মান্না দে লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মান্না দে লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

আবার হবে তো দেখা

আবার হবে তো দেখা
এ দেখাই শেষ দেখা নয়তো।
কি চোখে তোমায় দেখি
বোঝাতে পারিনি আজো হয়তো
এ দেখাই শেষ দেখা নয়তো
যাবার বেলায় আজ
কেন যে কেবলি মনে পড়ে গো
অসময়ে নীল আকাশে কতদিন কত মেঘ ধরে গো
শপথের মালাতেও মাঝে মাঝে কাটা জেগে রয় তো
এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো
এমন তো হতে পারে
সবই তুমি খেলা ভেবে নিয়েছ
খেয়ালের অভিনয়ে
আমায় কথার কথা দিয়েছ
বলনা সহজ করে আমায় পেরেছ তুমি বুঝতে
হয়নি একটু দেরি এ গানের কোন মানে খুঁজতে
কাছে থেকে দূরে গেলে নেই কিছু হারাবার ভয়তো
এ দেখাই শেষ দেখা নয়তো।।

ললিতা গো ওকে আজ চলে যেতে বলনা

ললিতা গো
ওকে আজ চলে যেতে বলনা
ও ঘাটে জল আনিতে যাবোনা যাবোনা
ও সখি অন্য ঘাটে চলনা।।
দিবালোকে সে আমার নাম ধরে ডাকে,
আমাকে সবাই দোষে সে সাধু থাকে,
অসময় সময় কিছু কেন সে বোঝে না,
আমি কি তার হাতের খেলনা!
নিশি রাতে বাঁশী তার সিঁদকাঠি হয়ে,
চুপিচুপি ঘরে এসে বাজে রয়ে রয়ে,
যখনি ডাকবে সে তখনি যেতে হবে,
আমি কি এমনতর খেলনা!

আমি ফুল না হয়ে

মান্না দে 
 
আমি ফুল না হয়ে কাঁটা হয়েই বেশ ছিলাম।
জানিনা কোন ভুলে তোমার আঁচলে জড়ালাম
আমি সুখ না হয়ে দুঃখ হয়েই বেশ ছিলাম। (ও)
কেন যে তোমার বুকের দীর্ঘশ্বাস ছড়ালাম।।
সকলেই অঝোর ধারার বৃষ্টি কি আর হয়
কেউ কেউ আগুন হয়েই সারা জীবন রয়
আমি অনেক দূরের ফাগুন হয়েই বেশ ছিলাম। (ও)
কেন যে কাছে এসে তোমার মনে ছড়ালাম।।
চাইলেই মনের মত মন কি সবাই পায়
জীবনে অনেক কিছুই শুন্য রয়ে যায়
আমি আমার ব্যথার বোঝা নিয়েই বেশ ছিলাম। (ও)
সমব্যথার আশায় কেন যে হাত বাড়ালাম
আমি সুখ না হয়ে দুঃখ হয়েই বেশ ছিলাম।।

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

তুই কি আমার পুতুল পুতুল

মান্না দে

তুই কি আমার পুতুল পুতুল সেই ছোট্ট মেয়ে
যাকে নিয়ে স্বপ্ন আমার ঝড়ত দু’চোখ বেয়ে
নতুন নতুন করে তোকে যতই সাজাতাম
ভরত না মন দিতাম কত নতুন নতুন নাম।।

আজকে দেখি নতুন তোকে লাগছে সবার চেয়ে
তবু কেন জল আসেরে আমার দু’চোখ বেয়ে
কাজের থেকে ফিরতে আমার হয়ত হলে
না ঘুমিয়ে থাকতিস তুই জেগে মায়ের কোলে
কি খুশি যে হতিস রে তুই,কি খুশি যে হতিস রে তুই
আমার আসা দেখে ।
হাত দু’টোকে এগিয়ে দিতিস মায়েরই কোল থেকে
সেই দু’হাত গিয়েছে আজ মেহেদি রং ছেয়ে
তবু কেন জল আসেরে আমার দু’চোখ বেয়ে ?

দুষ্টুমি তোর স্কুলে যেতে, স্কুলের থেকে ফিরে
মাতিয়ে দিতিস সারাবাড়ী ছন্দ সুরের নীড়ে
আবার যখন সন্ধ্যা হতো যেতিস ঠাকুর ঘরে
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে দিতিস শ্রোতকথা পড়ে
আজ মঙ্গল দ্বীপ জ্বলেছে তোর মঙ্গল চেয়ে
তবু কেন জল আসেরে আমার দু’চোখ বেয়ে ?

আর কোনদিন কাজের থেকে ফিরতে দেরী হলে
আর কখনো পারবি নারে জাগতে মায়ের কোলে
সকাল-সাজের দুষ্টুমি তোর আর যাবেনা দেখা
যা যা ছিল সবই রবে,,,শুধু রইব আমি একা—-

লজ্জা এলো লালচেলী আর সিথিঁর সিধুর বেয়ে
কে বলবে তুই আমাদের সেই ছোট্ট মেয়ে
কে বলবে তুই আমাদের পুতুল পুতুল মেয়ে।।

tui ki amar putul putul 

শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৬

পৌষের কাছাকাছি

মান্না দে
পৌষের কাছাকাছি রোদমাখা সেইদিন
ফিরে আর আসবে কি কখনও
ফিরে আর আসবে কি কখনও
খুশি আর লজ্জার মাঝামাঝি সেই হাসি
তুমি আর হাসবে কি কখনও
তুমি আর হাসবে কি কখনও
অনুযোগ কার নাম না জেনে
অধরেতে কোন সাড়া না এলে
অনুযোগ কার নাম না জেনে
অধরেতে কোন সাড়া না এলে
দেখা আর না দেখার কাছাকাছি কোন রঙ
চোখে আর ভাসবে কি কখনও
চোখে আর ভাসবে কি কখনও
কাব্য কি কথা সে ভাবব কি বিলাসে
মায়াজাল বুনবো কি তখনও
দুএকটি পাখিদের সে কাকলী শুনবো কি তখনও
সে বাতাস বাঁশি কিগো বাজাবে
সে আবেশ মনে মনে সাজাবে
বোঝা আর না বোঝার কাছাকাছি কোন গান
ভাল আর বাসবে কি কখনও
ভাল আর বাসবে কি কখনও

pousher kasakasi by Manna Dey

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

সে আমার ছোট বোন


- মান্না দে


লেখকঃ পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়
সুরকারঃ সুপর্ণকান্তি ঘোষ


মার স্নেহ কাকে বলে জানিনা
বাবার মমতা কি বুঝতে না বুঝতেই
এ বিরাট পৃথিবীতে দেখলাম
সে ছাড়া আমার আর কেউ নেই
সে আমার ছোট বোন…বড় আদরের ছোট বোন।।


ভালো করে যখন সে কথা শেখেনি
তখন থেকেই সে গেয়ে যেত গান
বাজনার হাত ছিল ভালই আমার
তার সাথে বাজাতাম দিয়ে মন-প্রাণ
রাস্তায় ভিড় করে শুনত সবাই
অবাক হতো যে কত জ্ঞানী-গুণীজন।।


ভোর বেলা তার গানে ঘুম ভাঙত
রাতে তাকে বাজনায় ঘুম পাড়াতাম
ভাইয়ের বাজনা আর বোনের গানে
সহজ সরল সেই দিন কাটাতাম
ছোট্ট একটি ঘর এ দু’টি মানুষ
এই ছিল আমাদের সুখের জীবন।।


একদিন যখন সে একটু বড়
প্রথম সুযোগ এলো এক জলসায়
মুগ্ধ শ্রোতারা তার কন্ঠ শুনে
দু’হাত ভরালো তার ফুলের তোড়ায়
ঘরে এসে আমায় সে করল প্রণাম
প্রথম ভরলো জলে আমার নয়ন।।


তারপর কি যে হলো গান শুধু গান
ছড়িয়ে পড়লো তার আরো বেশী নাম
শ্রোতারা উজার করে দিলো উপহার
দিল না সময় শুধু নিতে বিশ্রাম
ক্লান্তির ক্ষমা নেই ওদের কাছে
আরো বেশী দিতে হবে বুঝে নিলো মন।।


একদিন শহরের সেরা জলসা
সেদিনই গলায় তার দারুণ জ্বালা
তবুও শ্রোতারা তাকে দিল না ছুটি
শেষ গান গাইলো সে পড়ে শেষ মালা
শিল্পের জন্য শিল্পী শুধু
এছাড়া নেই যে তার অন্য জীবন
নীরব হলো ছোট বোন
বড় আদরের ছোট বোন।।


তার গান থেমে গেছে নেই শ্রোতা আর
আমি একা বসে আছি স্মৃতি নিয়ে তার
আনন্দ নিয়ে গেছে ওরা সকলে
দুঃখটা হোক আজ শুধুই আমার
অনুযোগ এতো নয় এই শিল্পীর
ভাই বোন সকলেরই ভাগ্য লিখন।।

কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই



 - মান্না দে

সুরঃ সুপর্ণ কান্তি ঘোষ
লেখাঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার



কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল
সোনালী বিকেলগুলো সেই
আজ আর নেই ।


নিখিলেশ প্যারিসে, মঈদুল ঢাকাতে
নেই তারা আজ কোন খবরে
গ্র্যাণ্ডের গীটারিস্ট গোয়ানীস ডিসুজা
ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেন ভালোবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে
পাগলা গারদে আছে রমা রায়
অমলটা ধুঁকছে দুরন্ত ক্যানসারে
জীবন করে নি তাকে ক্ষমা হায় ।


সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে
শুনেছি তো লাখ্ পতি স্বামী তার
হীরে আর জহরতে আগাগোড়া মোড়া সে
গাড়ীবাড়ী সবকিছু দামী তার
আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ সান্যাল
বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতো
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে
নির্বাক শ্রোতা হয়ে
ডিসুজাটা বসে শুধু থাকতো ।


একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘন্টা
চারমিনারটা ঠোঁটে জ্বলতো
কখনো বিষ্ণু দে কখনো যামিনী রায়
এই নিয়ে তর্কটা চলতো
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক
কাজ সেরে ঠিক এসে জুটতাম
চারটেতে শুরু হয়ে জমিয়ে আড্ডা মেরে
সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম ।


কবি কবি চেহারা কাঁধেতে ঝোলানো ব্যাগ
মুছে যাবে অমলের নামটা
একটা কবিতা তার হোল না কোথাও ছাপা
পেলনা সে প্রতিভার দামটা
অফিসের সোশালে ‘অ্যামেচার’ নাটকে
রমা রায় অভিনয় করতো
কাগজের রিপোর্টার মঈদুল এসে রোজ
কি লিখেছে তাই শুধু পড়তো ।

সেই সাত জন নেই আজ
টেবিলটা তবু আছে
সাতটা পেয়ালা অজোও খালি নেই
একই সে বাগানে আজ
এসেছে নতুন কুঁড়ি
শুধু সেই সেদিনের মালী নেই
কত স্বপনের রোদ ওঠে এই কফি হাউসে
কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কত জন এল গেলো
কতজনই আসবে
কফি হাউসটা শুধু থেকে যায় ।


কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল
সোনালী বিকেলগুলো সেই
আজ আর নেই ।

বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৫

তুমি নিজের মুখেই বললে যেদিন



তুমি নিজের মুখেই বললে যেদিন
সবই তোমার অভিনয়
সত্যি কোনো কিছু নয়
আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে
আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে
আমি মানুষ চেয়েই করেছিলাম ভুল
তুমি ছিলে শুধু রঙ করা পুতুল
আমার ভুল ভাঙাতে ধূলো হয়ে
পড়লে যে তাই ভেঙে
আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে
আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে
আনন্দ আর নেই গো যেখানে
শুধু মুখের হাসি সাজিয়ে রেখে
কাজ কি সেখানে
এই বুকের জ্বালা বুকেই গোপন করে
বলো লাভ কি হবে নকল মালা পড়ে
যখন সাজানো মনের উপর
পর্দা দিলে টেনে
আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে
আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে
—————-
মান্না দে
tumi nijer mukhe bolle jedin