হেমন্ত মুখোপাধ্যায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১৮

মনের জানালা ধরে উঁকি দিয়ে গেছে

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

মনের জানালা ধরে উঁকি দিয়ে গেছে
যার চোখ তাকে আর মনে পড়ে না।
চেয়ে চেয়ে কত রাত দিন কেটে গেছে
আর কোন চোখ তবু মনে ধরে না।
হৃদয়ের শাখা ধরে নাড়া দিয়ে গেছে
ঝুরঝুর ঝরে গেছে কামনার ফুল।
মালা গেথে কবে থেকে নিয়ে বসে আছি
আবার কখনও যদি করে সেই ভুল
ভুলেও কভু তো সে ভুল করে না।।
যেতে যেতে গানখানি পিছে ফেলে গেছে
ছমছম নুপূরের সকরুণ সুর।
শিকলে বাধিতে তারে চেয়েছিনু বুঝি
শিকল চরণে তার হয়েছে নুপূর
ধরার বাধনে সে তো ধরা পড়ে না।।

moner janala dhore

রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

রানার


শিল্পীঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
সুরকারঃ সলিল চৌধুরী
গীতিকারঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য


রানার গ্রামের ডাক হরকরা
রাতের পর রাত ক্লান্তিহীন মানুষের সুখ দুঃখের
খবরের বোঝা বয়ে সে পৌছে দেয় দোরে দোরে
কিন্তু তার খবর কে রাখে)
রানার ছুটেছে তাই ঝুম ঝুম ঘন্টা বাজছে রাতে
রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে,
রানার রানার চলেছে,রানার!
রাত্রির পথে পথে চলে কোন নিষেধ জানে না মানার।
দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছোটে রানার, রানার
কাজ নিয়েছে সে নতুন খবর আনার।।
রানার! রানার!
জানা-অজানার
বোঝা আজ তার কাঁধে,
বোঝাই জাহাজ রানার চলেছে চিঠি আর সংবাদে।
রানার চলেছে, বুঝি ভোর হয় হয়।
আরো জোরে, আরো জোরে, হে রানার দুর্বার দুর্জয়
তার জীবনের স্বপ্নের মত পিছে সরে যায় বন,
আরো পথ,আরো পথ-বুঝি হয় লাল ও-পূর্ব কোণ
অবাক রাতের তারারা আকাশে মিট্ মিট্ করে চায়;
কেমন করে এ রানার সবেগে হরিণের মত যায়।
কত গ্রাম, কত পথ যায় সরে সরে
শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে।
হাতে লন্ঠন করে ঠন্ ঠন্, জোনাকিরা দেয় আলো
মাভৈঃ; রানার! এখনো রাতের কালো।
এমনি করেই জীবনের বহু বছরকে পিছু ফেলে,
পৃথিবীর বোঝা ক্ষুধিত রানার পৌঁছে দিয়েছে মেলে
ক্লান্তশ্বাস ছুঁয়েছে আকাশ, মাটি ভিজে গেছে ঘামে
জীবনের সব রাত্রিকে ওরা কিনেছে অল্প দামে
অনেক দুঃখে, বহু বেদনায়, অভিমানে, অনুরাগে,
ঘরে তার প্রিয়া একা শয্যায় বিনিদ্র রাত জাগে
রানার! রানার!
এ বোঝা টানার দিন কবে শেষ হবে?
রাত শেষ হয়ে সূর্য উঠবে কবে?
ঘরেতে অভাব, পৃথিবীটা তাই মনে হয় কালো ধোঁয়া,
পিঠেতে টাকার বোঝা তবু এই টাকাকে যাবে না ছোঁয়া,
রাত নির্জন, পথে কত ভয়, তবুও রানার ছোটে,
দস্যুর ভয়, তার চেয়ে ভয় কখন সূর্য ওঠে।
কত চিঠি লেখে লোকে-
কত সুখে, প্রেমে, আবেগে, স্মৃতিতে, কত দুঃখে ও শোকে।
এর দুঃখের চিঠি পড়বেনা জানি কেউ কোন দিনও
এর জীবনের দুঃখ কেবল জানবে পথের তৃণ।
এর দুঃখের কথা জানবে না কেউ শহরে ও গ্রামে
এর কথা ঢাকা পড়ে থাকবেই কালো রাত্রির খামে
দরদে তারার চোখ কাঁপে মিটিমিটি-
এ-কে যে ভোরের আকাশ পাঠাবে সহানুভূতির চিঠি।
রানার! রানার! কি হবে এ বোঝা বয়ে?
কি হবে ক্ষুধার ক্লান্তিতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে? ।।
রানার! রানার! ভোর তো হয়েছে-আকাশ হয়েছে লাল
আলোর স্পর্শে কবে কেটে যাবে এই দুঃখের কাল? ।।
রানার! গ্রামের রানার!
সময় হয়েছে নতুন খবর আনার
রানার, রানার……।।

runner 

বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

যাবার আগে কিছু বলে গেলে না

শিল্পীঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
গীতিকারঃ পুলক বন্দোপাধ্যায়

যাবার আগে কিছু বলে গেলে না
নীরবে শুধু রইলে চেয়ে
কিছু কি বলার ছিল না।।
তখনো বসন্ত শেষ চৈত্রের বেলা
তখনো বাতাস আঁচলে করে যে খেলা
তখনো পাখির গানে সাজানো ফুলের মেলা
ওদের ঐ উচ্ছ্বাস এতটুকু তুমি কি গো
তোমার হৃদয়ে পেলে না।।
এত কি অভিমান, ভুল বোঝা বল কত
কিসের বেদনাতে প্রেমকে কাঁদালে এত
কিসের অহংকারে এখনো আগেরই মত
আমার এই প্রশ্নের কোনই জবাব তুমি
এখনো আমাকে দিলে না।।

মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০১৬

এই পথ যদি না শেষ হয়

এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হত তুমি বল তো
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয় তবে কেমন হত তুমি বল তো

কোন রাখালের ওই ঘর ছাড়া বাঁশি তে
সবুজের ওই দোল দোল হাসিতে
মন আমার মিশে গেলে বেশ হয়
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হত তুমি বল তো

নীল আকাশের ওই দুর সীমা ছাড়িয়ে
এই গান যেন যায় আজ হারিয়ে
প্রানে যদি এই গানের রেশ রয়
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হত তুমি বল তো

Singer: Hemanta Mukhopadhyay & Sandhya Mukhopadhyay
Music: Hemanta Mukhopadhyay
Lyrics: Gauriprasanna Majumdar
Movie: Saptapadi (1961)

এই মেঘলা দিনে একলা

এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে নাতো মন
কাছে যাবো কবে পাবো ওগো তোমার নিমন্ত্রন

যূথিবনে ওই হাওয়া করে শুধু আসা যাওয়া
হায় হায় রে, দিন যায় রে ঘরে আঁধারে ভুবন

শুধু ঝড়ে ঝরঝর আজ বারি সারাদিন
আজ যেন মেঘে মেঘে হল মন যে উদাসীন

আজ আমি ক্ষণে ক্ষণে কি যে ভাবি আনমনে
তুমি আসবে ওগো হাসবে কবে হবে সে মিলন

Singer: Hemanta Mukhopadhyay
Music: Hemanta Mukhopadhyay
Lyrics: Gauriprasanna Majumdar
Movie: Shes Parjyanta (1960)

বাঁশি বুঝি সেই সুরে আর ডাকবেনা

বাঁশি বুঝি সেই সুরে আর ডাকবেনা
ফাগুনের এই দিনগুলি কি আর থাকবেনা

দোল দোল মহুয়াতে নেশা আর জাগেনা
গুনগুন ভ্রমরার গান ভালো লাগেনা
জোনাকিরা দীপ জ্বেলে আর রাখবেনা

রিমঝিম নুপুরের বোল আর বাজেনা
রঙ রঙ পলাশের রঙে মন সাজেনা
বনছায়া ফুলে ফুলে আর ঢাকবেনা

Singer: Geeta Dutt
Music: Hemanta Mukhopadhyay
Lyrics: Gauriprasanna Majumdar
Movie: Sathihara

সিং নেই তবু নাম তার সিংহ

কিশোর কুমার
সুরকার : হেমন্ত মুখোপাধ্যায় 
গীতিকার : গৌরী প্রসন্ন মজুমদার 
সিনেমা : লুকোচরি


সিং নেই তবু নাম তার সিংহ ডিম নয় তবু অশ্বডিম্ব
গায়ে লাগে ছ্যাঁকা ভ্যাবাচাকা হাম্বা হাম্বা টিকটিক টিকটিক
দাও ভাই নাকে এক টিপ নস্যি খাও তারপরে একমগ লস্যি
লাগে ঝুরি ঝুরি সুড়সুড়ি হ্যাঁচ্চো হ্যাঁচ্চো ছিকছিক ছিক ছিক

দুই পায়ে পড়ে নাগরা যাও নয় হেঁটে আগ্রা
জামতলা আমতলা নিমতলা পথে পাবে
নয় নয় এ তো ঠাট্টা খাও পেট ভরে গাঁট্টা
কাঁচকলা কানমলা খাও তুমি কত খাবে
টক টক টক টক টরেটক্কা আর কত দূরে বোগদাদ মক্কা
গায়ে লাগে ছ্যাঁকা ভ্যাবাচাকা হাম্বা হাম্বা টিকটিক টিকটিক

গোলগাল বিশু নন্দী দিনরাত আঁটে ফন্দি
ঝুড়িঝুড়ি ভুরিভুরি বড় বড় কথা বলে
তাগড়াই বেঁটে বড়দা খায় পান সাথে জর্দা
কুলবাজি ডিগবাজি রকবাজি শুধু চলে
এ বাড়ির খেঁদি চায় ভুরু কুঁচকে ও বাড়ির খেঁদা হাসে মুখ মুচকে
গায়ে লাগে ছ্যাঁকা ভ্যাবাচাকা হাম্বা হাম্বা টিকটিক টিকটিক

সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৬

এই রাত তোমার আমার | Ei Raat Tomar Amar

এই রাত তোমার আমার ।
ওই চাঁদ তোমার আমার ।
শুধু দু'জনের-
এই রাত শুধু যে গানের ।
এই ক্ষণ এ দু'টি প্রাণের ।
কুহূ কূজনের-

এই রাত তোমার আমার ।
ওই চাঁদ তোমার আমার ।
তুমি আছি আমি আছি তাই
অনুভবে তোমারে যে পাই
তুমি আছি আমি আছি তাই
অনুভবে তোমারে যে পাই
শুধু দু'জনের-

এই রাত তোমার আমার ।
ওই চাঁদ তোমার আমার ।
শুধু দু'জনের-


--সিনেমাঃ দীপ জ্বেলে যাই ১৯৫৯
--শিল্পীঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

এ ব্যাথা কি যে ব্যাথা বোঝে কি আনজনে ?

সিনেমাঃ ধন্যি মেয়ে (১৯৭১)
সুরঃ নচিকেতা ঘোষ
শিল্পীঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় 


এ ব্যাথা কি যে ব্যাথা বোঝে কি আনজনে -
সজনী আমি বুঝি মরেছি মনে মনে ।
একে তো ফাগুন মাস দারুন এ সময় -
লেগেছে ভীষণ চোট কি জানি কি হয় !
এ ব্যাথা কি যে ব্যাথা বোঝে কি আনজনে ?
এ ব্যাথা কি যে ব্যাথা বোঝে কি আনজনে -
সজনী আমি বুঝি মরেছি মনে মনে ।
একে তো ফাগুন মাস দারুন এ সময় -


অঙ্গে চোট পেলে- সে ব্যাথা সারাবার
হাজার রকমের ঔষধি আছে তার ।
অঙ্গে চোট পেলে- সে ব্যাথা সারাবার
হাজার রকমের ঔষধি আছে তার ।
মরমে চোট পেলে সারেনা এ জীবনে-
সজনী আমি বুঝি মরেছি মনে মনে ।
একে তো ফাগুন মাস দারুন এ সময় -
লেগেছে ভীষণ চোট কি জানি কি হয় !


বাতাসে বাঁশি বাজে কেবলই ডাকে হায়
শিকলে কাটা মন লুকিয়ে যেতে চায় ।
বাতাসে বাঁশি বাজে কেবলই ডাকে হায়
শিকলে কাটা মন লুকিয়ে যেতে চায় ।
এ চোট পেয়ে রাঁধা মরেছে বৃন্দাবনে
সজনী আমি বুঝি মরেছি মনে মনে ।
একে তো ফাগুন মাস দারুন এ সময় -
লেগেছে ভীষণ চোট কি জানি কি হয় !
কি জানি কি হয় ... কি জানি কি হয় ...



বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

আমিও পথের মত হারিয়ে যাব

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

আমিও পথের মত হারিয়ে যাব
আমিও নদীর মত আসবোনা ফিরে আর
আসবোনা ফিরে কোনদিন
আমিও দিনের মত ফুরিয়ে যাব
আসবোনা ফিরে আর আসবোনা ফিরে কোনদিন
মন আমার বাঁধলো বাসা ব্যাথার আকাশে
পাতা ঝড়া দিনের মাঝে মেঘলা বাতাশে।
আমিও ছায়ার মত মিলিয়ে যাব
আসবোনা ফিরে আর আসবোনা ফিরে কোনদিন
যাবার পথে পথিক যখন পিছন ফিরে চায়
ফেলে আসা দিনকে দেখে মন যে ভেঙ্গে যায়।
চোখের আলো নিভলো যখন মনের আলো জ্বেলে
একলা এসেছি আমি একলা যাব চলে।
আমিও সুখের মত ফুরিয়ে যাব
আসবোনা ফিরে আর আসবোনা ফিরে কোনদিন।।

রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৬

শোন বন্ধু শোন



শোন বন্ধু শোন
প্রাণহীন এই শহরের ইতিকথা
ইটের পাঁজরে, লোহার খাঁচায়
দারুণ মর্মব্যথা।।
এখানে আকাশ নেই
এখানে বাতাস নেই।
এখানে অন্ধ গলির নরকে
মুক্তির আকুলতা।।
জীবনের ফুল মুকুলেই ঝরে
সুকঠিন ফুটপাতে
অতি সঞ্চয়ী ক্রুর দানবের
উদ্ধত পদাঘাতে
এখানে শান্তি নেই
এখানে সত্যি নেই।
প্রাসাদ-নগরী যেন বিলাসের
নিদারুণ রসিকতা।।


· শিল্পীঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
· অ্যালবামঃ শাপ মোচন

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

আমার জীবনের এত খুশি এত হাসি



হেমন্ত মুখোপাধ্যায়


আমার জীবনের এত খুশি এত হাসি
আজ কোথায় গেল
ফুলের বুকে অলির হাসি
আজ কোথায় গেল ।।

হায় স্বপ্নভরা সেই গান
আজ কেন হল অবসান ।।
সেই দুটি কথা
ভালোবাসি
কোথায় গেল আজ কোথায় গেল
আমার জীবনের এত খুশি এত হাসি
আজ কোথায় গেল

এই না পাওয়ার ব্যথা ভরা তিথিতে
মন আমার ভরা আছে স্মৃতিতে
হায় বাসর ভরা সেই ফুল
হলো কাঁটার আঘাতে যেন ভুল ।।
আমার জীবনের এত খুশি এত হাসি
আজ কোথায় গেল
সেই মিলন মালার বকুলরাশি
কোথায় গেল আজ কোথায় গেল

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৬

আমার জীবনের এত খুশি এত হাসি


আমার জীবনের এত খুশি এত হাসি
আজ কোথায় গেল
ফুলের বুকে অলির হাসি
আজ কোথায় গেল

হায় স্বপ্নভরা সেই গান
আজ কেন হল অবসান
সেই দুটি কথা ভালোবাসি
কোথায় গেল আজ কোথায় গেল

এই না পাওয়ার ব্যথা ভরা তিথিতে
মন আমার ভরা আছে স্মৃতিতে
হায় বছর ভরা সেই ফুল
হলো কাঁটার আঘাতে যেন ভুল
সেই মিলন মালার বকুলরাশি
কোথায় গেল আজ কোথায় গেল
————–
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলো না

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলো না
ও বাতাস আঁখি মেলো না
ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলো না।

আমার প্রিয়া লজ্জা পেতে পারে আহা
কাছে এসেও ফিরে যেতে পারে
ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলো না।

তার সময় হলো আমায় মালা দেবার
সে যে প্রাণের সুরে গান শোনাবে এবার।।

সেই সুরেতে ঝর্ণা তুমি চরণ ফেলো না।
ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলো না
ও বাতাস আঁখি মেলো না
ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলো না।

ও পলাশ ফিরে চেও না
ও কোকিল তুমি গেও না
লাজুক লতা হয়তো গো লাজ পাবে
তার মুখের কথা মুখে রয়ে যাবে।

তার অনেক ভীরু স্বপ্ন জাগে আশায়
আহা হৃদয় মাঝে সুরের খেয়া ভাসায়।।

দোহাই বকুল ছন্দে তাহার গন্ধ ঢেলো না।
ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলো না
ও বাতাস আঁখি মেলো না
ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলো না।

আমার প্রিয়া লজ্জা পেতে পারে আহা
কাছে এসেও ফিরে যেতে পারে
ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলো না।



মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

ছেলে বেলার গলপ শোনার দিন গুলো

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

ছেলে বেলার গলপ শোনার দিন গুলো
এখন কত দূরে আর আসেনা রাজার কুমার পক্ষ্মীরাজে উড়ে।

মনে পড়ে তার কথা যে চলেছে সে বীরের বেশে
তেপানতরের মাঠ পেরিয়ে গেছে চলে দিনের শেষে
আহা ঘুমের সে দেশ নিঝুম পুরে
আর আসেনা রাজার কুমার পক্ষ্মীরাজে উড়ে।

ভয় ছিলো হায় যদি সে তার নাপায় দেখা
সেই যে মেয়ের নামটি মধুর চন্দ্রলেখা।

মনে পড়এ সন্ধাবেলায় সময় হলে প্রদীপ জ্বালায়
তারি মাঝে আমরা কজন শুনছি কথা মধুমালার
আহা মায়ের গলার মিষ্টি সুরে!
আর আসেনা রাজার কুমার পক্ষ্মীরাজে উড়ে।

selebelar golpo shonar din 
chelebelar golpo shonar  

রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

আয় খুকু আয়

কাটেনা সময় যখন আর কিছুতে
বন্ধুর টেলিফোনে মন বসে না
জানালার গ্রীলটাতে ঠেকাই মাথা
মনে হয় বাবর মত কেউ বলে না
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার সাথে গান গেয়ে যা
নতুন নতুন সুর নে শিখে নে
কিছুই যখন ভাল লাগবে না তোর
পিয়ানোয় বসে তুই বাজাবিরে
আয় খুকু আয় খুকু আয় ।

সিনেমা যখন চোখে জ্বালা ধরায়
গরম কফির মজা জুড়িয়ে যায়
কবিতার বইগুলো ছুঁড়ে ফেলি
মনে হয় বাব যদি বলতো আমায়
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার সাথে আয় এখনি
কোথাও ঘুরে আসি শহর ছেড়ে
ছেলেবেলার মত বায়না করে
কাছ থেকে নেনা তুই আমায় কেড়ে
আয় খুকু আয় খুকু আয় ।

দোকানে যখন আসি সাজবো বলে
খোঁপাটা বেঁধে নেই ঠাণ্ডা হাওয়ায়
আরশিতে যখনই চোখ পড়ে যায়
মনে হয় বাবা যেন বলছে আমায়
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার কাছে আয় মামনি
সবার আগে আমি দেখি তোকে
দেখি কেমন খোঁপা বেঁধেছিস তুই
কেমন কাজল দিলি কালো চোখে
আয় খুকু আয় খুকু আয় ।

ছেলেবেলার দিন ফেলে এসে
সবাই আমার মত বড় হয়ে যায়
জানিনা কজনে আমার মতন
মিষ্টি সে পিছু ডাক শুনতে যে পায়
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার পাশে আয় মামনি
এ হাতটা ভাল করে ধর এখনি
হারানো সেদিনে চল চলে যাই
ছোট্টবেলা তোর ফিরিয়ে আনি
আয় খুকু আয় খুকু আয় ।

(সুরঃ ভি বালসারা, শিল্পীঃ হেমন্ত মুখার্জী ও শ্রাবন্তী মজুমদার)

বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

কতদিন পরে এলে kotodin pore ele


হেমন্ত মুখোপাধ্যায়


কতদিন পরে এলে
একটু বসো।
তোমায় অনেক কথা বলার ছিল যদি শোন।।

আকাশে বৃষ্টি আসুক
গাছেরা উঠুক কেঁপে ঝড়ে।
সেই ঝড় একটু উঠূক তোমার মনের ঘরে
বহুদিন এমন কথা বলার ছুটি
পায়নি যেন।।

জীবনের যে পথ আমার
ছিল গো তোমার ছায়ায় আঁকা।
সেই পথ তেমনি আছে
সবুজ ঘাসে ঢাকা

চেনা গান বাজলো যদি
বেজেই আবার থামবে কেন।।

শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫

তুমি এলে অনেক দিনের পরে যেন বৃষ্টি এলো

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

তুমি এলে অনেক দিনের পরে যেন বৃষ্টি এলো
তুমি এলে অনেক কথা এলোমেলো মনে হলো

মনে আছে অনেক আগে প্রশ্ন করেছিলে
তুমি আপনি এসে নিজে তবু তারই জবাব দিলে
এলো রাতের শেষে চুপিসারে যেন দিনের আলো

দিন যে আমার আজকে হলো দিন
একটু বসো কাছে আমার অনেক কথা আছে
তোমার সময় থেকে কিছু সময় আমায় দিয়ো ঋণ

হঠাৎ কখন আমার আঁধার রাত্রি হয়ে গেছে
আমি বুঝতে পারিনি যে আমি বলতে জানিনা যে
আমার অনেক কাজের মাঝে যেন হঠাৎ ছুটি হলো

মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫

মাগো ভাবনা কেন mago vabna keno

শিল্পীঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
গীতিকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

মাগো ভাবনা কেন
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্র এলে অশ্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি(২) আমরা হারবনা,হারবনা
তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বনা(২)
আমরা পাজর দিয়ে দূর্গ ঘাটি গড়তে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
আমরা অপমান সইবনা
ভীরুর মত ঘরের কোণে রইবনা(২)
আমরা আকাশ থেকে বজ্র হয়ে ঝড়তে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
আমরা পরাজয় মানবনা
দূর্বলতায় বাঁচতে শুধু জানবোনা(২)
আমরা চিরদিনই হাসি মুখে মরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
মাগো ভাবনা কেন
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্র এলে অশ্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি

বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

অলির ও কথা শুনে বকুল হাসে

শিল্পীঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় 
সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় 
গীতিকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার 

অলির ও কথা শুনে বকুল হাসে
কই তাহার মত তুমি আমার কথা শুনে হাসো না তো।।

ধরার ও ধুলিতে যে ফাগুন আসে
কই তাহার মত তুমি আমার কাছে কভু আসো না তো।।

আকাশ পারে ঐ আনেক দূরে
যেমন করে মেঘ যায় গো উড়ে।
যেমন করে সে হাওয়ায় ভাসে
কই তাহার মত তুমি আমার স্বপ্নে কভু ভাসো না তো।।

চাঁদের আলোয় রাত যায় যে ভরে
তাহার মত তুমি কর না কেন ও গো ধন্য মোরে।

যেমন করে নীড়ে একটি পাখি
সাথীরে কাছে তার নেয় গো ডাকি
যেমন করে সে ভালবাসে
কই তাহার মত তুমি আমায় কভুও ভালবাসো না তো।।