মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০১৬

মাকে মনে পড়ে


প্রথমবারের মতো ছেলে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭ রেসকোর্সের সরকারি বাড়ি সফরে এসেছিলেন মা হিরাবেন। তার বয়স এখন ৯৫ বছর। নরেন্দ্র মোদি হুইল চেয়ারে বসিয়ে মাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন সরকারি ওই বাড়িটির আনাচে-কানাচে। নিজেই মায়ের হুইল চেয়ার ঠেলে ঠেলে দেখিয়েছেন বাগানে ফুল ফুটে আছে। পত্রপল্লবে শোভিত বাড়ি। মা হিরাবেন ফিরে গেছেন গুজরাটের বাড়িতে। ফলে নষ্টালজিয়া ঘিরে ধরেছে মোদিকে। তিনি মায়ের সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে দিয়েছেন সামাজিক মিডিয়ায়। রোববার সন্ধ্যায় পোস্ট করার পর সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ওই পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, আমার মা ফিরে গেছেন গুজরাটে। অনেক দিন পর তার সঙ্গে খুব ভাল সময় কাটালাম। এটা ছিল রেস কোর্স রোডের বাসায় তার প্রথম সফর।



এ লেখার সঙ্গে মোদি যোগ করে দিয়েছেন মায়ের সঙ্গে তার তিনটি ছবি। তার একটিতে দেখা যায়, মা হিরাবেন বসে আছেন একটি হুইল চেয়ারে। একটি ধূসর টি শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা নরেন্দ্র মোদি সেই হুইল চেয়ার ঠেলে ঠেলে মাকে দেখাচ্ছেন তার সরকারি বাড়ি। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, মায়ের সঙ্গে তিনি বসে আছেন ঘরের বাইরে। এ সময় মাকে গ্লাসে করে কিছু দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, উত্তর গুজরাটের মেহসানা জেলায় একটি ছোট্ট শহর ভাদনগরে পূর্ব পুরুষের বাড়িতে বসবাস করেন হিরাবেন। 

রবিবার, ৮ মে, ২০১৬

পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য অফুরান ভালোবাসা আর অশেষ শ্রদ্ধা

মায়ের এক ধার দুধের দাম
কাটিয়া গায়ের চাম,
পাপোশ বানাইলেও ঋণের
শোধ হবে না
এমন দরদী ভবে কেউ হবেনা
আমার মা গো



বুধবার, ৪ মে, ২০১৬

জলন্ত ভবন থেকে ৩ বাচ্চাকে ছুঁড়ে ফেললেন মা



ভবনে আগুন লেগেছে। পালানোর পথ নেই। উপায় না দেখে নিজের তিন সন্তানকে জানালা দিয়ে নিচে ছুঁড়ে দিলেন মা। অবিশ্বাস্য এই দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায়। গত শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়েংটাকের চারতলা একটি ভবন বাচ্চাদের ছুঁড়ে ফেলানোর এই দৃশ্য দেখলেই যে কোন মা শিউরে উঠবেন।  
সিএনএন এর খবরে বলা হয়, ভবনের নিচে অপেক্ষা করছিলেন হাজার হাজার মানুষ। মা যখন নিচে ছুঁড়ে ফেলার জন্য জানালার বাইরে তার বাচ্চাদের বের করেন তখন নিচের থেকে তুমুল চিৎকার শুরু করে মানুষের ভিড়। পরপর তিন সন্তানকে তিনি ছুঁড়ে দেন ভিড়ের মাঝে।
অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, এই তিন সন্তানই কোন ধরনের আঘাত না পেয়ে বেঁচে গেছে। আগুন লাগা ভবনের নিকটবর্তী মার্কিন বিমান ঘাঁটি থেকে বড় আকারের কম্বল সরবরাহ করা হয়েছিল। সেই কম্বলে ছুঁড়ে ফেলা শিশুদের ক্যাচ ধরেন নিচের ভিড় করা মানুষরা। 
ধোঁয়া দেখে মার্কিন বিমান ঘাঁটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। মানুষের ভিড় থেকেই ঐ মাকে অনুরোধ করা হয় শিশুদের নিচে ছুঁড়ে দেয়ার জন্য। মা প্রথমে সঙ্কোচে ভুগলেও শেষপর্যন্ত তিনি বাচ্চাদের প্রাণের কথা চিন্তা করে করেছেন এমন দুঃসাহসী কাজ। অবশেষে তিনি নিজেও ঝাপ দেন। 

Source: http://www.banglamail24.com/news/149400

মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০১৬

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ভারী পোশাকে ‘না’ জাপানের!

যে দেশটিতে লোডশেডিং শব্দটিই অজানা, সেই জাপানে এবার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাসা-বাড়ি আর অফিস আদালতে এয়ারকণ্ডিশন না চালানোয় মানুষকে উৎসাহিত করতে সরকার নতুন পোশাক পরিধান নীতি চালু করেছে। গ্রীষ্মের এই মৌসুমে এখন থেকে কেউ স্যুট, টাই কিংবা ভারী পোশাক পরতে পারবেন না। শর্ট টি শার্ট (পোলো শার্ট) আর ঢিলেঢালা পোশাকে গরমের উত্তাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে সরকার সারা দেশেই এই নীতিমালা চালু করেছে।
সোমবার থেকে জাপানজুড়ে চালু হওয়া এই অভিনব পন্থাটি চলবে আগামী ৩০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত।

জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বার্তায় বলা হয়, ঢিলেঢালা পোশাক পরলে লোকজন এসি ব্যবহার করতে চাইবে না। ফলে দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। একইসঙ্গে বৈশ্বিক তাপমাত্রাও বাড়বে না।

ওদিকে, ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জারিকৃত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, অধ্যাপক ও কর্মকর্তাকে হালকা পোশাক পরার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাপানে গড় তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রী হলেও সোমবার রাস্তাঘাটে কাউকে দাপ্তরিক পোশাক পরতে দেখা যায়নি। সবাই টি-শার্ট, কারিওয়েসি, হাইওয়ান ধরনের পোশাক পরতে দেখা গেছে।
আকশি কিমুরা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। পুরো শীতে ফরমাল পোশাক ছাড়া ক্যাম্পাসে যাওয়া যেত না, কিন্তু এই গ্রীষ্মে ইচ্ছেমতো পোশাক পরা যাচ্ছে। সূত্র: দ্য জাপান টাইমস।

জাপানের মতো উন্নত দেশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার কথা ভাবছে আর আমরা কি করছি ???