্য হাউস টিউটর অংকে
করবে ভুল,
পড়া বাদ দিয়ে প্রেমের হিসেব
কষবে নির্ভুল।
তোমার জন্য ক্লাস ফাঁকি দিয়ে
সেরা ছাত্রটাও,
যত্ন করে মালা গেঁথে বলবে জান
নাও।
তোমাকে খাওয়াতে সন্ধ্যা রাতে
চাইনিজে চাউমিন,
বাবার পকেট মারবে লক্ষী ছেলেটা
প্রতিদিন।
তোমার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে বুড়ো
হাবড়াটাও,
লজ্জা শরম ভুলে গিয়ে বলবে love you.
তোমাকে তুমি সামলে রেখো
তোমার মতো করে,
সস্তা প্রেমের ধোঁকায় নয়তো কাঁদবে
বালিশ ধরে,
বালিকা . . . .উড়ে যাবে সব সুখ।♫♪

balika tomar 

বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১৮

আকাশ এত মেঘলা

সতীনাথ মুখোপাধ্যায়

আকাশ এতো মেঘলা যেও নাকো একলা
এখনি নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে পথ হারাবার ।।

গল্প করার এইতো দিন
মেঘ কালো হোক মন রঙিন ।।
সময় দিয়ে হৃদয়টাকে বাঁধবো নাকো আর

আকাশ এতো মেঘলা যেও নাকো একলা
এখনি নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে পথ হারাবার ।

আঁধারো ছায়াতে চেয়েছি হারাতে
দু’বাহু বাড়াতে তোমারি কাছে ।।
যাক না এমন এইতো বেশ
হয় যদি হোক গল্প শেষ ।।
পূর্ন হৃদয় ভুলবে সেদিন সময় শূন্যতার ।

আকাশ এতো মেঘলা যেও নাকো একলা
এখনি নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে পথ হারাবার

akash eto meghla

বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১৮

আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো

কাম্রুজ্জামান রাব্বি 

অতীতের কথা গুলো
পুরনো স্মৃতি গুলো
মনে মনে রাইখো
আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো
আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো
তুমি আমার স্বপ্ন আশা তুমি ভালবাসা
তোমারে না পাইলে এই জীবন বৃথা (বন্ধু)
অন্তরে না রাখলেও মুখে মুখে রাইখো
আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো
আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো
পথে আমি পড়ে ছিলাম বুকে টেনে নিলে
বুকে টেনে নিয়ে কেনো এতো ব্যাথা দিলে (বন্ধু)
জিন্দা থাকতে না ডাকিলে ও মইরা গেলে ডাইকো
আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো
আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো

মাহবুব ভেবে বলে মায়ের কোলেই ভালা
মায়ের কোল ছেড়ে দেখি সংসারেতে জ্বালা (দয়াল)
দুনিয়ার সবাই ভালা তাগোই বুকে রাইখো
আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো
আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো

ami to vala na vala loiyai

অপরাধী পোলা

টুম্পা খান

একটা সময় তোরে দেখে স্বপ্ন বুনিতাম
তোরে নিজের থেকেও বড় বেশি ভরসা করিতাম
একটা সময় তোরে দেখে স্বপ্ন বুনিতাম
তোরে নিজের থেকেও বড় বেশি ভরসা করিতাম
তোরে একটা নজর দেখার জন্য ছাদে দারাইতাম
আমি তোর পিছোনে কত সময় নষ্ট করিতাম
ওরে মিথ্যা কথা বলে বাসায় দিতাম তোরে টাইম
এখন তুই আমারে দেখলে বলস আমারে চিনোস নাই
আরে কত বকা শাস্তি পেয়েও সজ্জ করছি রে
এখন নতুন মানুষ পাইয়া তুই ভুইলা গেলিরে
পোলা ও পোলা রে তুই অপরাধী রে
আমার নষ্ট হওয়া সব কয়টা দিন দে ফিরাইয়া দে
আমার হৃদয় ভাঙ্গার দুঃসাহস
তুই পাইলি কোথায় রে
পোলা তুই বড় অপরাধী তোর ক্ষমা নাইরে
রে রে রে রে রে রে রে রা রি রে
রে রে রে রে রে রা রি রে রে রা রি রে
রে রে রে রে রে রে রে রা রি রে।
রে রে রে রে রে রা রি রে রে রা রি রে

তোর জন্য হাত পুড়াইয়া রান্না করিতাম
আর টিউশনের সব টাকা জমায় গিফট কিনিতাম
না ঘুমাইয়া কবিতা লেইখা তোরে পাঠাইতাম
তোর বেসুরা গান শোনার আশায় ছটফট করিতাম
এখন চোখের নিচে কালি আমার ঘুমতো আসে না
শত চাইলেও তোর কথার আর ভুলতে পারিনা
সঙ্গীর সাথে নেই তো কেউ আর
সব কুল হারাইলাম
আর কলঙ্কিনী হইয়া আমার কপাল পোড়াইলাম
পোলা ও পোলা রে তুই অপরাধী রে
আমার নষ্ট হওয়া সব কয়টা দিন দে ফিরাইয়া দে
আমার হৃদয় ভাঙ্গার দুঃসাহস
তুই পাইলি কোথায় রে
পোলা তুই বড় অপরাধী তোর ক্ষমা নাইরে
রে রে রে রে রে রে রে রা রি রে
রে রে রে রে রে রা রি রে রে রা রি রে
রে রে রে রে রে রে রে রা রি রে।
রে রে রে রে রে রা রি রে রে রা রি রে


অপরাধী

গীতিকার আরমান আলিফ


একটা সময় তোরে আমার সবই ভাবিতাম
তোরে মনপিঞ্জরায় যতন করে আগলাইয়া রাখতাম
তোর হাসিমুখের ছবি দেইখা দুঃখ পুষাইতাম
তুই কানলে পরে কেমন করে হারাইয়া যাইতাম
ওরে মনের খাচায় যতন কইরা দিলাম তোরে ঠাই
এখন তোর মনেতেই আমার জণ্য কোন জায়গা নেই
ওরে আদর কইরা পিঞ্জরাতে পুষলাম পাখিরে
তুই যারে যা উইড়া যা রে অন্য খাচাতে
ও মাইয়া ও মাইয়া রে তুই অপরাধী রে
আমার যত্নে গড়া ভালবাসা দে ফিরায়া দে
আমার অনুভূতির সাথে খেলার অধিকার দিলো কে
মাইয়া তুই বড় অপরাধী তোর ক্ষমা নাই রে
রে রে রে রে।। রে রে রে রা রি রে।। রে রে রে রে রে রা রি রে রে রা রি রে
তোরে স্কুল পলাই একটা নজর দেখিতে যাইতাম
আমি টিফিনের সব টাকা জমাই আবেগ কিনিতাম
ওরে রাইতের পর রাইত জাগিয়া গান লিখিতাম
আমার সেই গান এর ই সুরে তোরে খুজিয়া লইতাম
অহন একলা একা সময়গুলা কাটাই কেমনে
এত ভালবাসার পরেও আমার কম কি ছিল রে
রোজ রাইতে বেলা জোনাকা পোকা কানে কানে কয়
দেইখা ল রে তৃভূবনে কেউ তো কারো নয়
ও মাইয়া ও মাইয়া রে তুই অপরাধী রে
আমার যত্নে গড়া ভালবাসা দে ফিরায়া দে
আমার অনুভূতির সাথে খেলার অধিকার দিলো কে
মাইয়া তুই বড় অপরাধী তোর ক্ষমা নাই রে
রে রে রে রে।। রে রে রে রা রি রে।। রে রে রে রে রে রা রি রে রে রা রি রে
তোর নামের পাশে সবুজ বাতি আর তো জ্বলে না
এহন রাত্রি জুইড়া কেউ তো আর মায়া লাগায় না
তোর হাসিমুখের ছবি দেইখা ঘুম আর ভাঙে না
কেউ আর ফ্লেক্সিলোডের দোকানটাতেও ভীর জমায় না।
এহন তারার মত জ্বলে নেভে কষ্টগুলা রে
আমি গীটার এর সুর সাথে লইয়া ভালোই আছি রে
রোজ রাইতে বেলা জোনাকা পোকা কানে কানে কয়
দেইখা ল রে তৃভূবনে কেউ তো কারো নয়

ও মাইয়া ও মাইয়া রে তুই অপরাধী রে
আমার যত্নে গড়া ভালবাসা দে ফিরায়া দে
আমার অনুভূতির সাথে খেলার অধিকার দিলো কে
মাইয়া তুই বড় অপরাধী তোর ক্ষমা নাই রে
রে রে রে রে।। রে রে রে রা রি রে।। রে রে রে রে রে রা রি রে রে রা রি রে

oporadhi

ক্যান্টনে নিরিবিলি

নির্মলেন্দু গুণ


এইখানে এলে মনে হয় তুমি
সবচেয়ে বেশি নেই।

তোমাকে ক্ষণিক পাবার জন্য
এইখানে তবু আসি,
মুগ্ধ পরান যতদূর চায়
ততদূর ভালোবাসি।


একটি চেয়ার উবু হয়ে থাকে
টেবিলে মুখের মত,
মনে পড়ে যায় নতমুখী তুমি
চুম্বনে কম্পিত।


এইখানে এলে মনে হয় তুমি
সবচেয়ে বেশি নেই।

ভীরু হাতে কতো আদর শিখেছি
এইখানে এলে বুঝি,
কতো বেদনার ভালোবাসা নিয়ে
তোমাকেই তবু খুঁজি।


প্রাণ গুঁজে দেই ছবির ভিতরে
আগুনে পোড়াই হাত,
করতল খোঁজে মৎস্যকন্যা
তুমি যদি এঁকে দাও।

এখানে এলেই মনে হয় তুমি
স্তব্ধ প্রতিমা, স্মৃতি।

এইভাবে রোজ বসে থাকি একা
জেসমিনে ডোবে ঠোঁট,
ইঁদুরের মতো কেটে কেটে খাই
বিরহের করপুট।


তুমি নেই তাই কমেছে আদর
শুধায় না কোনো জন,
আমার চেয়েও ভালোবেসেছিল
নিরিবিলি ক্যান্টন?

এইখানে এলে মনে হয় তুমি
সবচেয়ে বেশি নেই।

kantone niribili

হঠাৎ দেখা


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,
                 ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।
      আগে ওকে বারবার দেখেছি
            লালরঙের শাড়িতে
                 দালিম ফুলের মতো রাঙা;
আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়,
                 আঁচল তুলেছে মাথায়
      দোলনচাঁপার মতো চিকনগৌর মুখখানি ঘিরে।
            মনে হল, কালো রঙে একটা গভীর দূরত্ব
                     ঘনিয়ে নিয়েছে নিজের চার দিকে,
                 যে দূরত্ব সর্ষেখেতের শেষ সীমানায়
                      শালবনের নীলাঞ্জনে।
                     থমকে গেল আমার সমস্ত মনটা;
      চেনা লোককে দেখলেম অচেনার গাম্ভীর্যে।
            হঠাৎ খবরের কাগজ ফেলে দিয়ে
                     আমাকে করলে নমস্কার।
            সমাজবিধির পথ গেল খুলে,
                      আলাপ করলেম শুরু --
            কেমন আছ, কেমন চলছে সংসার
                             ইত্যাদি।
      সে রইল জানলার বাইরের দিকে চেয়ে
যেন কাছের দিনের ছোঁয়াচ-পার-হওয়া চাহনিতে।
      দিলে অত্যন্ত ছোটো দুটো-একটা জবাব,
            কোনোটা বা দিলেই না।
      বুঝিয়ে দিলে হাতের অস্থিরতায় --
            কেন এ-সব কথা,
      এর চেয়ে অনেক ভালো চুপ করে থাকা।
                 আমি ছিলেম অন্য বেঞ্চিতে
                       ওর সাথিদের সঙ্গে।
এক সময়ে আঙুল নেড়ে জানালে কাছে আসতে।
            মনে হল কম সাহস নয়;
                 বসলুম ওর এক-বেঞ্চিতে।
গাড়ির আওয়াজের আড়ালে
                         বললে মৃদুস্বরে,
                 "কিছু মনে কোরো না,
            সময় কোথা সময় নষ্ট করবার।
      আমাকে নামতে হবে পরের স্টেশনেই;
               দূরে যাবে তুমি,
      দেখা হবে না আর কোনোদিনই।
    তাই যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে,
      শুনব তোমার মুখে।
            সত্য করে বলবে তো?
আমি বললেম, "বলব।"
      বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়েই শুধোল,
"আমাদের গেছে যে দিন
      একেবারেই কি গেছে,
            কিছুই কি নেই বাকি।"
একটুকু রইলেম চুপ করে;
      তারপর বললেম,
      "রাতের সব তারাই আছে
              দিনের আলোর গভীরে।"
খটকা লাগল, কী জানি বানিয়ে বললেম না কি।
    ও বললে, "থাক্‌, এখন যাও ও দিকে।"
           সবাই নেমে গেল পরের স্টেশনে;
                          আমি চললেম একা।


  শান্তিনিকেতন, ২৪ জুন, ১৯৩৬

hotath dekha 

মনের জানালা ধরে উঁকি দিয়ে গেছে

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

মনের জানালা ধরে উঁকি দিয়ে গেছে
যার চোখ তাকে আর মনে পড়ে না।
চেয়ে চেয়ে কত রাত দিন কেটে গেছে
আর কোন চোখ তবু মনে ধরে না।
হৃদয়ের শাখা ধরে নাড়া দিয়ে গেছে
ঝুরঝুর ঝরে গেছে কামনার ফুল।
মালা গেথে কবে থেকে নিয়ে বসে আছি
আবার কখনও যদি করে সেই ভুল
ভুলেও কভু তো সে ভুল করে না।।
যেতে যেতে গানখানি পিছে ফেলে গেছে
ছমছম নুপূরের সকরুণ সুর।
শিকলে বাধিতে তারে চেয়েছিনু বুঝি
শিকল চরণে তার হয়েছে নুপূর
ধরার বাধনে সে তো ধরা পড়ে না।।

moner janala dhore