বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

আমি যে তোমারি ছাগল!


শিল্পীঃ আশরাফ বাবু, চারু, পার্থ
অ্যালবামঃ ত্রিরত্নের ক্ষ্যাপা
সুরকারঃ আশরাফ বাবু
গীতিকারঃ আশরাফ বাবু
বছরঃ ১৯৯৪



ও ডার্লিং, হুম….

শত বার বলেছি, শোননি!- শোনেনি

কি প্রবলেম আমার, বোঝোনি! – পাগলামির একটা সীমা আছে

যখনি ভাবি তোমায়, মাথাটা ধরে ভীষণ

হৃদয় সে তোমায় চায়, প্রেম দাও… প্রেম চাই!

যেটুকু ক্ষতি নয়! সবাই দেখলে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে

এক দৌড়ে এসো বাহুতে আমার – আছে কি করার


ও শোনো শোনো না চুপিচুপি চুপিচুপি চুপিচুপি বলছি,

কেউ শোনেনা যেন! যেটুকু ভালো ছিলাম হয়েছি পাগল

আমি যে তোমারি ছাগল! হুম….


ও মেয়ের প্রেম তোমার মাথার ঝরাবে সব চুল

ও মেয়ের প্রেম মানে তোমার চড়তে হবে শূল

আমাকে দেখনি, আজ আমি কেন উদাসী

বাইস বছর প্রেম করে হইলাম বৈরাগী

শোনো গাঁধা, বলি ছাড়ো এইসব

নইলে তোমার পেছনে লাগাবো কুকুর


সারা দিনকাল এসে থাকে থাকে রইং লাগে! হুম….

ঘর পালানো সুখ নিয়ে কাটাই যে বিকেল

রীতি মত চলছে, প্রেম না কে দিয়ে প্রেম


ও ডার্লিং, হুম….

কোন সুরে, গাইবো বলো তোমার প্রিয় গান

চুপিচুপি চুপিচুপি চুপিচুপি বলছি-

কেউ শোনেনা যেন! যেটুকু ভালো ছিলাম হয়েছি পাগল

আমি যে তোমারি ছাগল! হুম….


আবার শোনো, আমার ছিল টার্গেট ওই 1956

তাই প্রেমের জালে ধরলাম একখান দামী ইলিশ

শেষ দুঃখটুকু পেলাম যখন বয়স ৩৬

আর তখনি প্রথম প্রেম হয় যে ডিসমিস

ও মেয়ের প্রেম আমার দেহের কমালো ওজন

ও মেয়ের প্রেম হৃদয়ে ধরালো পচন


আর দিবেন না প্লিজ উ-উপদেশ

ও… প্লিজ, চুপিচুপি চুপিচুপি চুপিচুপি বলছি-

কেউ শোনেনা যেন! যেটুকু ভালো ছিলাম হয়েছি পাগল

আমি যে তোমারি ছাগল! হুম….

ফটো সুন্দরী


শিল্পীঃ নরদান স্টার
অ্যালবামঃ ফটো সুন্দরী
সুরকারঃ মাহ্ মুদ জুয়েল
গীতিকারঃ মাহ্ মুদ জুয়েল
বছরঃ ১৯৯৪


এই মন দিয়েছি তাকে
আমি দেখেছিলাম যাকে
কোনো অপুর্ব এক সন্ধায়
ওই আনন্দ বিচিত্রাতে
এই হৃদয়টা তো তোমারই
ওগো ফটো সুন্দরী
আমি দেখেছিলাম তোমাকে
ওই আনন্দ বিচিত্রাতে
সেই থেকে আজো
তোমার ছবি এ চোখে ভাসে
তোমায় ঘিরে যত
এলোমেলো ভাবনা মনে আসে
তুমি দিয়েছিলে ফোন নাম্বার
আমি ফোন করেছি বারংবার
আমি শুন্ তে চাই সে কন্ঠস্বর
আমি শুন্ তে চাই তা বারেবার
তার ভালোবাসার তরে
কেদে মরে আমার এ প্রাণ
আমার শুন তে বর সাধ হয়
সে শুন ছে কি বসে আমার এ গান
ঢেউ খেলানো চুলে তার
কি জানি কিছু আশা দেয়
মুক্তঝরা হাসি আর
মলিন কাজল চোখে তার
অই মায়াবিনী চোখে
থাকেনা যেনো অন্য কিছু
ওই চোখের জলে
ডুবে মরব আমি শুধু
কি অপরুপ রুপে
সাজিয়েছে সে তোমাকে

দুটি মন আর নেই এক সাথে


শিল্পীঃ এজাজ
অ্যালবামঃ ফটো সুন্দরী

দুটি মন আর নেই এক সাথে
সীমানা পথে এসে হারিয়ে গেছে
ব্যবধান বিশ্বাসে।
ওই নীল আকাশে হাসে দেখো এক ফালি চাঁদ
হৃদয়ে আজ এলোমেলো স্মৃতি
তোমার সোনালী মনের সোনালী ছোঁয়ায়
আমার হৃদয় ও মন আজো সোনালী
দুটি মন আর।
দেখি যত হৃদয় আমার
বলে তোমার কাছে সে এসেছে
মৌন সম্মতির তুলির আঁচর
প্রেমের অনুভূতি হৃদয়ে দিয়েছে
ওই নীল আকাশে হাসে দেখো এক ফালি চাঁদ
হৃদয়ে আজ এলোমেলো স্মৃতি
তোমার সোনালী মনের সোনালী ছোঁয়া
আমার হৃদয় ও মন আজো সোনালী
দুটি মন আর।
উদাস আমি পাওয়ার আশায়
সাথে নিয়েছি ও পথ চলেছি
ফেলে আসা সে সব স্মৃতির
হৃদয় অ্যালবামে পড়া স্বচ্ছ তোমার ছবি
ওই নীল আকাশে হাসে দেখো এক ফালি চাঁদ
হৃদয়ে আজ এলোমেলো স্মৃতি
তোমার সোনালী মনের সোনালী ছোঁয়া
আমার হৃদয় ও মন আজো সোনালী
দুটি মন আর।
বদলে গেছে পৃথিবী
বদলে গেছো আমার সেই তুমি
পারেনি নীল আকাশ বদলে যেতে
বদলে যায় মানুষ যেমন তুমি আমি
ওই নীল আকাশে হাসে দেখো এক ফালি চাঁদ
হৃদয়ে আজ এলোমেলো স্মৃতি
তোমার সোনালী মনের সোনালী ছোঁয়া
আমার হৃদয় ও মন আজো সোনালী
দুটি মন আর।

তুমি আরেকবার আসিয়া


শিল্পীঃ রথীন্দ্র নাথ রায়
অ্যালবামঃ নাগরদোলা
সুরকারঃ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল



তুমি আরেকবার আসিয়া
যাও মোরে কান্দাইয়া
আমি মনের সুখে একবার কাঁনতে চাই
পোড়া বুকে দারুণ খরা চোখের পানি চোখে নাই

না পারিলাম বাঁচতে আমি
না পারিলাম মরতে
না পারিলাম পীরিতের ঐ
সোনার পাখি ধরতে
আমি এ কূল থেকে ও কূল গেলাম
ঘাটে ঘাটে চোখ রাখিলাম
আশায় আশায় ছিলাম যদি তোমার দেখা পাই

না বাঁধিলাম ডাঙাতে ঘর
না ডুবিলাম জলে
না পাইলাম কূল কারো মনে
না ভাসলাম অকূলে
তোমায় নাইবা পেলাম এই জনমে
সঙ্গী হবো তোমার সনে
সকল বান্ধন ছিঁড়া যখন ঐ পাড়েতে যাই
তুমি আরেকবার আসিয়া
যাও মোরে কান্দাইয়া
আমি মনের সুখে একবার কাঁনতে চাই

মায়ের মত আপন কেহ নাই রে


শিল্পীঃ রুমানা ইসলাম
অ্যালবামঃ দিন যায় কথা থাকে
সুরকারঃ খান আতাউর রহমান
গীতিকারঃ খান আতাউর রহমান
বছরঃ ১৯৭৯



মায়ের মত আপন কেহ নাই রে

মায়ের মত আপন কেহ নাই

মা জননী নাইরে যাহার

ত্রিভুবনে তাহার কেহই নাইরে।।


এই দুনিয়ায় নয়ন মেলে

মাগো তোমায় দেখেছি

তোমার বুকে হেসে খেলে

তোমার কথাই শিখেছি।


তাই তো বলি তোমার মত

মরমী কেউ নাই মাগো

তোমার মত আপন কেহ নাই রে

মায়ের মত আপন কেহ


আমি আঘাত পাইলে তোমার

চোখ নামে পানি

সেই পানিতে ধুয়ে মাগো

কোলেতে লও টানি।


তুমি যেদিন থাকবে না মা

সেদিন আমার হবে কি

সুখে থাকি দুঃখে থাকি

কাহার আসবে যাবে কি।


তাই তো বলি তোমার মত

দরদী কেউ নাই মাগো

তোমার মত আপন কেহ নাইরে

মায়ের মত আপন কেন নাই রে

মায়ের মত আপন কেন নাই।।


ঘুম ঘুম রাত

ঘুম ঘুম রাত ঝিকিমিকি তারা এই মাধবী রাত
আসেনি তো বুঝি আর জীবনে আমার।
ঐ চাঁদের তিথিতে বরণ করি এই মধুর তিথিরে স্মরণ করি
ওগো মায়া ভরা রাত ( আর ) ওগো মায়াবিনী চাঁদ।।
বাতাসের সুরে শুনেছি বাঁশী তার
সব কথা গান সুরে সুরে রূপকথা হয়ে যায়
ফুল ঋতু আজ এলো বুঝি মোর জীবনের ফুলছায়
কোথায় সে কতদূর জানিনা ভেসে যায় মনে মনে যেন স্বপ্নের দেশে যাই
আজ তাই কি জীবনের বাসর গড়ি, এই চাঁদের তিথিরে বরণ করি।।


শিল্পীঃ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
অ্যালবামঃ সবার উপরে
সুরকারঃ রবীন চট্টোপাধ্যায়
গীতিকারঃ গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
বছরঃ ১৯৫৫

তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে

শিল্পীঃ কিশোর কুমার
তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে
আমার মরন যাত্রা যেদিন যাবে
মরন যাত্রা যেদিন যাবে

তুমি বারান্দাতে দাঁড়িয়ে থেকো
শেষ দেখাটা দেখতে পাবে
মরন যাত্রা যেদিন যাবে …

আমায় দেখতে তোমায়
দেয়নি যারা
জানবে না যে কেউ তো তারা

আমি পাথর চখের দ্রিস্টি দিয়ে
দেখব তোমায় বিভোর ভাবে
মরন যাত্রা যেদিন যাবে

তুমি ফুল ছুড়না উপর থেকে
একটু ফেলো দীর্ঘ নিঃশ্বাস
আমার শিওরে জলা ধুপের ধোয়ায়
অটাই হবে সুখের বাতাস
তুমি ফুল ছুড়না উপর থেকে…………

যদি নতুন কোন জন্ম থাকে
পাবো দুজন দুজনাকে
সেদিন নতুন হয়ে আসব কাছে
তখন তোমায় কে আটকাবে

মরন যাত্রা যেদিন যাবে , মরন যাত্রা যেদিন যাবে

তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে
আমার মরন যাত্রা যেদিন যাবে
মরন যাত্রা যেদিন যাবে…………………..


বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫

চুপি চুপি বল কেউ জেনে যাবে


শিল্পীঃ মোঃ খুরশিদ আলম ও রুনা লায়লা
অ্যালবামঃ আনারকলি

চুপি চুপি বল কেউ জেনে যাবে
জেনে যাবে কেউ জেনে যাবে।

ভয় করি না যেন কোন কিছু
যদি তুমি আমি রই এক সাথে।।

যে যাই বলুক তুমি যে আমার
প্রেম করেছি ভয় কী গো তোমার।
কেউ দেখবে ক্ষতি কী তাতে
কেউ জানবে যে জানে জানবে সে
না হয় ঘুম বরে না আঁখি পাতে
যদি তুমি আমি রই এক সাথে।।

কথা নয় গো চোখে চোখে বল
নইলে হবে সবই এলোমেলো।
অবুঝমনা কিছু বোঝ না
কথা মান না রাখ ছলনা
আবার হবে দেখা কাল রাতে
যদি তুমি আমি রই এক সাথে।।

এই দুনিয়া এখন তো আর

শিল্পীঃ মিতালী মুখার্জী
অ্যালবামঃ দুই পয়সার আলতা
সুরকারঃ আলাউদ্দিন আলী
গীতিকারঃ আমজাত হোসেন

এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
মানুষ নামের মানুষ আছে
দুনিয়া বোঝাই
এই মানুষের ভীড়ে আমার
সেই মানুষ নাই।।

এই মাটির দেহ খাইলো ঘুনে
দেখলো না তো কেউ
সারা জীবন দুই নয়নে
রইলো জলের ঢেউ
আমার দুঃখের কথা কইতে গেলে
এই দুনিয়ার সবাই বলে
শোনার সময় নাই।।

হায় এখন বুঝি দারুণ সময়
বদলে গেছে দিন
কেউ আমারে চায় না দিতে
একটু সময় ঋণ
আমার মনের বাগান রইলো খালি
সে বাগানের সুজন মালি
বলো কোথায় পাই।।

মা


শিল্পীঃ আসিফ আকবর
অ্যালবামঃ দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা
সুরকারঃ রাজেশ ঘোষ
গীতিকারঃ প্রদীপ সাহা

আমি আল্লাহ্‌ রাসুল নবীর পরে করি যার প্রার্থনা
তার পায়েরই নিচে আমার বেহেশতের ঠিকানা
সে যে আমার মা জননী একটি প্রিয় নাম
কেমন করে শোধ করি মা তোর দুধেরই দাম
দিন দুনিয়ার কিছুই দিয়ে ঋণ শোধ হবে না
দোহায় মাগো আমার আগে উড়াল মারিস না
তোর চেয়ে মা আপন কোথাও নাইরে কেহ নাই
সারা জনম তোর কোলে মা পাই জেনোরে ঠাই
আসবো আমি ফিরে ফিরে যতোই দূরে যাই
মুখখানি তোর দেখলে মাগো শান্তি খুঁজে পাই
তুই যে বড় আদোরিনি তোর তুলনা নাই
তুই পাশে না থাকলে মাগো আমি কষ্ট পাই
চিরকালি নিয়ে শুধু তুই যে হাসি মুখ
নিজের স্বার্থটাকে ভুলে দেখলি আমার সুখ

এই পদ্মা, এই মেঘনা


শিল্পীঃ ফরিদা পারভীন
সুরকারঃ আবু জাফর
গীতিকারঃ আবু জাফর

এই পদ্মা, এই মেঘনা,
এই যমুনা সুরমা নদী তটে।
আমার রাখাল মন, গান গেয়ে যায়
এই আমার দেশ, এই আমার প্রেম
আনন্দ বেদনায়, মিলন বিরহ সংকটে।।

এই মধুমতি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে
নিজেকে হারিয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে
এক নীল ঢেউ কবিতার প্রচ্ছদ পটে।।

এই পদ্মা, এই মেঘনা,
এই হাজারো নদীর অববাহিকায়।
এখানে রমণীগুলো নদীর মতন
নদী ও রমণীগুলো শুধু কথা কয়।।

এই অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে
নির্ভয় নীলাকাশ রয়েছে নুয়ে
যেন হৃদয়ের ভালোবাসা হৃদয়ে ফুটে।।

পদ্ম পাতার পানি নয়

এন্ড্রু কিশোর

পদ্ম পাতার পানি নয়
দিন যাপনের গ্লানি নয়
জীবনটাকে বুঝতে হলে
জীবন ভালবাসতে হয়। 

শ্রমিক যেমন সবল হাতে
গড়ছে এ দেশ দিনে রাতে
ভিজে পুড়ে যেমন চাষী
মাঠের বুকে ফোঁটায় হাসি।

তেমনি হাজার কাজে মিশে
সুখের হাসি হাসতে হয়।।

দেশের মাটি খাঁটি জেনে
দেশের মানুষ আপন মেনে
বন্ধ মনের দোয়ার খুলে
সকল বাধা বিভেদ ভুলে।

মিলন মেলা সবাই মিলে
সবার কাছে আসতে হয়।।

তুমি বেশ বদলে গেছো

ফাতেমা তুজ জোহোরা

তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরনো সৈকতে আর পানশি বেড়াও না
তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরনো সৈকতে আর পানশি বেড়াও না
জানিনা কোন সাগরের.........
জানিনা কোন সাগরের ঝিনুক থেকে
একটি বার ও পলক ফেরাও না।
পুরনো সৈকতে আর পানশি বেড়াও না ।

বিকেলের সোনা যেমন ঝিলের জলে,
প্রণয়ের রং ছড়িয়ে ছন্দ তোলে,
তেমনি চাওয়ার ছিলো তোমার কাছে,
সাগর তলের তেমন কোনো পান্না হীরাও না....
সাগর তলের তেমন কোনো পান্না হীরাও না।
তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরনো সৈকতে আর পানশি বেড়াও না ।


যে ঘাটে নোঙর ফেলে নিজের হাতে
দুচোখে স্বপ্ন নিয়ে দিন কাটাতে,
সে ঘাটের রংমহলায় খিল দিয়ে আজ
পোষ মানানো পাখির ডাকেও একটু তাকাও না ।

তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরনো সৈকতে আর পানশি বেড়াও না
জানিনা কোন সাগরের ঝিনুক থেকে
একটি বার ও পলক ফেরাও না ।

যেখানে সীমান্ত তোমার

কুমার বিশ্বজিত

যেখানে সীমান্ত তোমার
সেখানে বসন্ত আমার
ভালোবাসা হৃদয়ে নিয়ে
আমি বারে বার আসি ফিরে
ডাকি তোমায় কাছে।

হাজার ফুলে ছেয়েছে যে পথ
আমি চিনি চিনি সে ঠিকানা
তোমার মনের নীরব ভাষা
সেতো আমার আছে জানা
আমিতো চাইনা তোমার এ দ্বিধা
ভেঙ্গে দাও কাঁচেরই বাধা
সীমার বাঁধন ছিঁড়ে তুমি
ধরা দাও আমারই কাছে।

ঝড়ের দিনে খুলেছে যে পথ
আমি জানি জানি তার বেদনা
নতুন আলোর জোয়ার এলে
আমি চাই তারে দিতে আশা
তুমি কি চাওনা সোনালী দিনে
সোনালী সুখেরই সারা
কাঁটার আঘাত ভুলে তুমি
এসো এই ফুলেরই কাছে

যেখানে সীমান্ত তোমার
সেখানে বসন্ত আমার
ভালোবাসা হৃদয়ে নিয়ে
আমি বারে বার আসি ফিরে
ডাকি তোমায় কাছে

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

চলে গেছ তাতে কি


চলে গেছ তাতে কি?
ভালোবেসে মরেছি
তুমি আছো হৃদয়ের আয়নায়
লোকে আমারে শুধায়...
ভালোবাসা কারে কয়? বলনা...

কিছু বৃষ্টির বিনিময়
হলে ভালোবাসা হয়
লোকে তারে ভালোবাসা কয়
আমি বলি ছলনা
এই সবই যন্ত্রনা
এগুলা ভালোবাসা নয়
লোকে আমারে শুধায়...
ভালোবাসা কারে কয়? বলনা...


i wanna say i love u
my love is only for u
i love u untill i am alive
hey girl plz don't refuse me
accept my love seriously
request my.....


দিল কি ইস কোনে পার
রাহো মে তুম আগার
ইস দিল মে কেয়া হে সোচোনা...
আদমি হামসে ইয়ে পুছে
পেয়ার কিস্কো কেহতা হে...বলোনা

এতক্ষন যা শুনছিলেন
সবছিলো আবেগের কথা
এখন বলছি বাস্তবতা
বেশি টাকার বিনিময়
ভালো ফাস্টফুডে খাওয়া হয়
মেয়েরা তাকে ভালোবাসা কয়
টাকা পয়সা ফুরালে
মেয়ারা যে যায় চলে
ছেলেদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
লোকে আমারে শুধায়...
মানুষ কেন ধোকা খায়? বলনা...

বিয়া হইসে তাতে কি?
হলুদে তো এসেছি
বসেছিলে মন্ডপের কোনায়...
চলে গেছো তাতে কি?
নতুন একটা পেয়েছি
তোমার চেয়ে অনেক সুন্দরি।
লোকে আমারে শুধায়...
মানুষ কেন ছেকা খায়? বলনা...

মরে গেছো তাতে কি?
জানাজায় তো এসেছি
শুয়ে রবে কবরের কোনায়
লোকে আমারে শুধায়...
মানুষ কেন মারা যায়? বলনা...


জীবন আছে যতদিন
খেয়ে যাও গাজা ততদিন
পরে রবে ভাবের মুর্ছনায়
লোকে আমারে শুধায়...
মানুষ কেন গাজা খায়? বলনা...


এই কন্ঠ যতদিন
গেয়ে যাব গান ততদিন
পরে রব সুরের মুর্ছনায়
লোকে আমারে শুধায়...
মানুষ কেন গান গায়? বলনা


চলে গেছো তাতে কি?
ভালোবেসে মরেছি
তুমি আছো হৃদয়ের আয়নায়


চলে গেছ তাতে কি, নতুন একটা পেয়েছি
তোমার চেয়ে অনেক সুন্দরী…
 

তোমার ঘরে বসত করে কজনা

তোমার ঘরে বাস করে কারা
ও মন জান না
তোমার ঘরে বসত করে কজনা
মন জান না
এক জনে ছবি আঁকে এক মন
আরেক জনে বসে বসে রঙ মাখে
ঐ আবার সেই ছবিখান নষ্ট করে
কোন জনা, কোন জনা
তোমার ঘরে বসত করে কজনা
মন জান না

এক জনে সুর তোলে এক তারে
আরেক জনে মন্দিরাতে তাল তোলে
ঐ আবার বেসুরা সুর ধরে দেখ
কোন জনা, কোন জনা
তোমার ঘরে বসত করে কজনা
মন জান না

সবকটা জানালা খুলে দাও না-



গীতিকার- সাবিনা ইয়াসমিন

সবকটা জানালা খুলে দাওনা
আমি গাইব গাইব বিজয়েরই গান
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ।।
চোখ থেকে মুছে ফেল অশ্রুটুকু
এমন খুশির দিনে কাঁদতে নেই
হারানো স্মৃতি বেদনাতে
একাকার করে মন ডাক দিলে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।
আজ আমি সারানিশি থাকব জেগে
ঘরের আলো সব আঁধার করে।
তৈরি রাখব আতর গোলাপ
এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।

তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর-



শিল্পীঃ সমবেত সংগীত (মূল সংগীত- আপেল মাহমুদ)
গীতিকারঃ আপেল মাহমুদ
সুরকারঃ আপেল মাহমুদ


তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে(২)
আমরা ক’জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি
শক্ত করে রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে

জীবন কাটে যুদ্ধ করে
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে
জীবনের স্বাদ নাহি পাই
ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও
জীবন কাটে যুদ্ধ করে
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে
জীবনের স্বাদ নাহি পাই

ঘর-বাড়ির ঠিকানা নাই
দিন-রাত্রি জানা নাই
চলার সীমানা সঠিক নাই
জানি শুধু চলতে হবে
এ তরী বাইতে হবে
আমি যে সাগর-মাঝি রে

তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে

জীবনের রঙে মনকে টানে না
ফুলের ঐ গন্ধ কেমন জানি না
জানি না
জোছনার দৃশ্য চোখে পড়ে না
না না না না না না
তারাও তো ভুলে কভু ডাকে না
জীবনের রঙে মনকে টানে না

বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে
আকাশ যখন ভেঙে পড়ে
ছেঁড়া পাল আরও ছিঁড়ে যায়
ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও
বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে
আকাশ যখন ভেঙে পড়ে
ছেঁড়া পাল আরও ছিঁড়ে যায়

হাতছানি দেয় বিদ্যুত্‌আমায়
হঠাৎ কে যে শঙ্খ শোনায়
দেখি ঐ ভোরের পাখি গায়
তবু তরী বাইতে হবে
খেয়া পারে নিতে হবে
যতই ঝড় উঠুক সাগরে

তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে(২)
আমরা ক’জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি
শক্ত করে রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে………