লুৎফর
রহমান রিটন
‘আবদুল হাই, করে খাই খাই,
এক্ষুনি খেয়ে বলে, কিছু খাই নাই।
লাউ খায় শিম খায়,
খেয়ে মাথা চুলকায়,
ধুলো খায়, মুলো খায়,
মুড়ি সবগুলো খায়,
লতা খায় পাতা খায়,
বাছে না সে যা-তা খায়,
থেকে থেকে খাবি খায়,
কত হাবিজাবি খায়,
সেদ্ধ ও ভাজি খায়,
খেয়ে ডিগবাজি খায়,
বকুনি ও গালি খায়,
থামে না সে খালি খায়।
গরু খায় খাসি খায়,
টাটকা ও বাসি খায়,
আম খায়, জাম খায়,
টিভি প্রোগ্রাম খায়।
খোলা মাঠে হাওয়া খায়,
পুলিশের ধাওয়া খায়,
ফুটবল কিক খায়,
রক মিউজিক খায়,
মিষ্টির হাঁড়ি খায়,
জামদানি শাড়ি খায়,
ভাত তরকারি খায়,
টাকা কাঁড়ি কাঁড়ি খায়।
চকোলেট টফি খায়,
শরবত কফি খায়,
ঘটি খায় বাটি খায়,
চিমটি ও চাঁটি খায়।
হাসি খায় খুশি খায়,
ভুসি খায়, ঘুষি খায়,
ট্যাংরা ও তিমি খায়,
কোল্ড্রিংকস মিমি খায়,
বেঞ্চি ও টুল খায়,
বিরিয়ানি ফুল খায়,
স্বর্ণের দুল খায়,
খেয়ে ক্যাপসুল খায়।
গাড়ি খায় বাড়ি খায়,
পুলিশের ফাঁড়ি খায়।
গুঁতো খায়, জুতো খায়,
সুঁই খায় সুতো খায়।
তরতাজা হাতি খায়,
শরীফের ছাতি খায়,
মাঝে মাঝে লাথি খায়।
যা দেখে সে তাই খায়,
অ্যাশট্রে ও ছাই খায়,
খেতে খেতে খেতে খেতে,
পেট হলো ঢোল, তবু তার মুখে সেই,
পুরাতন বোল- কী যে অসুবিধে, খালি পায় খিদে।
ছড়াটি বেশ মজার। ভাবার্থ তাৎপর্যপূর্ণ। আসলেই সমাজে এমন কিছু লোক আগেও ছিল, যাদের ছিল খাই খাই রব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন