দেশাত্মবোধক গান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দেশাত্মবোধক গান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৭

আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি

রবীন্দ্র সংগীত
 
আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি
তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী !
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে !
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে।।
ডান হাতে তোর খড়্গ জ্বলে, বাঁ হাত করে শঙ্কাহরণ,
দুই নয়নে স্নেহের হাসি, ললাটনেত্র আগুনবরণ।
ওগো মা, তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে।।
তোমার মুক্তকেশের পুঞ্জ মেঘে লুকায় অশনি
তোমার আঁচল ঝলে আকাশতলে রৌদ্রবসনী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে।।
যখন অনাদরে চাই নি মুখে ভেবেছিলেম দুঃখিনী মা
আছে ভাঙা ঘরে একলা পড়ে, দুখের বুঝি নাইকো সীমা।
কোথা সে তোর দরিদ্র বেশ, কোথা সে তোর মলিন হাসি–
আকাশে আজ ছড়িয়ে গেল ওই চরণের দীপ্তিরাশি !
ওগো মা, তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে ।।
আজি দুখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী–
তোমার অভয় বাজে হৃদয়মাঝে হৃদয়হরণী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে !
তোমার দুয়ার আজি খুলে সোনার মন্দিরে।।

বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়


শিল্পীঃ সমবেত সংগীত
সুরকারঃ আব্দুল লতিফ
গীতিকারঃ আব্দুল লতিফ


ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায় ।।
ওরা কথায় কথায় শিকল পরায় আমার হাতে-পায়ে
ওরা কথায় কথায় শিকল পরায় আমাদেরই হাতে-পায়ে
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায় ।।
কইতো যাহা আমার দাদায়, কইছে তাহা আমার বাবায় ।।
এখন কও দেহি ভাই মোর মুখে কি অন্য কথা শোভা পায়
কও দেহি ভাই
এখন কও দেহি ভাই মোর মুখে কি অন্য কথা শোভা পায়
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায় ।।
সইমু না আর সইমু না, অন্য কথা কইমু না
যায় যদি ভাই দিমু সাধের জান, আহা যায় যদি ভাই দিমু সাধের জান,
এই জানের বদল রাখুম রে ভাই, বাব-দাদার জবানের মান
ও হো..হো..হো….বাব-দাদার জবানের মান
যে শুইনাছে আমার দেশের গাঁওগেরামের গান
নানান রঙয়ের নানান রসে, ভইরাছে তার প্রাণ ।।
যপ-কীর্তন, ভাসান-জারি, গাজীর গীত আর কবি সারি ।।
আমার এই বাংলাদেশের বয়াতিরা নাইচা নাইচা কেমন গায়
বাংলাদেশের
আমার এই বাংলাদেশের বয়াতিরা নাইচা নাইচা কেমন গায়
ওরা কাদের মুখের কথা কাইরা নিতে চায় ।।
তারি তালে তালে হৈ ঢোল করতাল বাজে ঐ
বাশি কাশি খঞ্জনি সানাই, (আহা) বাশি কাশি খঞ্জনি সানাই
এখন কও দেখি ভাই এমন শোভা কোথায় গেলে দেখতে পাই
ও হো..হো..হো….কোথায় গেলে দেখতে পাই
পূবাল বায়ে বাদাম দিয়া লাগলে ভাটির টান
গায়রে আমার দেশের মাঝি
ভাটিয়ালি গান, (ভাইরে) ভাটিয়ালি গান
তার ভাটিয়াল গানের সুরে মনের দুসখু যায়রে দূরে
বাজায় বাশি সেইনা সুরে রাখাল বনের ছায়
রাখাল বনের ছায়
ওরা যদি না দেয় মান আমার দেশের যতই যাক
তার সাথে মোর নাড়ীর যোগাযোগ, আছে তার সাথে মোর নাড়ীর যোগাযোগ
এই আপদ-বিপদ দুঃখে কষ্টে এ গান আমার ভোলায় শোক
ও হো..হো..হো….এ গান আমার ভোলায় শোক
এই ঠুং ঠুংয়া ঠুং দোতারা আর সারিন্দা বাজাইয়া
গায়ের যোগী ভিক্ষা মাগে প্রেমের সারি গাইয়াগো
প্রেমের সারি গাইয়া ।।
একতারা বাজাইয়া বাউল ঘুচায় মনের সকল আউল ।।
তারা মার্ফতি মুর্শিদি তত্ত্বে পথের দিশা দিয়া যায়
মার্ফতি মুর্শিদি তত্ত্বে পথের দিশা দিয়া যায়
ওরা তাদের মুখের কথা কাইরা নিতে চায় ।।
ওরে আমার বাংলারে, ওরে সোনার ভান্ডারে
আরো কত আছে যে রতন আহা আরো কত আছে যে রতন
মূল্য তাহার হয়না দিলেও মনি মুক্তা আর কাঞ্চন
ও হো..হো..হো….মনি মুক্তা আর কাঞ্চন
আরেক কথা মনে হইলে আঁখি ঝইড়া যায়
ঘুমপাড়াইনা গাইত যে গান মোর দুঃখিনী মায় ।।
ওমায় সোনা মানিক যাদু বলে চুমা দিয়া লইত কোলে
সোনা মানিক যাদু বলে চুমা দিয়া লইত কোলে
আরো আদর কইরা কইত মোরে আয় চান আমার বুকে আয়
আদর কইরা
আরো আদর কইরা কইত মোরে আয় চান আমার বুকে আয়
ওরা মায়ের মুখের কথা কাইরা নিতে চায় ।।
কও আমার মায়ের মত গান, আমার মায়ের মত প্রাণ
বাংলা বিনে কারো দেশে নাই, বাংলা বিনে কারো দেশে নাই
এই মায়ের মুখের মধুর বুলি কেমন কইরা ভুলুম ভাই
ও হো..হো..হো….কেমন কইরা ভুলুম ভাই
এই ভাষারই লাইগা যারা মায়ের দেয় ভুলান
দেশের মাটি বুকের খুনে কইরা গেছে লাল ।।
মনে কইরা তরার কথা কান্দে বনের তরু লতা ।।
তাইতো ঘরে ঘরে কত মা তায় চোখের জলে বুক ভাসায়
ওরা মায়ের মুখের কথা কাইরা নিতে চায় ।।
কইরো না আর দুঃখ শোক শোনরে গাঁও গেরামের লোক
শোন শোন গঞ্জের সোনা ভাই, তোমরা শোন শোন গঞ্জের সোনা ভাই
একবার বুক ফুলাইয়্যা কও দেখি ভাই
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই ।।
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই………

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

সাতটি মহাদেশ


সাতটি মহাদেশ আর পাঁচটি মহাসাগরের ভীড়ে

পদ্মা আর মেঘনা, সুরমা, যমুনার তীরে

বঙ্গোপসাগরের ফেনিল প্রান্তরে আমার জন্মভূমি


আমার সোনার বাংলা

তুমি আমার বাংলাদেশ

বিশ্বের বুকে বিস্ময় তুমি

আমার প্রানের দেশ

বাংলাদেশ।।


শত শত শোষণের জিঞ্জির ছিঁড়ে

রক্ত মাখা ইতিহাস পাড়ি দিয়ে

বিশ্বকে দিয়েছ প্রতি ক্ষণে পরিচয়

বিপ্লবে রাঙা রক্তের বিনিময়ে

বঞ্চিত মানবতার শত কোটি আওয়াজে ভেসে আসে একটি স্লোগান

আমার সোনার বাংলা

তুমি আমার বাংলাদেশ

বিশ্বের বুকে বিস্ময় তুমি

আমার প্রানের দেশ

বাংলাদেশ।।


ভোরের আযান থেকে সাঝের সূর্য ডোবা

দোয়েলের শিস থেকে কৃষকের ঘরে ফেরা ঘরে ফেরা

কাজল দিঘির পাড়ে বধূর কলস জলে

সবুজে শ্যমল তুমি নীলিমায়, নীল

বিশ্বের প্রতি প্রান্তরে উঠে গেছে সেই পতাকা

সবুজের বুকে লাল টকটকে বারো কোটি স্বপ্ন আঁকা

সযতনে লুকানো চোখের জল তুমি মায়ের মুখের হাসি

আমার সোনার বাংলা

তুমি আমার বাংলাদেশ

বিশ্বের বুকে বিস্ময় তুমি

আমার প্রানের দেশ

বাংলাদেশ।।


 Click To Hear This Nice Song



বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

সালাম সালাম হাজার সালাম




গীতিকারঃ ফজল-এ-খোদা
শিল্পী,সুরকারঃ মোহাম্মদ আবদুল জব্বার


সালাম সালাম হাজার সালাম
সকল শহীদ স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
মায়ের ভাষায় কথা বলাতে
স্বাধীন আশায় পথ চলাতে
হাসিমুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ
সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান
তাদের বিজয় মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
ভাইয়ের বুকের রক্তে আজি
রক্ত মশাল জ্বলে দিকে দিকে
সংগ্রামী আজ মহাজনতা
কন্ঠে তাদের নব বারতা
শহীদ ভাইয়ের স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
বাংলাদেশের লাখো বাঙালি
জয়ের নেশায় আনে ফুলের ডালি
আলোর দেয়ালি ঘরে ঘরে জ্বালি
ঘুচিয়ে মনের আঁধার কালি।
শহীদ স্মৃতি বরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৬

মাঝি নাও ছাইড়া দে


শিল্পীঃ সাবিনা ইয়াসমিন
সুরকারঃ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
গীতিকারঃ প্রয়াত এস এম হেদায়েত


মাঝি নাও ছাইড়া দে
ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে
গা-রে মাঝি গা কোন গান।।

একদিন তোর নাও মাঝি
ভাসবে না রে নীল নদীতে রে
সেদিন তোর গান মাঝি
শুনবে না কেউ গাইবে না বলে-
ও মাঝি রে, ও কলের নৌকা কাইরা নিবে সুর।।

যন্ত্রের নাও ধোঁয়া ছাইড়া
আঁধার করল নীল আকাশটারে, ও মাঝি রে-
সেদিন তোর নাও মাঝি
শূণ্য হয়ে থাকবে রে পরে-
ও মাঝি রে-
ও চল রে মাঝি যাইরে বহু দূর।।

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫

এই পদ্মা, এই মেঘনা


শিল্পীঃ ফরিদা পারভীন
সুরকারঃ আবু জাফর
গীতিকারঃ আবু জাফর

এই পদ্মা, এই মেঘনা,
এই যমুনা সুরমা নদী তটে।
আমার রাখাল মন, গান গেয়ে যায়
এই আমার দেশ, এই আমার প্রেম
আনন্দ বেদনায়, মিলন বিরহ সংকটে।।

এই মধুমতি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে
নিজেকে হারিয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে
এক নীল ঢেউ কবিতার প্রচ্ছদ পটে।।

এই পদ্মা, এই মেঘনা,
এই হাজারো নদীর অববাহিকায়।
এখানে রমণীগুলো নদীর মতন
নদী ও রমণীগুলো শুধু কথা কয়।।

এই অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে
নির্ভয় নীলাকাশ রয়েছে নুয়ে
যেন হৃদয়ের ভালোবাসা হৃদয়ে ফুটে।।

পদ্ম পাতার পানি নয়

এন্ড্রু কিশোর

পদ্ম পাতার পানি নয়
দিন যাপনের গ্লানি নয়
জীবনটাকে বুঝতে হলে
জীবন ভালবাসতে হয়। 

শ্রমিক যেমন সবল হাতে
গড়ছে এ দেশ দিনে রাতে
ভিজে পুড়ে যেমন চাষী
মাঠের বুকে ফোঁটায় হাসি।

তেমনি হাজার কাজে মিশে
সুখের হাসি হাসতে হয়।।

দেশের মাটি খাঁটি জেনে
দেশের মানুষ আপন মেনে
বন্ধ মনের দোয়ার খুলে
সকল বাধা বিভেদ ভুলে।

মিলন মেলা সবাই মিলে
সবার কাছে আসতে হয়।।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

সবকটা জানালা খুলে দাও না-



গীতিকার- সাবিনা ইয়াসমিন

সবকটা জানালা খুলে দাওনা
আমি গাইব গাইব বিজয়েরই গান
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ।।
চোখ থেকে মুছে ফেল অশ্রুটুকু
এমন খুশির দিনে কাঁদতে নেই
হারানো স্মৃতি বেদনাতে
একাকার করে মন ডাক দিলে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।
আজ আমি সারানিশি থাকব জেগে
ঘরের আলো সব আঁধার করে।
তৈরি রাখব আতর গোলাপ
এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।

তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর-



শিল্পীঃ সমবেত সংগীত (মূল সংগীত- আপেল মাহমুদ)
গীতিকারঃ আপেল মাহমুদ
সুরকারঃ আপেল মাহমুদ


তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে(২)
আমরা ক’জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি
শক্ত করে রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে

জীবন কাটে যুদ্ধ করে
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে
জীবনের স্বাদ নাহি পাই
ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও
জীবন কাটে যুদ্ধ করে
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে
জীবনের স্বাদ নাহি পাই

ঘর-বাড়ির ঠিকানা নাই
দিন-রাত্রি জানা নাই
চলার সীমানা সঠিক নাই
জানি শুধু চলতে হবে
এ তরী বাইতে হবে
আমি যে সাগর-মাঝি রে

তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে

জীবনের রঙে মনকে টানে না
ফুলের ঐ গন্ধ কেমন জানি না
জানি না
জোছনার দৃশ্য চোখে পড়ে না
না না না না না না
তারাও তো ভুলে কভু ডাকে না
জীবনের রঙে মনকে টানে না

বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে
আকাশ যখন ভেঙে পড়ে
ছেঁড়া পাল আরও ছিঁড়ে যায়
ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও
বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে
আকাশ যখন ভেঙে পড়ে
ছেঁড়া পাল আরও ছিঁড়ে যায়

হাতছানি দেয় বিদ্যুত্‌আমায়
হঠাৎ কে যে শঙ্খ শোনায়
দেখি ঐ ভোরের পাখি গায়
তবু তরী বাইতে হবে
খেয়া পারে নিতে হবে
যতই ঝড় উঠুক সাগরে

তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে(২)
আমরা ক’জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি
শক্ত করে রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে………